গার্লফ্রেন্ড মেডিকেলে, তাই সেকেন্ড টাইম ভর্তি পরিক্ষা

by - February 07, 2017

ক্যাম্পাস এ আজ এক জুনিয়র এর সাথে পরিচয় হল, সে মেডিকেল এর জন্য সেকেন্ড টাইম দিবে।
এর কারণ এই নয় যে তার ইঞ্জিনিয়ারিং ভালো লাগেনা, কারণ হল তার গার্লফ্রেন্ড মেডিকেল এ পড়ে।
এখন সেও যদি মেডিকেল এ চান্স পায়, তাহলে গফের পরিবারকে একটা বুঝ দেয়া যায়। যাতে তাদের রিলেশন এ সমস্যা না হয়।
আমার এক রুমমেট এর গফ গতবার সাস্ট এ চান্স পেয়েছিল। এজন্য সে এবার সাস্ট এর জন্য সেকেন্ড টাইম প্রিপারেশন নেয়।
দুর্ভাগ্যবশত ব্যর্থ হয়। যার ফলে তার জীবনের মূল্যবান এক বছর নষ্ট হল।
এখানে লক্ষণীয় ব্যপার হল এই সময়কার তরুণরা আসলে স্বত্বাহীণতায় ভুগছে। তারা তাদের সামনে কোন আদর্শ পাচ্ছেনা।
বিদেশী ডিগ্রিধারী প্রফেসরদের চেম্বারে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থেকে প্রত্যেক বাবারাই তার সন্তানকে ডাক্তার বানানোর তীব্র বাসনা হৃদয়ে জাগিয়ে তোলেন।
কিন্তু দেখা গেলো তার ছেলেটার বিল্ডিং ডিজাইন খুব ভালো লাগে।
অন্য দৃশ্যও দেখা যায়, ছেলে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চাচ্ছে। কিন্তু মেয়ের বাবার ডাক্তার ছেলে পছন্দ।
তখন সে একটা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করার জন্য ডাক্তারির জন্য উঠেপড়ে লাগে।
ডাক্তারি পড়াতে কোন সমস্যা না। কিন্তু আসল সমস্যা শুরু হয় চান্স পাওয়ার পর।
ছেলেটা ডাক্তারিতে চান্স পেয়েছিল মেয়েটার জন্য, ডাক্তার হবার জন্য না।
অথবা বাবা মার ইচ্ছা পূরণের জন্য। চান্স পেয়ে কিন্তু সে স্বপ্ন পূর্ণ হয়ে গেলো।
কিন্তু পরবর্তীতে দেখা যায় বাবামার কাঙ্ক্ষিত সেই চেম্বারের সামনে লম্বা লাইন দাড় করাতে তার জীবনের বসন্ত পেরিয়ে বর্ষাকাল( রেইনি ডে) চলে আসে।
মেয়ের বাবার স্বপ্নও পুরোপুরিভাবে সফল হয় না, মানসিক চাপ্টা বাড়তে থাকে।
লেখার প্রথমে লিখেছি আদর্শের অভাবের কথা।
এখন বলি সেটা কিভাবে -
টিন এজ বয়সে যারা সহজেই আবেগতাড়িত হয়ে যায়, তারা পরবর্তিতে নিজের মস্তিষ্কের পূর্ণ ব্যবহার করতে পারেনা।
যখন আপনার আশেপাশের জগত নিয়ে চিন্তা করার কথা, তখন আপনি একজনের জগতে আবদ্ধ হয়ে পড়ছেন। এতে আপনার চিন্তা জগত হয়ে যাচ্ছে সংকীর্ণ।
এই ব্যবস্থা থেকে উত্তরণের প্রধান উপায় হল নিজেকে সময় দেয়ার হার বাড়ানো।
একজন লেখকের মাথায় তখনি সবচেয়ে ভালো আইডিয়া আসে, যখন সে করার মতো কোন কাজ পায়না।
আর সায়েন্টিস্ট এর মাথায় আইডিয়া আসে কাজ করতে গিয়ে ভুল হলে।
আদর্শের অভাব মানে হল, এরকম কিছু মানুষকে হাইলাইট করার ব্যর্থতা ,যারা নিজেদেরকে বেশী সময় দিতে পেরেছে এবং নিজের জন্য কিছু করেছে,
অন্যকে পাওয়ার জন্য বা অন্যের স্বপ্ন পুরণের জন্য নয়।
আর তারাই সবচেয়ে সফল, যারা নিজের অর্জনকে নিয়ে কাজ করে আরো বড় কিছু করতে চায়।
যেমন, তুমি ভার্সিটিতে একটা সাব্জেক্ট পেলে, যেটা তুমি চাওনি।
এখন তুমি যদি এই সাব্জেক্ট নিয়েই খুশি থেকে এই নিয়েই ভালো করতে চাও, তাহলে তুমি সবচেয়ে ভালো করতে পারবে।
তুমি একটা সাব্জেক্ট আশা করেছিলে, অথচ তা পাওনি। তারমানে তুমি তার যোগ্য নও।
তুমি যেটার যোগ্য, সেটাই পেয়েছো।
এখন উচিৎ হবে যোগ্যতা দিয়ে প্রাপ্ত বিষয় নিয়েই নিজের যোগ্যতাকে আরো উন্নত করা।


7 February, 2017

You May Also Like

0 comments