সিঙ্গার কর্পোরেশনের জন হয়েছিলো এখন থেকে ১৬৭ বছর আগে, ১৮৫১ সালে।
তবে আজকের দিনের বিশেষত্ব হল , আজ স্যার আইজ্যাক ম্যারিট সিঙ্গার এর জন্মদিন।
Edward Harrison May - Isaac Merrit Singer (October 27, 1811 – July 23, 1875)
মানুষ পৃথিবী ছেড়ে যাওয়ার পর ধন ধৌলত আর সম্মান রেখে যায়, স্যার ম্যারিট সেসাথে রেখে গেছেন ২৪ জন সন্তান!
ম্যারিট ছিলেন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বলা হয়ে থাকে ইঞ্জিনিয়ারের গফের অভাব হলেও বউ এর অভাব হয়না, তবে সিঙ্গার এর ক্ষেত্রে দুটোই পর্যাপ্ত ছিলো। একে একে সে ৫ জন এর সাথে সংসার পাতে!
হাতের পরিবর্তে যন্ত্রের সাহায্যে সেলাইয়ের প্রচলন হয় অষ্টাদশ শতাব্দীতে। বিশ্বের প্রথম শিল্প বিপ্লবের সময় সেলাই মেশিন উদ্ভাবিত হয়। তবে এর আগেও সেলাইয়ের কাজে খুব সাধারণ যন্ত্রের ব্যবহার ছিল। ১৮৪৬ সালে এলিয়েস হোউই এই যন্ত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন আনেন। প্রথমদিকে মেশিনগুলোর নকশা এমনভাবে করা হয়েছিল যা শুধু শিল্প-কারখানায় ব্যবহার করা যেত। তখন যন্ত্রবিশারদ স্যার আইজ্যাক ম্যারিট সিঙ্গার শিল্প-কারখানার পাশাপাশি ঘরে ব্যবহার উপযোগী সেলাই মেশিন তৈরির প্রযুক্তি আবিষ্কার করেন। ১৮৫১ সালে ধরা করা মাত্র ৪০ ডলার পুঁজি নিয়ে বাসায় ব্যবহার উপযোগী সেলাই মেশিন উৎপাদন ও বিক্রি শুরু করেন। তার নামানুসারেই কো¤পানির নাম রাখা হয় সিঙ্গার। তিনিই প্রথম সেলাই কলে স্কেল সংযোজন করেন। সিঙ্গার মূলত এলিয়াসের সেলাই মেশিনের সামান্য পরিমার্জন সাধন করেন। মেশিনের চাহিদার কারণে এর বিক্রি বেড়ে যায়। বাড়তে থাকে পুঁজির পরিমাণও।
১৮৭৬ সালে সিঙ্গার মাল্টিন্যাশনাল কো¤পানিতে পরিণত হয়। কো¤পানিটি পৃথিবীর বৃহত্তম ব্যক্তিগত সেলাই কল তৈরির প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্থান করে নেয়। ১৮৮৯ সালে প্রথম ইলেকট্রিক সেলাই কল বাজারে আনে সিঙ্গার। তখন পৃথিবীজুড়ে এ নমুনার সেলাই মেশিন ছড়িয়ে পড়ে। এ মেশিন ব্যবহৃত হয় হোসিয়ারি শিল্পে। হাত বা পাচালিত মেশিনগুলোর চেয়ে ইলেকট্রিক মেশিন দিয়ে নকশা করা, ফুল তোলা ও বিশেষ ধরনের সেলাইসহ সাধারণ কাজও সহজে এবং কম সময়ে করা যায়। ফলে এর জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে।
ব্রিটিশ আমলে ১৯০৫ সালে সিঙ্গার প্রথম বাংলাদেশে আসে। পরে ১৯২০ সালে ঢাকা ও চট্টগ্রামে দুটি শাখা চালু করে। বর্তমানে সারা দেশেই এই কো¤পানির আউটলেট রয়েছে। বাংলাদেশে একাধিক কারখানাও করেছে।
১৯৮৩ সালে সিঙ্গার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হয়। ২০০১ সালে তারা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও তালিকাভুক্ত হয়। বর্তমানে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতিটি শেয়ারের দাম ১৮৮ টাকা। তাদের অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৭৭ কোটি টাকা। বাজারে প্রায় ৭ কোটি ৬৭ লাখ শেয়ার রয়েছে। প্রতিবছর তারা মোটা অঙ্কের লভ্যাংশ দিচ্ছে।
জন্মদিনে এই মহান অভিনেতা, ব্যবসায়ী, উদ্ভাবক, জনসংখ্যা বৃদ্ধি অনুরাগী, প্রেমসম্রাট ও সর্বপরি প্রকৌশলীকে জানাই অনেক অনেক শুভেচ্ছা ।
উইকি
আমাদের সময়
তবে আজকের দিনের বিশেষত্ব হল , আজ স্যার আইজ্যাক ম্যারিট সিঙ্গার এর জন্মদিন।
Edward Harrison May - Isaac Merrit Singer (October 27, 1811 – July 23, 1875)
মানুষ পৃথিবী ছেড়ে যাওয়ার পর ধন ধৌলত আর সম্মান রেখে যায়, স্যার ম্যারিট সেসাথে রেখে গেছেন ২৪ জন সন্তান!
ম্যারিট ছিলেন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বলা হয়ে থাকে ইঞ্জিনিয়ারের গফের অভাব হলেও বউ এর অভাব হয়না, তবে সিঙ্গার এর ক্ষেত্রে দুটোই পর্যাপ্ত ছিলো। একে একে সে ৫ জন এর সাথে সংসার পাতে!
হাতের পরিবর্তে যন্ত্রের সাহায্যে সেলাইয়ের প্রচলন হয় অষ্টাদশ শতাব্দীতে। বিশ্বের প্রথম শিল্প বিপ্লবের সময় সেলাই মেশিন উদ্ভাবিত হয়। তবে এর আগেও সেলাইয়ের কাজে খুব সাধারণ যন্ত্রের ব্যবহার ছিল। ১৮৪৬ সালে এলিয়েস হোউই এই যন্ত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন আনেন। প্রথমদিকে মেশিনগুলোর নকশা এমনভাবে করা হয়েছিল যা শুধু শিল্প-কারখানায় ব্যবহার করা যেত। তখন যন্ত্রবিশারদ স্যার আইজ্যাক ম্যারিট সিঙ্গার শিল্প-কারখানার পাশাপাশি ঘরে ব্যবহার উপযোগী সেলাই মেশিন তৈরির প্রযুক্তি আবিষ্কার করেন। ১৮৫১ সালে ধরা করা মাত্র ৪০ ডলার পুঁজি নিয়ে বাসায় ব্যবহার উপযোগী সেলাই মেশিন উৎপাদন ও বিক্রি শুরু করেন। তার নামানুসারেই কো¤পানির নাম রাখা হয় সিঙ্গার। তিনিই প্রথম সেলাই কলে স্কেল সংযোজন করেন। সিঙ্গার মূলত এলিয়াসের সেলাই মেশিনের সামান্য পরিমার্জন সাধন করেন। মেশিনের চাহিদার কারণে এর বিক্রি বেড়ে যায়। বাড়তে থাকে পুঁজির পরিমাণও।
১৮৭৬ সালে সিঙ্গার মাল্টিন্যাশনাল কো¤পানিতে পরিণত হয়। কো¤পানিটি পৃথিবীর বৃহত্তম ব্যক্তিগত সেলাই কল তৈরির প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্থান করে নেয়। ১৮৮৯ সালে প্রথম ইলেকট্রিক সেলাই কল বাজারে আনে সিঙ্গার। তখন পৃথিবীজুড়ে এ নমুনার সেলাই মেশিন ছড়িয়ে পড়ে। এ মেশিন ব্যবহৃত হয় হোসিয়ারি শিল্পে। হাত বা পাচালিত মেশিনগুলোর চেয়ে ইলেকট্রিক মেশিন দিয়ে নকশা করা, ফুল তোলা ও বিশেষ ধরনের সেলাইসহ সাধারণ কাজও সহজে এবং কম সময়ে করা যায়। ফলে এর জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে।
ব্রিটিশ আমলে ১৯০৫ সালে সিঙ্গার প্রথম বাংলাদেশে আসে। পরে ১৯২০ সালে ঢাকা ও চট্টগ্রামে দুটি শাখা চালু করে। বর্তমানে সারা দেশেই এই কো¤পানির আউটলেট রয়েছে। বাংলাদেশে একাধিক কারখানাও করেছে।
১৯৮৩ সালে সিঙ্গার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হয়। ২০০১ সালে তারা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও তালিকাভুক্ত হয়। বর্তমানে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতিটি শেয়ারের দাম ১৮৮ টাকা। তাদের অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৭৭ কোটি টাকা। বাজারে প্রায় ৭ কোটি ৬৭ লাখ শেয়ার রয়েছে। প্রতিবছর তারা মোটা অঙ্কের লভ্যাংশ দিচ্ছে।
জন্মদিনে এই মহান অভিনেতা, ব্যবসায়ী, উদ্ভাবক, জনসংখ্যা বৃদ্ধি অনুরাগী, প্রেমসম্রাট ও সর্বপরি প্রকৌশলীকে জানাই অনেক অনেক শুভেচ্ছা ।
উইকি
আমাদের সময়