আত্মাহুতিঃ শাব্দিক ও আত্মীক আলোচনা
আত্মাহুতি। মানে নিজেকে খুন করা। এই নিজেকে কথাটার আমার কাছে অনেকগুলো জটিল ব্যাখ্যা আছে।
নিজের ব্যাপারটা অনেকরকম হয়। সেক্ষেত্রে আত্মাহুতি শব্দটার প্রায়োগিক ব্যাখ্যা অনেকরকম। নিজের প্রাণ করে দেয়াটা একধরণের আত্মাহুতি হতে পারে।
এক্ষেত্রে একটা অর্থ দাড়াচ্ছে, নিজেকে সবার কাছে প্রকাশ করে দেয়। যতদিন আপনি বেচে থাকবে, ততদিন আপনার সম্পর্কে অন্যদের আচরণ আর আপনি মারা যাবার পর অন্যদের আচরণ একইরকম হবেনা। তখন আপনি সবার কাছে উন্মুক্ত হয়ে যাবেন। এই ব্যাপারটাকে আমি মৃত্যু হিসেবে চিন্তা করি। আপনার স্বাধীনতা, ব্যক্তিত্বে আপনার অধিকার থাকবেনা।
আমার অনেকগুলো সিক্রেট ব্যাপার আছে। এই ব্যাপারগুলো প্রকাশ হয়ে যাওয়াটাও আমার কাছে আত্মহুতি দেবার মতো। যখন এই ব্যাপারগুলো আমি ছাড়াও আরো অনেকি জানবে, তখন সেটাও আমার জন্য আত্মাহুতিমূলক। এখানে "নিজের" ব্যাপারকে আত্মাহুতি দেয়া হয়েছে।
আত্মহত্যা নিয়ে আমার একটা বিশাল প্রবন্ধ আছে। সেখানে লিখেছিলাম, মানুষ কেন আত্মহত্যার পথ বেঁচে নেয়।
এরমধ্যে প্রধান কারণ হয়, যখন সে নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য তার নিজের কাছে কিছু থাকেনা। তার সবকিছুই পাবলিক হয়ে যায়।
অন্যভাবে, সে যখন মানসিকভাবে প্রচন্ড ভেঙ্গে পড়ে, বা সবার কাছ থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়। অথবা খুব কাছের কারো কাছে অপমানিত হয়।
ওপেন সোর্স সামাজিকতার যুগে এখন মানুষের পার্সোনাল বলে কিছু থাকেনা। ফলে তার ব্যক্তিগত কাজেও অনেকের প্রভাব চলে আসে। এক্ষেত্রে সে সিদ্ধান্থীনতায় ভোগে এবং মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে। এক পর্যায়ে আত্মাহুতির মতো ভয়ানক সিদ্ধান্ত নেয়।
আত্মাহুতি দেয়ার চেয়ে, না দিয়ে কেন বেঁচে থাকে- সেটা নিয়ে আলোচনা বেশী ভালো মনে হচ্ছে।
যখন কেউ প্রচন্ড মানসিক আঘাত পায়, তবুও মৃত্যুর পথ বেঁচে নেয়না, এক্ষেত্রে সবসময় এমন কেউ দায়ী থাকে, যার জন্য সে মরতে পারেনা। বেশীরভাগ ক্ষেত্রে এই একজন মা, বাবা, বা বিশেষ কেউ একজন হয়- যার মুখের দিকে তাকিয়ে সে মরতে পারেনা। এই একজন অনেক বড় একটা ফ্যাক্টর, যার কারণে সে মৃত্যুর চেয়েও বেশী কষ্ট নিয়ে বেঁচে থাকে।
আমি এমন কয়েকজন প্যাশেন্ট পেয়েছি, যারা বেঁচে থাকার একমাত্র কারণ ঐ একজন। কখনো সে নিজেই আমাকে বলেছে - সে একজনের জন্য বেঁচে আছে, কখনো আমিই তাকে ঐ একজনের দোহায় দিয়ে বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা দিয়েছি।
যখন কেউ বলে আমি মরতে চাই, এরমানে সে নিশ্চয় এমন কিছু প্রত্যক্ষ করেছে - যার মধ্যে সে তার সর্বোচ্চ অবলম্বন হারিয়েছে। এবং আমি এরমধ্যে সবচেয়ে বেশী যা পর্যবেক্ষণ করেছি তাহল, ঐ ঘটনাটা যদি সে ছাড়া আর কেউ না জানে, তাহলে আর আত্মাহুতি দেয়ার সম্ভাবনার চেয়ে অনেকে জেনে ফেললে, তার সম্ভবনা বেশী হয়।
কারণ একা একা অনেককিছুই চেপে রাখার যায়, যা অনেকেই জেনে ফেললে কষ্ট শুধু বেড়েই চলে। আর সেই জেনে ফেলাটাকেই আমি বলি আমার গোপন কথাটা অন্যেরা জেনে ফেলা বা সেই কথাটার আত্মাহুতি, যেটা শারিরীক আত্মাহুতির চেয়েও বেশী কষ্টের। আর যেজন্য সবাই শারিরীক ব্যাপারটাকেই গ্রহণ করতে বেশী পছন্দ করে !!
নিজের ব্যাপারটা অনেকরকম হয়। সেক্ষেত্রে আত্মাহুতি শব্দটার প্রায়োগিক ব্যাখ্যা অনেকরকম। নিজের প্রাণ করে দেয়াটা একধরণের আত্মাহুতি হতে পারে।
এক্ষেত্রে একটা অর্থ দাড়াচ্ছে, নিজেকে সবার কাছে প্রকাশ করে দেয়। যতদিন আপনি বেচে থাকবে, ততদিন আপনার সম্পর্কে অন্যদের আচরণ আর আপনি মারা যাবার পর অন্যদের আচরণ একইরকম হবেনা। তখন আপনি সবার কাছে উন্মুক্ত হয়ে যাবেন। এই ব্যাপারটাকে আমি মৃত্যু হিসেবে চিন্তা করি। আপনার স্বাধীনতা, ব্যক্তিত্বে আপনার অধিকার থাকবেনা।
আমার অনেকগুলো সিক্রেট ব্যাপার আছে। এই ব্যাপারগুলো প্রকাশ হয়ে যাওয়াটাও আমার কাছে আত্মহুতি দেবার মতো। যখন এই ব্যাপারগুলো আমি ছাড়াও আরো অনেকি জানবে, তখন সেটাও আমার জন্য আত্মাহুতিমূলক। এখানে "নিজের" ব্যাপারকে আত্মাহুতি দেয়া হয়েছে।
আত্মহত্যা নিয়ে আমার একটা বিশাল প্রবন্ধ আছে। সেখানে লিখেছিলাম, মানুষ কেন আত্মহত্যার পথ বেঁচে নেয়।
এরমধ্যে প্রধান কারণ হয়, যখন সে নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য তার নিজের কাছে কিছু থাকেনা। তার সবকিছুই পাবলিক হয়ে যায়।
অন্যভাবে, সে যখন মানসিকভাবে প্রচন্ড ভেঙ্গে পড়ে, বা সবার কাছ থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়। অথবা খুব কাছের কারো কাছে অপমানিত হয়।
ওপেন সোর্স সামাজিকতার যুগে এখন মানুষের পার্সোনাল বলে কিছু থাকেনা। ফলে তার ব্যক্তিগত কাজেও অনেকের প্রভাব চলে আসে। এক্ষেত্রে সে সিদ্ধান্থীনতায় ভোগে এবং মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে। এক পর্যায়ে আত্মাহুতির মতো ভয়ানক সিদ্ধান্ত নেয়।
আত্মাহুতি দেয়ার চেয়ে, না দিয়ে কেন বেঁচে থাকে- সেটা নিয়ে আলোচনা বেশী ভালো মনে হচ্ছে।
যখন কেউ প্রচন্ড মানসিক আঘাত পায়, তবুও মৃত্যুর পথ বেঁচে নেয়না, এক্ষেত্রে সবসময় এমন কেউ দায়ী থাকে, যার জন্য সে মরতে পারেনা। বেশীরভাগ ক্ষেত্রে এই একজন মা, বাবা, বা বিশেষ কেউ একজন হয়- যার মুখের দিকে তাকিয়ে সে মরতে পারেনা। এই একজন অনেক বড় একটা ফ্যাক্টর, যার কারণে সে মৃত্যুর চেয়েও বেশী কষ্ট নিয়ে বেঁচে থাকে।
আমি এমন কয়েকজন প্যাশেন্ট পেয়েছি, যারা বেঁচে থাকার একমাত্র কারণ ঐ একজন। কখনো সে নিজেই আমাকে বলেছে - সে একজনের জন্য বেঁচে আছে, কখনো আমিই তাকে ঐ একজনের দোহায় দিয়ে বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা দিয়েছি।
যখন কেউ বলে আমি মরতে চাই, এরমানে সে নিশ্চয় এমন কিছু প্রত্যক্ষ করেছে - যার মধ্যে সে তার সর্বোচ্চ অবলম্বন হারিয়েছে। এবং আমি এরমধ্যে সবচেয়ে বেশী যা পর্যবেক্ষণ করেছি তাহল, ঐ ঘটনাটা যদি সে ছাড়া আর কেউ না জানে, তাহলে আর আত্মাহুতি দেয়ার সম্ভাবনার চেয়ে অনেকে জেনে ফেললে, তার সম্ভবনা বেশী হয়।
কারণ একা একা অনেককিছুই চেপে রাখার যায়, যা অনেকেই জেনে ফেললে কষ্ট শুধু বেড়েই চলে। আর সেই জেনে ফেলাটাকেই আমি বলি আমার গোপন কথাটা অন্যেরা জেনে ফেলা বা সেই কথাটার আত্মাহুতি, যেটা শারিরীক আত্মাহুতির চেয়েও বেশী কষ্টের। আর যেজন্য সবাই শারিরীক ব্যাপারটাকেই গ্রহণ করতে বেশী পছন্দ করে !!
0 comments