facebook twitter tumblr instagram linkedin
  • Home
  • On Topic
    • On Topic
    • Short Codes
  • Special Day
  • FEC

Mahdi Hasan

সিঙ্গার কর্পোরেশনের জন হয়েছিলো এখন থেকে ১৬৭ বছর আগে, ১৮৫১ সালে।

তবে আজকের দিনের বিশেষত্ব হল , আজ স্যার আইজ্যাক ম্যারিট সিঙ্গার এর জন্মদিন।
Edward Harrison May - Isaac Merrit Singer (October 27, 1811 – July 23, 1875)

মানুষ পৃথিবী ছেড়ে যাওয়ার পর ধন ধৌলত আর সম্মান রেখে যায়, স্যার ম্যারিট সেসাথে রেখে গেছেন ২৪ জন সন্তান!

ম্যারিট ছিলেন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বলা হয়ে থাকে ইঞ্জিনিয়ারের গফের অভাব হলেও বউ এর অভাব হয়না, তবে সিঙ্গার এর ক্ষেত্রে দুটোই পর্যাপ্ত ছিলো। একে একে সে ৫ জন এর সাথে সংসার পাতে!

হাতের পরিবর্তে যন্ত্রের সাহায্যে সেলাইয়ের প্রচলন হয় অষ্টাদশ শতাব্দীতে। বিশ্বের প্রথম শিল্প বিপ্ল­বের সময় সেলাই মেশিন উদ্ভাবিত হয়। তবে এর আগেও সেলাইয়ের কাজে খুব সাধারণ যন্ত্রের ব্যবহার ছিল। ১৮৪৬ সালে এলিয়েস হোউই এই যন্ত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন আনেন। প্রথমদিকে মেশিনগুলোর নকশা এমনভাবে করা হয়েছিল যা শুধু শিল্প-কারখানায় ব্যবহার করা যেত। তখন যন্ত্রবিশারদ স্যার আইজ্যাক ম্যারিট সিঙ্গার শিল্প-কারখানার পাশাপাশি ঘরে ব্যবহার উপযোগী সেলাই মেশিন তৈরির প্রযুক্তি আবিষ্কার করেন। ১৮৫১ সালে ধরা করা মাত্র ৪০ ডলার পুঁজি নিয়ে বাসায় ব্যবহার উপযোগী সেলাই মেশিন উৎপাদন ও বিক্রি শুরু করেন। তার নামানুসারেই কো¤পানির নাম রাখা হয় সিঙ্গার। তিনিই প্রথম সেলাই কলে স্কেল সংযোজন করেন। সিঙ্গার মূলত এলিয়াসের সেলাই মেশিনের সামান্য পরিমার্জন সাধন করেন। মেশিনের চাহিদার কারণে এর বিক্রি বেড়ে যায়। বাড়তে থাকে পুঁজির পরিমাণও।

১৮৭৬ সালে সিঙ্গার মাল্টিন্যাশনাল কো¤পানিতে পরিণত হয়। কো¤পানিটি পৃথিবীর বৃহত্তম ব্যক্তিগত সেলাই কল তৈরির প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্থান করে নেয়। ১৮৮৯ সালে প্রথম ইলেকট্রিক সেলাই কল বাজারে আনে সিঙ্গার। তখন পৃথিবীজুড়ে এ নমুনার সেলাই মেশিন ছড়িয়ে পড়ে। এ মেশিন ব্যবহৃত হয় হোসিয়ারি শিল্পে। হাত বা পাচালিত মেশিনগুলোর চেয়ে ইলেকট্রিক মেশিন দিয়ে নকশা করা, ফুল তোলা ও বিশেষ ধরনের সেলাইসহ সাধারণ কাজও সহজে এবং কম সময়ে করা যায়। ফলে এর জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে।

ব্রিটিশ আমলে ১৯০৫ সালে সিঙ্গার প্রথম বাংলাদেশে আসে। পরে ১৯২০ সালে ঢাকা ও চট্টগ্রামে দুটি শাখা চালু করে। বর্তমানে সারা দেশেই এই কো¤পানির আউটলেট রয়েছে। বাংলাদেশে একাধিক কারখানাও করেছে।

১৯৮৩ সালে সিঙ্গার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হয়। ২০০১ সালে তারা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও তালিকাভুক্ত হয়। বর্তমানে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতিটি শেয়ারের দাম ১৮৮ টাকা। তাদের অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৭৭ কোটি টাকা। বাজারে প্রায় ৭ কোটি ৬৭ লাখ শেয়ার রয়েছে। প্রতিবছর তারা মোটা অঙ্কের লভ্যাংশ দিচ্ছে।

জন্মদিনে এই মহান অভিনেতা, ব্যবসায়ী, উদ্ভাবক, জনসংখ্যা বৃদ্ধি অনুরাগী, প্রেমসম্রাট ও সর্বপরি প্রকৌশলীকে জানাই অনেক অনেক শুভেচ্ছা ।

উইকি
আমাদের সময় 
October 26, 2018 No comments

ট্যাক্সিডার্মি'র নাম শুনেছেন নিশ্চয়।
মৃত প্রাণীর চামড়া ব্যাবহার করে বিশেষ কৌশলে তার মধ্যে জীবন্ত রূপ ফুটিয়ে তোলাই হচ্ছে ট্যাক্সিডার্মি।
বিজ্ঞান ও শিল্পের এক স্বপ্নময় যুগলবন্দী হল ট্যাক্সিডার্মি।

বাংলাদেশের মানুষ এ ধরণের ব্যাপার সাধারণৎ হলিউডের সিনেমাতেই দেখে থাকে।
কেননা, শুধুমাত্র পৃথিবীর বিখ্যাত সব হিস্ট্রি মিউজিয়ামে( লন্ডন, বার্লিন, ওয়াশিংটন প্রভৃতি) প্রাণীদের এ ধরণের শিল্পময় উপস্থাপন দেখতে পাওয়া যায়।

এই কাজটা মোটেও সহজ নয়। দক্ষ ও নিপুণ ট্যাক্সিডার্মিস হতে গেলে ধৈর্য, একাগ্রতা ও প্রচণ্ড ইচ্ছাশক্তির সঙ্গে সৃজনশীল শৈল্পিক মনের অধিকারী হতে হয়।

আর সম্প্রতি এই গুণগুলোর এক অসাধারণ অভিপ্রকাশ ঘটেছে দুই বাংলাদেশী আমিনুল ও রায়হান এর মধ্যে। ২০১৬ এর ৫-৯ এপ্রিল জার্মানির বার্লিন শহরে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক ট্যাক্সিডার্মি কনফারেন্স-২০১৬ উপলক্ষে বাংলাদেশের এই সাফল্যটি এসেছে। বাংলাদেশের দুই তরুণ আমিনুল ও রায়হান চারটি ক্যাটাগরিতে মোট পাঁচটি পুরস্কার জিতে নিয়েছেন। তার মধ্যে আমিনুল একাই জিতেছেন দুটি প্রথম ও দুটি দ্বিতীয় পুরস্কার। রায়হান জিতেছেন একটি দ্বিতীয় পুরস্কার। আর এ অর্জনের মাধ্যমে বাংলাদেশ পেল দু'জন আন্তর্জাতিক মানের ট্যাক্সিডার্মিস্ট। ট্যাক্সিডার্মির জগতে বাংলাদেশও এখন অনন্য এক উচ্চতায়।
জার্মান ট্যাক্সিডার্মি সোসাইটি কর্তৃক আয়োজিত এ প্রতিযোগিতায় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ২০০ প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন। এই প্রতিযোগিতার জন্য কয়েক মাস আগে আয়োজকরা প্রতিযোগিতার জন্য চ্যালেঞ্জ হিসেবে কয়েকটি প্রাণীর প্রজাতি নির্ধারণ করে। বিশ্বের অন্যান্য প্রতিযোগীর মতো বাংলাদেশের রায়হান ও আমিনুলও সেই চ্যালেঞ্জিং প্রাণী প্রজাতির ট্যাক্সিডার্মি শুরু করেন এবং তাদের সেই তৈরিকৃত প্রাণীগুলো নিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। দু'জনই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগ থেকে পাস করে বের হয়েছেন। ২০১৩ সাল থেকে জার্মানির অ্যাফোর্ট শহরে অবস্থিত ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামে বিখ্যাত ট্যাক্সিডার্মিস্ট মার্কো ফিশারের তত্ত্বাবধানে ইউরোপের নামকরা সব প্রতিষ্ঠানে ট্যাক্সিডার্মির বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন আমিনুল ও রায়হান।

এর আগে ২০১৪ সালে (২২-২৭ এপ্রিল) ইতালিতে অনুষ্ঠিত 'ইউরোপিয়ান ট্যাক্সিডার্মি চ্যাম্পিয়নশিপ' প্রতিযোগিতায় এই তরুণদ্বয় যুগ্মভাবে ইউরোপের সব প্রতিযোগীকে হারিয়ে দিয়ে 'বেস্ট ডিজাইন অ্যাওয়ার্ড' শাখায় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেন।

'ইউরোপিয়ান ট্যাক্সিডার্মি চ্যাম্পিয়নশিপ'_ এ ধরনের একটি প্রতিযোগিতা যা সাধারণত চার বছর পরপর অনুষ্ঠিত হয়। এবারে এই প্রতিযোগিতা ইতালির উত্তর-পূর্বাঞ্চলে রোমানদের স্মৃতিবিজড়িত এবং প্রথম বিশ্বযুদ্ধের স্বাক্ষরবাহী লংগরন শহরে গত এপ্রিল মাসে (২২-২৭) অনুষ্ঠিত হয়। ইউরোপের পনেরোটি দেশ থেকে প্রায় ১০০ প্রতিযোগী এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে।

বিশ্বে ১০০ বছর ধরে ট্যাক্সিডার্মির কাজ চললেও বাংলাদেশে তা মাত্র ৬-৭ বছর। আর এই অতি স্বল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে দু'বার অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করল।

বিশ্বে অনেকগুলো ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম থাকলেও বাংলাদেশে একটিও নেই। তবে আশার কথা, ঢাকাতে একটি হিস্ট্রি মিউজিয়াম নির্মানের কাজ চলছে। এরপর প্রতিটি বিভাগেই একটি করে মিউজিয়াম করার পরিকল্পনা রয়েছে ।

বাংলাদেশে বিভিন্ন এলাকায় প্রতি বছর স্বাভাবিক প্রাকৃতিক নিয়মে কিংবা ঝড়, জলোচ্ছ্বাস, সাইক্লোন প্রভৃতি কারণে নানা ধরনের অসংখ্য প্রাণী মারা যায়। ট্যাক্সিডার্মির সাহায্যে মৃত সেসব প্রাণীর অবিকল প্রতিরূপ তৈরি করে তা থেকে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করাও সম্ভব। ট্যাক্সিডার্মিস্টরা হচ্ছেন ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামের অন্যতম মানবসম্পদ। তাই দু-দুটো আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় একাধিক পুরস্কারপ্রাপ্ত আমিনুল ও রায়হান বাংলাদেশে ভবিষ্যৎ একাধিক ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামের জন্যও সম্পদ হতে পারেন। বাংলাদেশ অপেক্ষায় রইল এই দুই তরুণের।

এডমিশন মৌসূমে ছেলেপেলেদের সবচেয়ে হতাশা দেখা যায় কোনো বিষয়ে পড়বে তা নিয়ে। লোকমুখে সিএসই, ইইই কিংবা বিবিএর নাম শুনে শুনে সবাই এগুলোকেও দামী হিসেবে বিবেচনা করে থাকে। কিন্তু সমস্যা হল, অন্য বিষয়গুলোর সৌন্দর্য তুলে ধরা হয়না। যেকারণে উদ্ভিদবিজ্ঞান, প্রাণীবিজ্ঞান সহ অন্যান্য বিষয়গুলকে কেউ গুরত্ব দেয়ান। কারণ, এগুলো নিয়েও যে সৃজনশীলতা দিয়ে অনেক গুরত্বপূর্ণ কাজ করা যায়, তা তাদের সামনে তুলে ধরা হয়না।

আমিনুল ও রায়হান ভাই এর প্রাণীবিজ্ঞান থেকে পড়ে পৃথিবীর নামিদামী পুরষ্কার অর্জন নিঃসন্দেহে জুনিয়রদের প্রাণিবিজ্ঞান পড়ার প্রতি আগ্রহ একটু হলেও বাড়াবে।

(দুবছর আগের লেখা থেকে...)

এ সম্পর্কিত আরো লেখাঃ 

ট্যাক্সিডার্মির ভুবনে দুই কীর্তিমান বাংলাদেশি 2016
ট্যাক্সিডার্মিতে আন্তর্জাতিক অর্জন 2014
UTA award 2018 
European Taxidermy Championships
October 24, 2018 No comments
Newer Posts Older Posts Home

Labels

On Point On Topic Special Day

recent posts

Blog Archive

  • April (1)
  • March (2)
  • February (1)
  • January (1)
  • August (1)
  • July (1)
  • March (1)
  • February (1)
  • October (1)
  • March (1)
  • April (1)
  • March (2)
  • November (1)
  • May (1)
  • November (3)
  • October (2)
  • September (1)
  • August (1)
  • July (1)
  • June (1)
  • May (2)
  • April (2)
  • March (5)
  • February (1)
  • February (1)

Designed By | Distributed By GooyaabiTemplates