facebook twitter tumblr instagram linkedin
  • Home
  • On Topic
    • On Topic
    • Short Codes
  • Special Day
  • FEC

Mahdi Hasan




এরকম প্রশ্ন হয় এই ইস্যুতে প্রতিবাদ/আন্দোলন হয়না, ওটা নিয়ে কিছু বলেনা কিন্তু মোদিকে নিয়ে প্রতিবাদ করে, হরতাল ডাকে - এরচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তো আছে। এখানে ব্যাপার হলো প্রতিবাদ করাটা প্রত্যেকের স্বাধীনতা। কেউ যদি মনে করে এটা তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ তাহলে সে প্রতিবাদ করবেই, এটা নিয়ে আপনি নাখোশ হতে পারবেন না। কিন্তু প্রতিবাদ যদি সহিংস হয়, তবেই তার বিরোধীতা করা যাবে। মোদির আসার বিরোধীতা নিয়ে অনেকদিন ধরে বামপন্থি ছাত্ররা প্রতিবাদ করেছিলো। তাদের প্রতিবারের কারণ ছিলো মোদির গুজরাট হত্যা, আসামে নাগরিক তালিকা সংশোধন করা সহ আরো অনেক মানবাধিকার বিরোধী কাজের। সাথে আছে পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে বাংলাদেশকে কৌশলগতভাবে ব্যাবহারের উদ্দেশ্যে মোদির ভ্রমণ। এরমধ্যে রয়েছে বিজেপি যদি জিতে তাহলে তারা তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়নে কাজ করবে এরকম কথা বলেছে। সেজন্য আওয়ামীলীগ বিজেপিকে সাহায্য করবে তাকে দাওয়াত দিয়ে এনে তার ভ্যালু বাড়ানোর কাজ করবে, সাতক্ষিরায় মন্দির ভ্রমণ করে সে অনুসারীদের মন পেতে সাহায্য করবে। মোট কথা মোদিকে ভোটে মার্কেটিং এ সাহায্য করার জন্য তাকে স্বাধীনতা দিবসে দাওয়াত দেয়া। এসবের প্রতিবাদেই কয়েকদিন ধরে টিএসসি এলাকায় ছাত্ররা আন্দোলন করেছিল, আর তায়ে এসে ছাত্রলীগ + পুলিশ মেরেছে। সনজিত নামে একজন ঘোষণা দিয়েছে কেউ মোদির বিরোধীতা করলে তার কলিজা ছিঁড়ে নিবে। অর্থাৎ সে এদেশে মোদির সিকিউরিটির দায়িত্বে আছে। এবং সাথে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ হিসেবে প্রতিবাদকারীদের শায়েস্তা করবে। অন্যদিকে যারা ডানপন্থী ইসলামি দল - হেফাজত, ইসলামী আন্দোলন - তারা মোদির আসার প্রতিবাদ জানিয়েছে কিন্তু কোনো কর্মসূচী দেয়নি। বৃহস্পতিবারের মধ্যেই সবকিছু ঠাণ্ডা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু শুক্রবার জুম্মার পর কিছু মুসল্লি মসজিদের সামনে দাঁড়িয়ে মিছিল করে। এখন দেখতে হবে এই মিছিল কিন্তু কোনো দলীয় কর্মসূচি ছিলো না। অর্থাৎ আপনি যদি একে ওমুকের ষড়যন্ত্র, তমুকের চক্রান্ত হিসেবে দেখান, তার কোনো সূত্র এখানে নেই। এই পর্যন্ত এসে আপনাকে সমীকরণ দেখতে হবে। এই মিছিলে কেন ছাত্রলীগের হেলমেট বাহিনী বা পুলিশ হামলা করবে। গতকাল লিখেছিলাম কোনো শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে কী কী কাজ পুলিশ করতে পারে। কিন্তু আমরা দেখলাম পুলিশ এপিসি নিয়ে এসে গুলি ছুঁড়ছে। মসজিদে ঢুকে গেছে মানুষ, সেখানে গিয়ে পিটাচ্ছে, গুলি করছে। সাথে হেলমেট বাহিনী আছে। তারা তো পুলিশ না, পুলিশ তাদের কেন গ্রেপ্তার করছেনা? কেন তাদেরকে উল্টো হামলা করায় সহযোগীতা করছে? পুলিশের এখানে কী কাজ করার কথা, তারা কী করেছে? এই ঘটনা দেখার পর সবাই ক্ষেপেছে। বাম পন্থিরা ডানপন্থিদের পছন্দ করেনা। উল্টোদিকে ডানপন্থিরা কথায় কথায় কল্লা নেয়ার হুমকি দেয়। কিন্তু এখানে বামপন্থি সহ মধ্যপন্থি সবাই এর প্রতিবাদ করেছে। হেফাজত শনিবার বিক্ষোভ করলো, রবিবার হরতাল দিলো। সেখানেও দেখা গেলো পুলিশের সন্ত্রাস। সাথে যোগ দিয়েছে বিজিবি। তাদের গুলিতে ১৭ জন (আরো বেশি হতে পারে) মারা গেলো। যারা এই আন্দোলনের বিরোধীতা করছিলেন, বলছিলেন ওরা ধর্মের নামে সন্ত্রাস করছে, জঙ্গিবাদ বাড়াচ্ছে, ওরা ম্যুরাল ভাঙছে, ওরা স্বাধীনতা বিরোধী। আপনাদের কাছে এখন প্রশ্ন। যেহেতু ধরে নেয়া যায় আপনি খুব স্বাধীনতা জ্ঞান সম্পন্ন, আপনি প্রকৃত দেশপ্রেমিক, আপনি জাতীয়তাবাদী, আপনি গণতন্ত্রের অর্থ জানেন। এখন আমাকে বলেন - কোন কোন ক্ষেত্রে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনী গুলি করতে পারে? আপনার জ্ঞানের লেভেল বোঝা যাচ্ছে। একজন পুলিশ তখনি কাউকে গুলি করতে পারে যখন তার হাতে অস্ত্র থাকে বা সে অস্ত্র ব্যবহার করতে যাচ্ছে এমন সময়। আমেরিকার অস্ত্র আইন আরেকটু আলাদা, সেখানে আপনি প্রকাশ্যে বন্দুক নিয়ে ঘুরতে পারবেন, কিন্তু যতক্ষণ গুলি না করবেন, ততক্ষণ পুলিশ আপনাকে কিছু করতে পারবেনা। এজন্য দেখা গেছে ২০২০ এ করোনার মধ্যেও আমেরিকানদের এরকম বন্দুকধারীদের হাতে ২০ হাজার মানুষ মারা গেছে। যুদ্ধকালীন সময়েও যদি বিপরীত পক্ষের শত্রুর হাতে অস্ত্র না থাকে, তাহলে তাকে গুলি করা নিষেধ। এসব নিয়ে অসংখ্য যুদ্ধ আইন আছে, সামরিক বিধি নিষেধ আছে। আমার ধারণা বাংলাদেশের পুলিশ একাডেমীতেও এসব পড়ানো হয়। তাহলে কোন আইনে পুলিশ/ বিজিবি নিরস্ত্র এতগুলো মানুষকে লিথাল বুলেট ফায়ার করলো। খুবতো মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে চলেন। কথায় কথায় গণতন্ত্রের ফেনা তোলেন। এর উত্তর দিয়ে যান। এই যে পুলিশ যখন খুশি যাকে গুলি করে দিচ্ছে, যাকে খুশি ধরে নিয়ে যাচ্ছে আর গণতান্ত্রিক দেশের সরকার তাকে সায় দিচ্ছে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেনা - এরকম ব্যবস্থাকে বলে পুলিশি রাষ্ট্র। রাষ্ট্র - সরকারের সম্পর্ক নিয়ে আরেকদিন লিখবো। এবার শুরুর আন্দোলনের আলোচনায় আসি। মোদিকে নিয়ে কেন আন্দোলন হচ্ছে, কিন্তু এরচেয়ে আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু আছে, সেসব নিয়ে কেন হচ্ছেনা। মোদিকে নিয়ে সমস্যা সবার নেই। মোদি ভারতে মানুষ মেরেছে, শ্রীলংকার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মাহেন্দ্র রাজাপাকসের সরকার তামিলে মানুষ মেরেছে, বর্তমান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১২ বছরে আরো অসংখ্য মানুষকে মেরেছে, গুম করেছে। কিন্তু এসবই নিয়ে প্রতিবাদ হচ্ছেনা। যাদের ইচ্ছে হচ্ছে সে প্রতিবাদ করছে। আপনার মনে হল দ্রব্যমূল্য বাড়িয়েছে, গ্যাসের মূল্য বেড়েছে, আপনার এসব নিয়ে প্রতিবাদ করা উচিৎ। আপনি কেন করছেন না? আপনি নির্বাচনে ভোট দিতে পারেননা, সেটা নিয়েও তো বলেন না। আপনার সরকার তামিল গণহত্যার তদন্তের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে। আপনি প্রতিবাদ করুন। আগামীকাল প্রেসক্লাবের সামনে ব্যানার নিয়ে দাঁড়ান। এরপর দেখেন কতক্ষণ দাঁড়াতে পারেন। অন্যদের আন্দোলনে আপনি বলেন, এটা নিয়ে করছে, ওটা নিয়ে করছেনা কেন? সেটা নিয়ে আপনি করেন। কোনো যৌক্তিক আন্দোলনকে ঠেকানোর সবচেয়ে বড় উপায় হলো সেখানে অযৌক্তিক প্রশ্ন করা। কেউ কিছু নিয়ে প্রতিবাদ করলেই আপনার কষ্ট হয়, অথচ আপনি কিছু বলার সাহস রাখেন না। আজকে হুজুর মরছে বলে আপনার গায়ে লাগছেনা, কাল সেকুলার মরলেও আপনার গায়ে লাগবেনা। কারণ আপনি ঠিক আছেন। মায়ানমারের দিকে তাকান। একসময় সেনাবাহিনীর রোহিঙ্গা গণহত্যা তারা সমর্থন দিয়েছিল। বলেছিল ওরা মুসলিম সন্ত্রাসী। আজকে সেই সেনাবাহিনী তাদের নিজেদের মারছে। গতকাল তাদের সেনাবাহিনীর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণের ৭৬ বছর উদযাপন ছিলো । কত আনন্দ ও গৌরবের বিষয় না? অনেকেই তো বলেছিলেন স্বাধীনতা দিবসে কেন প্রতিবাদ করছে? মায়ানমারের সেই আনন্দের দিনে তারা নিষেধ করেছিল কেউ যেন বিক্ষোভ না করে। কিন্তু মানুষ গতকাল আরো বেশি বিক্ষোভ করেছে। আর ফল স্বরুপ ১১৪ জন গুলিতে মারা গেছে। আমাদের জন্যও একটা গর্বের বিষয় আছে, সে অনুষ্ঠান সারা বিশ্ব বর্জন করলেও মাত্র ৮ টা দেশ সেখানে অংশগ্রহণ করেছে, যার একটি বাংলাদেশ। এই যে এখন যেকোনো প্রতিবাদ দমনকে আপনি জাস্টিফাই করেন, কাল বাদে পরশু সেই ফ্রাঙ্কেনস্টাইন আপনার দিকেও আসবে। এটা ভুলে যাবেন না। মোদি আসা নিয়ে আমার ব্যক্তিগত আপত্তি নেই। এরচেয়ে বড় সন্ত্রাসী আমরা পালি। কিন্তু যে ১৭ জন সাধারণ মানুষ মারা গেলো, এরা কিন্তু কেউ রাজনীতির জন্য মরেনি। এরা সবাই। হুজুরও না। এদের মধ্যে পথচারী ছিলো, দর্জি ছিলো, এরা শিক্ষার্থী ছিলো, একজন ছিলো যে এসেছিল মিছিল দেখতে - কিন্তু এরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক ছিলো। আমি এদের সবার হত্যার বিচার চাই। হেফাজত আজকে হরতাল দিলো, কাল দেখবেন গণভবনে গিয়ে নতুন কোনো উপাধি দিয়ে এসেছে। কিন্তু অনুরোধ করবো এই হত্যাগুলোর বিচারের দাবী ছাড়বেন না। এরা কেউই নিজের স্বার্থের জন্য মরেনি, এরা মরেছে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে যেই দাড়াক, যে বিএনপি হোক বা জামাত, রাজনৈতিক বা অরাজনৈতিক তাদের পেছনে আমাদের দাঁড়াতে হবে। দেশ কারো পারিবারিক সম্পত্তি না। আপনি চুপ থাকলেই ওরা সাহস পাবে। গত দুদিনে দেখেন ওদের অবস্থা কেমন হয়েছে। ওরা বুঝে গেছে পালানোর দরজা কমে যাচ্ছে। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় প্রেসিডেন্ট থমাস জেফারসনের একটি বিখ্যাত উক্তি , When Injustice Becomes Law Resistance Becomes Duty অর্থাৎ অবিচারই যখন আইন হয়ে যায় প্রতিরোধ তখন অপরিহার্য হয়ে পড়ে । পৃথিবীর যেখানেই গণতন্ত্র , বাকস্বাধীনতা এবং আইনের শাসন এসেছে সেখানেই এই ভাবনাটির বাস্তব প্রয়োগ হয়েছে । আমাদের এখন প্রতিরোধের সময়।
March 29, 2021 No comments

 

স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা করতে গেলে আমাদের মানবাধিকার ও স্বাধীনতা শব্দগুলোর অর্থ ভালোভাবে বুঝতে হবে।

মানবাধিকারের প্রথম শর্ত হলো কোনো মানুষ অন্য কাউকে "ফিজিক্যালি হার্ম" করতে পারবেনা।

কেউই অন্য কাউকে শারিরীক আঘাত করতে পারবেনা। হত্যা তো আরো অনেক দূরের আলাপ।

স্বাধীনতার প্রথম শর্ত হলো চিন্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা। কেউ একজন বলেছিল, আমি তোমার মতের সাথে একমত না হতে পারি, কিন্তু তোমার মত প্রকাশের অধিকারের জন্য জীবন দিতে পারি।

অর্থনীতির কি অবস্থা, কত টাকা পকেটে আছে এগুলো কখনওই স্বাধীনতার নির্দেশক না। ক্রিতদাসেরও টাকা থাকে, কিন্তু সে স্বাধীনতার স্বাদ পায়না।

উন্নয়নের উদাহরণ দিয়ে স্বাধীনতাকে তুলনা করতে গেলে আমরা এখনো ব্রিটিশদের অধীনে থাকতাম। কারণ তারাইতো এ অঞ্চলে প্রথম পশ্চিমা আবহের নির্মাণ কাজ করেছিলো। রেল বসিয়েছে। অট্টালিকা বানিয়েছে। তখনো কিছু মানুষ বলেছে - এই রাণীর অধীনে না থাকলে এত উন্নয়ন করতো কে? ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বিকল্প দেখাও?

তখনো কিছু মানুষ এখনকার মতো ভিন্ন ভুখন্ডের দালাল অভিহিত হয়ে লড়েছিল। তাদেরও হয়ত বলেছিল, এরা পর্তুগালের দালাল 🥱

কিন্তু নিজেদের স্বাধীনতার অধিকার সবসবময় চলেছে।

ভারত-পাকিস্তান ভাগ হওয়ার সময়ে নিশ্চয় অনেকে ভেবেছিল এবার বুঝি মুক্তি এলো। আমাদের নিজেদের সরকার আছে এখন।

কিন্তু তাও হলো কই?

আবারো সেই স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে নিজেদের অধিকার আদায়ের আন্দোলন হয়েছে।

অধিকার ব্যাপারটাই এমন, এটা যতদিন প্রতিষ্ঠা হবেনা ততদিন লড়ে যেতে হয়। স্বাধীন হয়ে গেলেও এর পাওয়া হয়না।

৭১ এ স্বাধীনতা অর্জনের পরেও তখনকার মানুষ তো ভেবেছিল, এবার বুঝি স্বাধীনতা পেলাম।

কিন্তু ৭২ থেকেই তো আবার অন্য লড়াই শুরু হলো। পারিবারিক আর এক দলীয় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে তখনো প্রতিবাদ আর লড়াই করে যেতে হয়েছে। রাস্তায় মরতে হয়েছে।

যতক্ষণ পর্যন্ত প্রকৃত স্বাধীনতা আসবেনা, যতক্ষণ পর্যন্ত রাষ্ট্রের উপর নাগরিকের অধিকার প্রতিষ্ঠা হবেনা, নিস্তার নেই বন্ধু! এ লড়াই চালাতেই হবে।

আমাদের ট্যাক্সের টাকায় চলা রাষ্ট্রে কে প্রধান হবেন, কে বিদায় হবেন তার সিদ্ধান্ত আমাদের হাতে থাকতে হবে।

কোনো সিদ্ধান্ত আমাদের মতের বিরুদ্ধে হলে তার বিরুদ্ধে তৎক্ষণাৎ প্রতিবাদ আমরা করবো, সেই প্রতিবাদের অধিকার আমাদের আছে। আমাদের টাকায় চলা পুলিশের কাজ সেখানে যাতে অন্য কেউ এসে আঘাত না করতে পারে তার নিরাপত্তা দেয়া।

এখানে আলোচনা/প্রতিবাদের সম্পর্ক সরকারের সাথে সরকার নির্ধারক জনগণের।

প্রতিবাদ জিনিষটাই এমন যে এর কোনো ব্যাকরণ নেই। আপনি কখনো নিয়ম মেনে প্রতিবাদ করতে পারবেন না। কোনো সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে আপনি যাই করবেন, সেটাই এখানে নিয়ম।

কিন্তু এতে যদি কারো ক্ষতি সাধিত হয়, আন্দোলনকারী যদি সহিংস হয়, সেটা প্রতিবাদ করারও সুনির্দিষ্ট নিয়ম আছে।

একজন পুলিশ সদস্য তার দায়িত্ব পালনে কী কী করতে পারবে, সেটাও জনগণের ভোটের নির্বাচিত সরকার নির্ধারণ করে দেয়।

সহিংস আচরণ ঠেকানোর জন্য প্রথম ধাপে টিয়ার গ্যাস স্প্রে করে। এর সাথে থাকে জল কামান।

এরপর আসা লাঠিচার্জ।

এরপর যদি পুলিশকে আঘাত করে তাহলে রাবার বুলেট ফায়ারের নির্দেশনা আসে। কিন্তু তাও হাটুর নিচে।

হাটুর উপরে কখনো পুলিশকে জনবিক্ষোভে গুলি করার অনুমতি দেয়া হয়না।

স্পেশাল অভিযানের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র লিথাল বুলেট ফায়ারের অনুমতি দেয়া হয়। সেটার জন্য উপরের সিদ্ধান্ত ও নির্দেশনা থাকে।

আমাদের টাকায় দেয়া গুলি কখনো আমাদের উপর করার এখতিয়ার পুলিশের নেই। এমনতো না যে আমরা উপনিবেশে আছি।

কিন্তু আমরা দেখলাম পুলিশ এখন কারো
অনুমতির প্রয়োজন হয়না। চাইলো আর গুলি করে আমাদের ভাইদের মেরে ফেললো।

এই সাহস তাদের কে দিয়েছে?

অনেকেই বলে পুলিশের উপর হামলা হলে কি চেয়ে চেয়ে দেখবে?

তার জন্য উপরের নির্দেশনা গুলো আছে।

বৈশ্বিক গণতন্ত্রের স্কোরে বাংলাদেশ এখন উত্তর কোরিয়ার সহযাত্রী।

গণতন্ত্রের অর্থই হলো সরকার তাই সিদ্ধান্ত নিবে যা আমরা চাইবো।

সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ যদি বলে মোদী আসবেনা, তাহলে মোদী আসবেনা। এটা এদেশের জনগণের সিদ্ধান্ত।

দেশের এতজন মানুষ রাস্তায় দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ করছে, প্রতিবাদ মিছিল করছে, তাহলে সেখানে মোদিকে কোন বাংলাদেশ আনছে।

যারা দুদিন ধরে মিছিল করছে, বিক্ষোভ করছে, গুলি খাচ্ছে তারাও এদেশের জনগণ। তারা কেউ পাকিস্তান বা ভারতের নাগরিক না।

বাংলাদেশে তাই হবে যা এদেশের অধিকাংশ মানুষ চাইবে।

এখন তারা কোন পন্থি, তারা কোন গোষ্ঠির অংশ সেটা এখানে আলোচনার কোনো বিষয় না।

তারা নাগরিক এবং তারা তাদের মতামত স্বাধীনভাবে প্রকাশ করতে পারতে হবে, এটাই হলো স্বাধীনতা।

কোনো আন্দোলনে সহিংসতা কাম্য নয়। দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি কাম্য নয়, যারা করবে তাদের আইন অনুযায়ী ধরে শাস্তি দেয়া যাবে। কিন্তু কোনোভাবেই তাদের উপর গুলি চালানোর অধিকার নেই।

যাদের হুকুমে এই গুলি চলেছে, তাদের পতন হতে হবে। এই হত্যার দায় তাদের নিতে হবে।

আপনি যদি নিজেকে বাংলাদেশি মনে করেন আর ভাবেন আপনি স্বাধীনতা চান, তাহলে এই হত্যার প্রতিবাদ ও বিচার আপনাকে স্ট্রিক্টলি চাইতে হবে।
যদি কিন্তু নেই। ও এ করেছে, সেই করেছে,ও মুর্তি ভাঙলো কেন, ছবিতে আগুন দিলো কেন! এসব হাংকিফাংকি কথা চলবেনা।

প্রতিবাদের সময় যাই করবে সেটাই প্রতিবাদ। রাষ্ট্রকে তার নাগরিকের নিরাপত্তা দিতে হবে।

আমি গুলি চালানো সব পুলিশের এবং তাদের হুকুমদাতাদের বিচার চেয়ে গেলাম, আপনি না চাইতে পারলে নিজেকে বাংলাদেশি ভাববেন না।

March 27, 2021 No comments
Newer Posts Older Posts Home

Labels

On Point On Topic Special Day

recent posts

Blog Archive

  • April (1)
  • March (2)
  • February (1)
  • January (1)
  • August (1)
  • July (1)
  • March (1)
  • February (1)
  • October (1)
  • March (1)
  • April (1)
  • March (2)
  • November (1)
  • May (1)
  • November (3)
  • October (2)
  • September (1)
  • August (1)
  • July (1)
  • June (1)
  • May (2)
  • April (2)
  • March (5)
  • February (1)
  • February (1)

Designed By | Distributed By GooyaabiTemplates