facebook twitter tumblr instagram linkedin
  • Home
  • On Topic
    • On Topic
    • Short Codes
  • Special Day
  • FEC

Mahdi Hasan

 


আমার পর্যবেক্ষণে বিএনপি দলীয়ভাবে ঠিক পথেই আছে, তারা কোনো পপুলিস্ট রাজনীতি এন্ডোর্স করেনি।

রাজনীতির মূল উপাদান হলো, সিদ্ধান্তগুলো আসবে ভবিষ্যৎ চিন্তা করে, কারণ প্রতিটা সিদ্ধান্ত একেকটা রেফারেন্স হয়ে থাকবে। কোনোকিছু এসময় ঠিক মনে হলেও, ১০ বছর পর সেটার জন্যেই ব্যাকফুটে চলে যেতে হতে পারে।

বড় দলগুলোকে এজন্য সবসময় একটা ঝুঁকিতে থাকতে হয় যে, কখন ভুল করে বসে। বিএনপি মধ্যপন্থী দল হওয়ায়, তাদের ক্ষেত্রে ইমেজের চিন্তাটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া বড় দলগুলোকে নিজেদের আদর্শগত অবস্থান সবার আগে ধরে রাখা লাগে।

সেজন্যই, পপুলিস্ট দাবিগুলো তাদের এড়িয়ে যাওয়া ভালো। এগুলো পিক করবে ছোটদল। তাতে তারা সবসময় আলোচনা টেবিলে থাকবে, পরিচিত বাড়বে।

যদি কখনো ভুলও হয়, তখন ছোটদল হিসেবে ছাড় পেয়ে যাবে, যেটা বড়দল পাবেনা।

আবার দু-একটা দাবী যদি আদায় করে নিতে পারে, তাহলে সেটাকেও বড় করে উদযাপনের সুযোগ থাকে।

এখন একটা শর্ট রিভিউ যদি করি, ৫ আগস্ট পর্যন্ত পপুলিস্ট রাজনীতির সবগুলো অপশন থেকেই বাজাদ বিরত থেকেছে, অন্যদিকে নাপা এই ইস্যুতেই তাদের বিরুদ্ধে লেগেছে। বেশ কিছু ঘটনায় নাপা ইস্যু তৈরি করে বিএনপিকে প্রতিক্রিয়া দেখানোর জন্য উষ্কেছে, যেগুলো আগে থেকেই জানা যে, বিএনপি রাজি হবেনা। তবে এতে বিএনপির রিএকশন দেখানোটাই হলো ভুল রাজনীতি, কিংবা নাপার জন্য জয়, কারণ তাদের এখন শক্তি বোঝানোর সময়, বড় দলের এটেনশন নেয়ার সময়, এতে কেউ গুরুত্ব দিলেই সেটা অর্জন ধরে নেয়া যায়।

সব রাজনৈতিক দল মিলে সরকার গঠনের প্রস্তাব - বিএনপির না। কারণ রাজনৈতিক দল চলে ভোটের জন্য, ভোটে জয়ী হয়ে নির্বাচিত হওয়া ছাড়া ক্ষমতা নেয়াটা নিজেদের নীতিবিরুদ্ধ। তারা দ্রুত নির্বাচন দিয়ে সব বিজয়ী দল নিয়ে জাতীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব দেয় এবং এখনো সেই পথেই আছে৷ এটা করলেই বরং জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে সরকার গঠন হয়।

রাষ্ট্রপতি অপসারণ - বিএনপির না। কারণ প্রথম ধাক্কাতেই না সরানোর ফলে এটা এখন অপ্রাসঙ্গিক। প্রথমে সরানো হয়নি, তখন রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে এই সরকারের বৈধতা, তথা অন্তরবর্তীকালীন সরকার নেয়া হয়। এখন সংসদ নেই, স্পিকার নেই। রাষ্ট্রপতি পদত্যাগ করলে নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য সংসদ নেই, আবার অস্থায়ী দায়িত্বের জন্য স্পিকার নেই৷ ফলে নতুন রাষ্ট্রপতি কে হবে, সেটা নিয়েই অনেক জল ঘোলা হতো, যেটা বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা হিসেবে অপ্রয়োজনীয়।

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ - বিএনপি এটা লীগ সরকারের জামাত নিষিদ্ধের মতো করতে না বলেছে। ২য়ত একটা রাজনৈতিক দল আরেকটা দলের নিষিদ্ধ করতে বলাটা অনৈতিক। এটা করার জন্য হয়, তাদের সব সদস্যের অপরাধের বিচার করে আদালত কর্তৃক সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে করবে, অথবা গণভোট আয়োজন করে করবে। নির্বাহী আদেশে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করলে সেটা মাইনাস ফর্মুলা হিসেবে দেখা হবে।

এরপর এখন চলছে সেনাবাহিনী প্রধান বিরোধী আলোচনা। এটাও একটা ভয়ংকর পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে, যেখানে আর্মির মনোবল ভেঙে যাওয়া ও অন্যান্য দাপ্তরিক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। মোটের উপর বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা ইস্যু, যা গণতান্ত্রিক সরকারও করতে চাইবেনা।

এরবাইরে ধর্ষণের বিচার ইস্যু, যেটা হঠাৎ করে গভীর রাতে মিছিল করে তৈরি করা, এরপর লাগাতার বিভিন্ন নিউজ সামনে এনে একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বানানো, এগুলো সবই পপুলিস্ট রাজনীতির উপাদান, যেগুলো দিয়ে খুব সহজেই মানুষের নজর কাড়া যায়, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে অপ্রয়োজনীয় বিষয়।

সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করে তৈরি করা ইস্যু নিয়ে বিএনপি কিছুটা রিএকশন দেখিয়েছে লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে তাদের অবস্থান পুণরায় উপস্থাপন করেছে।

তাদের সিনিয়র নেতাদের বোঝা উচিৎ, এসব ইস্যু বানানো হয় রিএকশন বের করে দু একটা শব্দ মুখ দিয়ে বলিয়ে নেয়ার জন্য, যাতে তাদের বিরুদ্ধে একটা কাল্পনিক ন্যারেটিভ তৈরি করা যায়।

যেমন- লীগ নিষিদ্ধের প্রসঙ্গে রিজভী, আসিফ, নাহিদ, হাসনাত, মাহফুজ একই সূরে কথা বলেছে। এদের বিচার করতে হবে, বিচার পর্যন্ত রাজনীতি বন্ধ থাকবে, যারা দোষ করেনি, তারা আবার রাজনীতি করতে পারবে। কিন্তু সবসময় রিজভীকে টার্গেট করে মিডিয়া ক্যাম্পেইন করা হচ্ছে, এবং বিএনপি লীগের পুনর্বাসন চায় হিসেবে ন্যারেটিভ দাঁড় করাচ্ছে, যাতে মানুষকে বোঝাতে পারে লীগ আর বিএনপি একই। এদেরকেও বিদায় করতে হবে, কিংবা নৌকা আর ধানের একই বিষ। 

আবার দেখবেন, যখনই নাপা কোনো ইস্যুতে ব্যাকফুটে চলে যায়, তখন সারোয়ার তুষার মিডিয়াতে এসে বারবার রাষ্ট্রপতি সরানো, জাতীয় সরকার গঠনের ইস্যু এনে বিএনপি ব্যাশিং করে। যেন এগুলো মেনে নিলেই সব ঠিক হয়ে যেতো। এরকম ইস্যু তৈরি করে বিএনপিকে রিএকশন দেয়ার জন্য উষ্কে দেয়াটাই মূলত এখন তাদের রাজনীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদি বিএনপি এগুলোতে রিএকশন দেয়া বন্ধ করে শুধু নিজেদের কথা বলে যায়, তাহলেই তাদের রাজনীতি অর্ধেক শেষ হয়ে যায়।

মুলত, বিএনপির নেতাদের বিভিন্ন বক্তব্যে দেয়া জুলাই, সংস্কার, নির্বাচন নিয়ে দেয়া সবগুলো বক্তব্যই আগের কিছু ঘটনার রিএকশন। এর আগে ইস্যু তৈরি করে এমন সব পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে, যাতে মুখ দিয়ে পছন্দমতো কথা বের করে তা দিয়ে দলীয় দোষ দেয়া যায়। 

এসব বিষয়ে এখনো তারেকের বক্তব্যকেই মূল দলীয় অবস্থা বিবেচনা করছি, যিনি কোনো রিএক্টিভ রিএকশন দেখাচ্ছেন না, বরং সতর্ক করে যাচ্ছেন। লন্ডনে থেকে ঠিকই বুঝতে পারছেন, পরিস্থিতি কোনদিকে যাচ্ছে, যেটা মানুষদের আশেপাশে থাকা নেতারাও ধরতে পারছেন না।

তবে এসব ইস্যুতে সবচেয়ে স্মার্ট ডিসিশনটাও তারেক রহমানের। ইন্টেনশনাল কিংবা না, তিনি বিড়াল হাতে একটা ছবি দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন, এসব ইস্যুকে পাত্তা দেয়া যাবে না, যেরকমটা তিনি ও কোকো করেছেন লীগের দেয়া হরতালের মধ্যে কলাবাগান ক্রিকেট খেলতে গিয়ে।

নাপার সৌজন্যে জাশির কর্মীরা একেরপর এক ইস্যু তৈরি করে যাচ্ছে, যেগুলোর ফার্স্ট ইম্প্রেশনটাই হচ্ছে বাজাদ = লীগ।

যেকোনো ঘটনার ভেতরে চেক না করে প্রথমে তাদের অনলাইন এক্টিভিস্টদের মাধ্যমে বাজাদের সংশ্লিষ্টতা সামনে এনে সমানে পোস্ট করা হবে, যাতে ফার্স্ট ওয়েভটাই সবার কাছে বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়। এদেশের মানুষও এমন যে, তারা প্রথম দেখা পোস্টই বিশ্বাস করে, পরে এই ঘটনার ফলো আপ কী হচ্ছে, তা আর খোঁজ রাখেনা। ফলে একেরপর এক যখন একইরকম পোস্ট দেখতে থাকে, তখন একটা বিদ্বেষপূর্ণ মনোভাব তৈরি হয়ে যায়। আর এটাই হলো ন্যারেটিভ তৈরির লক্ষ্য।

আমরা যারা দীর্ঘদিন অনলাইন ইস্যু নিয়ে কাজ করি, তারা এসবের সাথে পরিচিত। আগে একই কাজগুলো লীগ করতো, যাতে সরাসরি সব দোষ দেয়া হতো বিএনপি+ জামাতকে। কিন্তু অধিকতর বিশ্লেষণে দেখা যেতো, সব তাদের সাজানো।

এমনকি উন্নয়নের যত গল্প তারা প্রচার করেছে, সার্ফেস ইনফরমেশন এক্সেস থাকা মানুষদের বেশীরভাগই সেগুলোকে এখনো বিশ্বাস করে।

আপনি কোথাও আড্ডা দিতে গেলে অবাক হয়ে যাবেন, এরা কোন দুনিয়ায় থাকে। লীগের টার্গেট এরাই ছিলো, এবং তারা তাদেরকে ম্যানিপুলেট করতে পেরেছে।

এখনো একইভাবে চলছে। আপনি এখন সবাইকে নির্বাচনের বিরুদ্ধে যেতে দেখবেন, ইউনুসকে আজীবন ক্ষমতায় রাখতে চাইতে দেখবেন, এবং তাদের এই মনোভাব তৈরির পেছনেই কাজ করছে এই pseudo issue গুলো। এক্ষেত্রে টার্গেট যেকোনোভাবে রাজনৈতিক সরকার না আনা। কারণ নির্বাচন করার মাধ্যমে আসতে গেলে জামাত + শিবির, নাপা সরকারে আসার সুযোগ কমে যাবে, এখন তারা কোনো বড় পরীক্ষার মুখোমুখি না হয়েই যে সুবিধা গুলো ভোগ করছে, সেগুলো নেয়ার সুযোগ হবেনা। এছাড়া নিজেদেরকে শক্তিশালী, মানুষ আমাদেরকে চায়, এসব প্রচার করে নিজেদের কাল্পনিক স্টেক বাড়ানোর চেষ্টা উল্লেখযোগ্য। 

আরেকটু গভীরে গেলে, তারা ৫ আগস্ট পরবর্তী পিপলস উইলের আলাপ বারবার তুললেও, এখন মূলত সেই পিপলস উইলকেই অস্বীকার করছে।  

ভোট দিলে বিএনপি জিতে যাবে, হাসিনার সেই পুরনো আলাপই আবার সামনে এনে এটা প্রমাণ করছে, ভোটের মাধ্যমে বাজাদ যদি জেতে, তাহলে তো মানুষ বাজাদকেই চাচ্ছে। তাহলে আপনারা পিপলস উইলকে অস্বীকার করে হাসিনার মতো ঠেকানোর চেষ্টা করছেন কেন?

হতে পারে নাহিদ জাশির ফাঁদে পড়েছে, কিংবা তারাই সেটা চাচ্ছে।

কারণ, ঐতিহাসিকভাবে জামাত অন্যের উপর ভর করে তাদের নিজস্ব রাজনীতি নষ্ট করার দল।

এখনো তারা বাংলাদেশ পন্থার বিপক্ষে যেয়ে নিজেদের ক্ষমতার আকাঙ্খা পূরণ করছে, যাতে নাপাও লাভ পাচ্ছে। তাদের দল দাঁড়ানোর ফান্ড ও সময় পাচ্ছে। সরকারের আশ্রয় পাচ্ছে।

তারা ভাবছে, বাজাদকে ঠেকাতে পারলেই তারা ক্ষমতায় থাকতে পারবে। তাদের বিরুদ্ধে জনমনে বিদ্বেষ ছড়ালেই মানুষ নিজেদের কাজ নিয়ে প্রশ্ন তুলবেনা। 

এটা সাময়িকভাবে দেখতে সুন্দর।

কিন্ত, দীর্ঘমেয়াদে দেশের জন্য খুবই খারাপ সময় নিয়ে আসবে। দুঃখের বিষয় হলো, জামাত + নাপা সেটা কখনো বুঝবেনা। আর এর সব দায় দিবে বাজাদের উপর। যেরকমভাবে এখন সরকারে থেকেও চাঁদাবাজি + আইন শৃঙ্খলার অবনতির দায় দিয়ে যাচ্ছে।

এই সময়টা ক্রিমপাই বলা যায়, সবাই অনেক প্রতিশ্রুতি দিবে, কিন্তু বাস্তবতা হলো রাজনৈতিক সরকার আসা ছাড়া বিদেশি ইনভেস্টমেন্ট আসবেনা, দেশের ব্যবসার প্রসার হবেনা। 

জনপ্রতিনিধির যে শক্তিমত্তা থাকতো, বিভিন্ন দপ্তর দায়িত্বপ্রাপ্তদের সেটা না থাকায়, তারা আমলাদের সাথে নেগোসিয়েশন এ যাবে, ফলে ভাগেযোগে লুটের সুযোগ বাড়বে, যেটা লীগের সময়ে ছিলো।

জনগণের ম্যান্ডেট না থাকলে, লীগের সময় আর এখনকার পরিস্থিতিতে কোনো পরিবর্তন আসবেনা। সহজ কথা হলো- উন্নয়ন তো লীগই সবচেয়ে বেশি করেছিলো, তাই না?

সংস্কার ইস্যু এনেও একটা প্রপাগাণ্ডা চালানো হবে যে, বিএনপি কোনো সংস্কার চায়না। ন্যারেটিভ এমন যে, যতগুলো সংস্কার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে, সবগুলো মেনে নেয়াটাই সংস্কারের পক্ষে থাকা। যৌক্তিকতা বা বাস্তবায়নযোগ্যতা বিচারের দরকার নেই।

এগুলো সবগুলো এমনভাবে তৈরি করা, যাতে আপনি মেনে নিলেও বিপদ, এখন মেনে না নিলে বলা হবে, সংস্কার চান না, এখন মেনে নিয়ে পরে বাস্তবায়নের সময় বাতিল করলে বলা হবে সংস্কারের সাথে প্রতারণা।

কারণ, যারা এসব বলে, তাদের সরকার চালানোর অভিজ্ঞতা নেই, কখনো হবে বলেও মনে হয় না।

এক্টিভিজম আর সবার চাহিদা পূরণ এক জিনিষ না।

মূলত, সব সমস্যার সমাধান হয় যখন মানুষের কাছে দায়বদ্ধতা থাকে, আর প্রাতিষ্ঠানিক স্বাধীনতা তৈরি হয়।

নাহলে, এসব রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত সবসময় পরিবর্তনীয়। দেশের মানুষের আচরণ কেমন, তার ভিত্তিতেই তাদের প্রতিনিধির আচরণ তৈরি হয়।

তাদের কন্ট্রোল যারা করবে, আমাদের প্রয়োজন তাদের শক্তিশালী করণ।

সংস্কার করেও লাভ হবেনা, যদিনা তাদেরকে জবাবদিহিতে না রাখা যায়।

আবার,  আপনি রাজনৈতিক দলকে ঠেকিয়ে যত সংস্কারই করেন, সেগুলো কিন্তু আইনে রূপান্তর করা যাবে না, তারা যদি সংসদে পাশ না করে।

এগুলো সিম্পল রাজনীতি।

ফলে বিএনপি মাইনাস করার এই ষড়যন্ত্র সবসময় নাপার জন্য বিপদজনক হবে। বিএনপির আচরণ এখনো সহনশীল, যদি তারা শত্রুতা এবং মিথ্যার পথে হাঁটতে থাকে, তাহলে তারা কখনো রাজনৈতিক ঐক্যের দিকে যেতে পারবেনা।

বিএনপি ব্যাশিং বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভালো কিছু আনবেনা।

March 21, 2025 1 comments



বৈছাআ ও সমন্বয়ক কমিটি এখনো একটা ঘোরের মধ্যে আছে যে তারাই হাসিনাকে সরিয়ে দিয়েছে, ফলে তারা যা বলবে তাই হবে। এজন্য যখনই কোনো অযৌক্তিক কাজে আটকা পড়ে, তখনই হাসিনার মতো টেপ বাজানো শুরু করে দেয়।


এরমধ্যে দুটো প্রভাব আছে বলে মনে হচ্ছে, কিছুটা এক্স ছাত্রলীগের যারা এতে যোগ দিয়েছিলো, আরেকটা হলো যোগ দেয়নি এমন জাশিদের ইনফ্লুয়েন্স।


এই ইম্পেক্টের পেছনের কারণ, প্রথমত যেকোনোভাবে ৭১কে বাতিল করে দেয়া যে ওটা মূলত ভারতীয় আদিপত্যবাদ স্থাপনের জন্য পাকিস্তানের বিভাজনের ষড়যন্ত্র ছিলো - যেটা শিবির প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে, দ্বিতীয়টা লীগ মানসিকতার লোক, যারা যেকোনোভাবে ভারত বিরোধীতার প্রকাশ্য বক্তব্য বিএনপিকে দিয়ে বলিয়ে নিতে চায়, যাতে ইনভার্স ইম্পেক্টরূপে ঠিক এটাই প্রতিষ্ঠা  করতে পারে যে, লীগ ছাড়া সব দল ভারতের জন্য হুমকি, এবং এই পয়েন্ট ধরে ভারত এখানে উৎপাত করবে।


কিন্তু এখানে কূটনীতিক ইস্যু হলো, সরকার যেই গঠন করুক, তাকে এই আশ্বাস প্রতিষ্ঠা করতে হবে যে, তার হাতে প্রতিবেশীরা সেফ। ন্যায্য অধিকারের আলাপটা দেশের ভেতরের বন্দোবস্তের বিষয়। মানে প্রতিবেশীর সাথে কী নিয়ে ডিল হবে, সেটা ভেতরের রাজনীতি, কিন্তু বাইরে এটা বোঝাতে হবে যে, আমরা আপনাদের জন্য নিরাপদ।

একইভাবে বৈছাআ এবং জানাক - আন্দলোনের সময় আমাদের দেয়া সেই ভাইব নিয়ে এখনো আছে যে, এই আন্দোলন পুরোটা ছাত্ররা করে ফেলেছে। অথচ তারা এটা ভুলে যাচ্ছে যে, সেসময় সব দলের মানুষ তাদের আমন্ত্রণে বা আমন্ত্রনের আগেই রাস্তায় ছিলো। শুধুমাত্র হাসিনার ক্রাকডাউনের নৈতিক অবস্থান নষ্ট করতে সব দল বারবার এটা বলেছিলো, যে এটা শুধুমাত্র ছাত্রদের আন্দোলন।

বাস্তবতা না বোঝা, আর না বোঝার ভান করা ভিন্ন হলেও, দুটার ফল একই হবে।

ছাত্র নেতারা এখন সেই ভুলের দিকেই আগাচ্ছে।

তারা কথাই কথাই বিএনপিকে শত্রু বানিয়ে নিজেরা বড় প্রমাণ করতে চাচ্ছে। বড় হলে সমস্যা ছিলো না, কিন্তু সমস্যা হলো- যা না, তা ভেবে থাকা।

কোনো রাজনৈতিক দল ছাড়া দেশের ব্যবসা ও রাজনৈতিক স্থিতি আনতে পারবেনা। এজন্য একটা নির্বাচনিক সরকার গঠন করা লাগবেই।

যেকারণে ছাত্রদের উচিৎ ছিলো বিএনপিকে মুরুব্বি ধরে নিয়ে তাদেরকে এই আশ্বাস দেয়া যে আপনারা নিশ্চিন্তেই ক্ষমতা পাবেন, কিন্তু তার আগে আমাদের এই এই দাবীগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে। সেখানে তারা সব সংস্কারের দাবী রাখতে পারতো এবং এরকম আশ্বাসের জন্য বিএনপিও অনিশ্চয়তায় না ভুগে তাদের দাবী অনুযায়ী নেগোসিয়েশন এ যেতো।

এই পরিস্থিতি না বোঝাটাই হলো রাজনৈতিক অযোগ্যতা।

আমার ধারণা ছাত্রদের মধ্যে এরকম ভাইবটা তৈরি করেছে জাসির অতিপাকনা লোকজন। যারা অনলাইনে কিছু ফ্যান দেখে নিজেদের রাজা ভেবে নেয়।

বাস্তবতা হলো, ভোটের রাজনীতি করে সরকারে জায়গা পেতে ছাত্রদের দলের আরো অনেক সময় লাগবে। আর জাসি কখনোই একক নির্বাচন করে ১০ আসন পাওয়ার যোগ্যতাও রাখেনা।

এই বাস্তবতায় ছাত্ররা যতবেশি বিএনপির বিরুদ্ধে উৎপাত করতে চাইবে, পরিস্থিতি ততই তাদের বিরুদ্ধে যাবে।

গতকাল নাহিদের দোষারোপের পোস্টের সমান্তরালে সব সমন্বয়কের রক্ত গরম করা কথাবার্তার পর আজকে আসিফ ঠিকই ঐক্যের কথা বলছে।

সরকার গঠনের পরেই যে ভবিষ্যতবানী করেছিলাম - ছাত্রদের সরকারের অংশ হওয়া উচিৎ হয়নি, যতদিন যাবে তাদের জনপ্রিয়তা কমতে থাকবে, বিএনপি মুখে নির্বাচন চাইলেও সময় দিবে- সবই ফলে গেছে।

রাজনীতি, কূটনীতি, এগুলো দু চারটা মানুষ জড়ো করে হাততালি নিলেই হওয়ার জিনিস না।

বিএনপি কেন জাতীয় সরকার করেনি?
এই প্রশ্নের আমার কাছে দুইটা সম্ভাব্য উত্তর আছে। নৈতিক ও আইডিওলজিক্যাল।

জনগণের ভোট ছাড়া একটা রাজনৈতিক দল সরকার গঠন করেছে, এরকম একটা কলংক তাদের সাথে লেগে যাওয়ার সুযোগ ছিলো, যেই নৈতিক অবস্থান থেকে তারা এরকম সুযোগ থেকে বিরত থেকেছে।

আইডিওলজিক্যাল বিষয়টাও একইরকম। জনগণের জন্য গঠিত দল, তাদের মতামত ছাড়া তাদের শাসন করার দায়িত্ব নিবেনা।

তাদের চিন্তা অনুযায়ী, তারা নির্বাচন করে জাতীয় সরকার করে তারপর প্রয়োজনীয় সংস্কার করবে।

এতে ছাত্রদের সমস্যা হলো, এভাবে করলে সংবিধান বাতিল হবেনা।

এর সমাধান হিসেবে তারা গণপরিষদের ভোটের দাবি নিয়ে নেগোসিয়েশন করতে পারতো। তা না করে কেউ সরকারের অংশ হয়ে, কেউ বাইরে থেকে রাজনৈতিক আলাপ করে যাচ্ছে।

তোমরা সরকার থেকে সরে আসো৷ এরপর আবার রাস্তায় নেতৃত্ব দাও। যে দাবী, রূপরেখা দেয়ার জন্য ৫ আগস্ট সরকার গঠন করলে না, রাষ্ট্রপতির বাড়ি গেলেনা, সেটাতো এখনো পূরণ করতে পারলে না। তাহলে আবার শুরু করো।

এই পদ্ধতিতে না গিয়ে হুট হাট চিল্লাচিল্লি করে তোমরা কিছুই করতে পারবে না।

নাহিদের ভুল বক্তব্য ঢাকতে, যারা তার ১ দফা ঘোষণা, পায়ের ছবি দেখাও, তোমাদের বাচ্চামো মানসিকতা ছাড়াতে হবে। নাহিদ না বলে অন্য কেউ ১ দফা বললে, বা কেউ না বললেও সেটা কোনো পার্থক্য তৈরি করতো না৷ কারণ যারা ১৭ তারিখের পর রাস্তায় ছিলো, সবাই হাসিনাকে নামানোর জন্যই ছিলো।

হাসিনাকে সরানোর ১ দফা আরো আগেই ফেসবুকে ঘোষণা হয়ে গেছে। অল্প দিনেই সব খেয়ে ফেললে তো হবেনা।

তাই, উপদেশ হলো, রাজনৈতিক জ্ঞান বাড়াও। আশেপাশে সবার কথা শুনতে হবে।

কিন্তু সবদিক ভেবেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

সব দলের সমর্থনেই এই সরকার এসেছে। বিএনপির সবাই শুরু থেকেই বারবার সমর্থন দিয়ে এসেছে। তাই তাদেরকে আস্থার মধ্যে না রেখে শত্রু বানালে, তোমাদের মেয়াদ কমা ছাড়া ভিন্ন ফল নেই।

আরেকটা কথা হয়তো ভুলে যাও, এই সরকার যা কিছুই করুক না কেন, সেটা একটা নির্বাচিত সরকার এসে বৈধতা দিতে হবে।

ফলে যত হাতিঘোড়া মারা হোক না কেন, নির্বাচনে যদি বিএনপি জেতে আর তোমরা তাদের মতামত ছাড়া সংস্কার করো, সেটাও কিন্তু কোনো ফল আনবেনা৷

এগুলো সবই বাস্তবতা।

এখন বিএনপিকে এই আস্থায় রাখতে হবে যে, আপনারা নির্বাচনের পরে সরকারে আসবেন। কিন্তু আমাদের এই দাবি গুলো মানতে হবে। এভাবেই সবার ঐক্য সম্ভব।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা, জামাত যার সাথে থাকবে, তার পতন জামাত নিজেও ঠেকাতে পারবেনা।

January 24, 2025 No comments
জাতী হিসেবে আমাদের ইমোশন বেশী সেটা জানা কথাই। 
কিন্তু জটিল সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে যখন যুক্তি ছাপিয়ে ইমোশনকেই আগে নিয়ে যাওয়া হয় সেটা আমাদের লুকিয়ে রাখা মূর্খ চরিত্রটাকে প্রকাশ্যে নিয়ে আসে। তার নিজের অজান্তেই তুলে ধরি আমরা কতটা নির্বোধ ও হিপোক্রেট! 

রাশিয়ার ইউক্রেন হামলার জাতিসংঘের নিন্দা প্রস্তাবে বাংলাদেশ কোনো ভোট দেয়নি।

বাংলাদেশ কোন বিবেচনায় ভোট দেয়নি, সেটা এখনো স্পষ্ট না। চীন, ভারত, পাকিস্তান, আলজেরিয়া, এঙ্গোলা, কাজাখস্থান, মালি, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইরাক এদের মতো ৩৫টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশও ভোটদানে বিরত ছিল।

তবে আবার মানবিক দিক বিবেচনা করলে এটাকে অমানবিকও বলা যায়। কারণ এক দেশের মানুষের উপর ভিন্ন দেশ থেকে হামলা করা হয়েছে। এটাকে কোনো অবস্থাতেই সমর্থন করার যুক্তি নেই। 
[এব্যাপারে সাংবাদিক স্বদেশ রায়ের লেখা পড়তে পারেন ]

এটা যাইহোক না কেন, ব্যাপার হলো আজকে বিএনপি মহাসচিব সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এবং তিনি গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এর উদাহরণ এনে ইউক্রেনের পক্ষে ভোট দেয়ার কথা বলেছেন। ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ ইউক্রেনসহ যে কোনো দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের মৌলিক অধিকারকে শ্রদ্ধা করে এবং তার সীমা লঙ্ঘনকে বিরোধিতা করে।' [যুগান্তরের সংবাদ]

তো এই সংবাদের নিচের কমেন্টবক্সে বাংলাদেশের জনগণের মন্তব্যে দেখা গেলো ভিন্ন চিত্র।
সেখানে সবাই ফখরুলের বিরোধিতা আর সরকারের সিদ্ধান্তে সমর্থন দিচ্ছে। তাদের কেউ বলছে দেশের ৯০-৯৫% মানুষ এই সিদ্ধান্তের পক্ষে।

এর বাইরে অন্য সংবাদ বা পোস্টের কমেন্টে দেখা যেতো মানুষ দেশের গণতন্ত্র নিয়ে চিন্তিত, তার ভোট দিতে চায়, তাদের অধিকার কেড়ে নেয়ায় চিন্তিত, তাহলে এখন কেন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ইউক্রেনের উপর একনায়ক পুতিনের হামলায় তারা বিশাল খুশি এবং দলে দলে পুতিনের ফ্যান ক্লাবে যোগ দিচ্ছে।

তো এখানে তাদের যুক্তি হলো-
১. প্যালেস্টাইন এর উপর হামলায় ইউক্রেন ইজরায়েলকে সমর্থন দিয়েছে।
২. আমেরিকা ইহুদী খ্রিষ্টান রাষ্ট্র এবং তারা এদের ধ্বংস চায়। যেহেতু পুতিন আমেরিকার বিরুদ্ধে কিছু করছে, তাই সে এখন হিরো।
৩. ইউক্রেন প্যালেস্টাইনের মানুষের উপর হামলায় কোনো প্রতিবাদ করেনি, এখন তারা বুঝুক নিজেদের উপর হামলা হলে কেমন লাগে! 

এ যুক্তিগুলো থেকে যদি আপনি রাশিয়ার আক্রমণ সাপোর্ট করেন, তা থেকে বোঝা যায় এটা আসলে প্রতিহিংসা ছাড়া কিছুই না। তুমি আমার ভাইয়ের উপর অত্যাচার করেছ, এখন তোমার উপর অত্যাচার হওয়া জায়েজ।

যদিও রাশিয়ার ইউক্রেনের উপর হামলার কারণের সাথে এর দূরতম কোনো সম্পর্ক নেই! 
রাশিয়া এজন্য হামলা করছেনা না ইউক্রেন ইজরায়েলকে সাপোর্ট করে। 
এসব যুক্তি দিয়ে আপনি সর্বোচ্চ ট্রল করতে পারেন, মজা নিতে পারেন- দেখো এখন তোমাদের কেমন লাগে! 

যদি আপনি হামলার প্রকৃত কারণ জানেন এবং সেই যুক্তি বিবেচনা করে রাশিয়াকে সাপোর্ট দিতে চান, সেক্ষেত্রে হয়তো একটা বেজ থাকতে পারে যে রাশিয়া সিকিউরিটির কথা ভেবে হামলা করেছে।

কিন্তু এক্ষেত্রেও এটা কোনো যুক্তিসংগত কারণ হয়না।

ধরা যাক, চীন বেল্ট এন্ড রোড ইনিশিয়েটিভ চালু করলো। ভারত সেটাতে যোগ দিবেনা। কিন্তু বাংলাদেশ যোগ দিতে চায়। এখন বাংলাদেশ যেন যোগ না দেয় সেজন্য ভারত বাংলাদেশের উপর হামলা শুরু করলো। এটা কি আপনার পছন্দ হবে? 

রাশিয়া যে কাজটা করছে সেটা হলো জোর করে আদায় করা। যেরকমভাবে ১৯৭১ সালে পশ্চিম পাকিস্তান জোর করে পূর্ব পাকিস্তানকে নিজেদের মধ্যে রাখতে চেয়েছ।

ইউক্রেন একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। সেখানকার নাগরিকরা নিজেদের প্রত্যক্ষ ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করেছে। তারা নিজেরা নিজেদের সিদ্ধান্ত নিতে পারে। ইউক্রেনের বর্তমান রাষ্ট্রপতি একজন ইহুদী। আর ইউক্রেন খ্রিস্টান রাষ্ট্র।

এদিকে রাশিয়াও খ্রিষ্টান রাষ্ট্র।
অর্থাৎ লড়াইটা দুইটা খ্রিষ্টান রাষ্ট্রের মধ্যে।

সেখানে ধর্মের অন্ধ চশমা পরে এদেশবাসি ইউক্রেনের উপর প্রতিশোধ নিতে রাশিয়াকে মনের গোপন ভালোবাসা সব দিয়ে দিচ্ছে। 

অথচ চেচনিয়ার মুসলিমদের গণহত্যা, সিরিয়ায় আসাদ সরকারের সাথে মিলে রাসায়নিক ব্যবহার করে হত্যা এসবই রাশিয়ার কাজ। রাশিয়ার প্রত্যক্ষ সমর্থনে চীনে উইঘুর মুসলিদের উপর নির্যাতন হচ্ছে। এর বাইরে ইউরোপে ইসলামফোব ছড়ানোতেও রাশিয়ার অবদান কম না।

এদেশের মুখে মুখে গণতন্ত্রের স্লোগান তোলা প্রত্যেকের মনের ভেতরে আস্ত বড় একেকটা এক নায়ক বসবাস করে। 
এরা ভুলে যায় পুতিন হলো আরেকজন শেখ হাসিনা, কিম জং উন আরেকজন পুতিন।

বরং এই দ্বিমুখী নির্বোধ যুক্তিহীন কাজের কারণেই আমি দেখি এদেশের মানুষ কখনো নিজেদের যৌক্তিক সুবিধা আদায় করতে পারেনা, আর বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে মুসলিরা পারেনা শত্রুদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে। 

রাশিয়ার বিরুদ্ধে পুরো ইউরোপ আর আমেরিকা যেভাবে দাঁড়াচ্ছে, সেভাবে মুসলিম সব দেশ বা ও আই সি একত্র হলেতো ইজরায়েলের অস্তিত্ব থাকার কথা না!

অথচ শুধু এই প্রতিহিংসা পরায়ণ আর নির্বোধ আচরণ এদের কূপমণ্ডূক করে রেখেছে।

এরা ভুলে যায় যে ইউক্রেনের মানুষগুলো আর প্যালেস্টাইনের মানুষগুলো একই। দুদলই অন্যায়ের স্বীকার।
প্যালেস্টাইন স্বীকার হচ্ছে, তাই ইউক্রেনের হওয়া জায়েজ এই চিন্তাটাই বিষাক্ত এবং শুধু প্রতিহিংসার।

এতে আর কোনো যৌক্তিকতা নেই।

এটাও ভাবা উচিৎ মায়ানমারে রোহিঙ্গা, ১৯৭১ এর বাংলাদেশী, প্যালেস্টিনিয়ান, সিরিয়া, সৌদিদের হামলায় গৃহহীন ইয়েমেন, চীনের উইঘুর আর ইউক্রেনের এখনকার মানুষ - সবাই একই শ্রেণীর। 

এদের কারো প্রতি সহমর্মি হতে গেলে সবার প্রতিই হতে হয়, নাহলে কারো জন্যই না!

নিজ দেশে মতামত প্রকাশ করতে না পারেন, তাই বলে শাসকশ্রেণীর অংশ হয়ে যাবেন না। 






March 04, 2022 1 comments
Older Posts Home

Labels

On Point On Topic Special Day

recent posts

Blog Archive

  • April (1)
  • March (2)
  • February (1)
  • January (1)
  • August (1)
  • July (1)
  • March (1)
  • February (1)
  • October (1)
  • March (1)
  • April (1)
  • March (2)
  • November (1)
  • May (1)
  • November (3)
  • October (2)
  • September (1)
  • August (1)
  • July (1)
  • June (1)
  • May (2)
  • April (2)
  • March (5)
  • February (1)
  • February (1)

Designed By | Distributed By GooyaabiTemplates