facebook twitter tumblr instagram linkedin
  • Home
  • On Topic
    • On Topic
    • Short Codes
  • Special Day
  • FEC

Mahdi Hasan

 

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারী) বইমেলায় যাওয়ার পথে শহীদ মিনারে দেখলাম কয়েকজন ব্যানার হাতে দাঁড়িয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন। সেখানে কয়েকজন মবের বিরুদ্ধে, নিরাপত্তা বাড়ানো,  অতি সত্বর নির্বাচন ও জনগণের সরকারের দাবী জানাচ্ছেন।

এই দৃশ্যটা একটু অপরিচিত লাগলো, কারণ অনলাইন বা যেখানেই কেউ নির্বাচন নিয়ে কথা বলে, সেখানেই বিরূপ মন্তব্যের স্বীকার হচ্ছে। অনেকটা আওয়ামী সরকারের আমলের মতই। তখন লীগ বলতো নির্বাচন দিলে স্বাধীনতা বিরোধী দল সরকার গঠন করবে, তাই নির্বাচন দেয়া যাবে না। এখন সেই "স্বাধীনতা বিরোধী দলের সমর্থকরা" এবং যারা নতুন স্বাধীনতা এনেছে বলে দাবী করে উভয়ই নির্বাচনের নাম শুনলে লাফ দিয়ে উঠে। যদিও তারা সমোঝোতার ভিত্তিতে সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে ঐক্য করতে পারতো। কিন্তু নিজেদের রাজনৈতিক দীনতায় পরিবেশ কলুসিত করে বিএনপির সহনশীল মনোভাবকে উস্কে দিয়েছে। এটা নিয়ে অনেকবার লিখেছি, কিন্তু এদের অন্ধ অনুসারীদের কারণে সেখানে লাভ কিছু হবেনা। তবে ভবিষ্যতে একটা বাক্য বলার মতো পাবে যে, বিএনপির কারণেই সংস্কার সম্ভব হয়নি।

মেলা থেকে ফেরার পথে দেখলাম রাজুতে ৩ গ্রুপ দাঁড়িয়ে আছে পাশাপাশি।

একটা লীগ আমলের এম্পি মন্ত্রিদের লিস্ট টানিয়ে লীগ নিষিদ্ধ করার জন্য গন স্বাক্ষর নিচ্ছে। তাদের ব্যানারে লেখা ছাত্রজনতা।

লীগ নিষিদ্ধের দাবীতে তাদের বিভিন্ন দেশবিরোধী অপকর্মের প্রমাণ প্রজেক্টরে দেখাচ্ছে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ।

আরেক দলে কিছু স্কুল পড়ুয়া ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করার জন্য মিছিল করছে। এরপর নির্বাচন চাওয়াদের গালি দিচ্ছে, কেউ দেশের আইন শৃঙ্খলাকে নিয়ে কথা বলেনা, সবাই ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য তারাহুড়া করছে, বোনদের ভয় নেই, তারা এখনো রাজপথ ছাড়েনাই। স্লোগান আর বক্তব্য দিয়ে এলাকা গরম করছে।

যেকোনো অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ড চাওয়াটা এখন একটা রোগে পরিণত হয়েছে। সম্ভবত ১৩ এর শাহবাগে বিচার চাওয়ার পরিবর্তে ফাঁসি চাওয়ার দাবী শুরু হয়েছিলো। যেকারণে রায় পরিবর্তন করে ফাঁসির ঘোষণা এসেছিলো।

এখনকার বাচ্চা-বুড়ারাও আর বিবেক বুদ্ধি খরচ করতে আগ্রহী হচ্ছে না। তারাও পিটিয়ে মেরে ফেলা, কিংবা বিচার না করে ফাঁসি দিয়ে দিতে অতি আগ্রহী।

ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি কেন ফাঁসি না, এটা নিয়ে এর আগেও অনেক আলোচনা হয়েছে। এরকম ইস্যুও পুরনো, আলোচনাও।

যদি ধর্ষণের জন্য ফাঁসির শাস্তি হয়, এবং খুনের জন্যেও ফাঁসি হয়, তাহলে সে মেরে ফেলাটাতেই আগ্রহী হবে। এজন্য খুন ছাড়া অন্য দায়ে ফাঁসির বিধান নেই।

একই কাজ করা হয়েছে সড়ক দুর্ঘটনাতেও।

রুলসটা (মোটরযান অধ্যাদেশ ১৯৮৩) এমন ছিলো যে, দুর্ঘটনায় আহত হলেও ৩ বছরের জেল, নিহত করলেও ৩ বছরের জেল। ফলে চালকরা এক্সিডেন্ট করার পর তার মৃত্যু নিশ্চিত করতে চাইতো। মানুষ নাই, ঝামেলাও নেই।

এখন ২০১৮ সালের সড়ক পরিবহন আইনে সেখানে মৃত্যুর ক্ষেত্রে দেয়া হয়েছে ৫ বছরের জেল, আহত ৩ বছরই আছে।

এসব প্রেক্ষাপট বিবেচনা করেই সবখানে সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়া যায়না, এসবও মাথায় রাখতে হবে।

February 27, 2025 No comments
Newer Posts Older Posts Home

Labels

On Point On Topic Special Day

recent posts

Blog Archive

  • April (1)
  • March (2)
  • February (1)
  • January (1)
  • August (1)
  • July (1)
  • March (1)
  • February (1)
  • October (1)
  • March (1)
  • April (1)
  • March (2)
  • November (1)
  • May (1)
  • November (3)
  • October (2)
  • September (1)
  • August (1)
  • July (1)
  • June (1)
  • May (2)
  • April (2)
  • March (5)
  • February (1)
  • February (1)

Designed By | Distributed By GooyaabiTemplates