Bangladesh and its Future of Technology

by - March 02, 2018

যদি প্রশ্ন করা হয়, আগামী দশ বছরের পৃথিবী কেমন হবে?

আমি বলবো আগামী দশক হবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর দশক।
যার মানে দাঁড়ায়, যারা এ আইতে বেশী ক্ষমতাধর, তারাই প্রযুক্তি বিশ্বের নেতৃত্ব দিবে।

যা ইতিমধ্যেই লক্ষণীয়। বর্তমান পৃথিবীর অনেক বড় বড় ক্ষেত্রগুলোই এ আইর দখলে।

এর মধ্যে উবার গুগলের সহায়তায় আলাদা ল্যাব করে ফেলেছে শুধুমাত্র এ আই গবেষণার জন্য। এ ক্ষেত্রে তারা নতুন দুটো প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ নিয়ে কাজ করছে।

বোঝাই যাচ্ছে বিশ্ব এবিষয়ে বেশ গুরত্ব দিচ্ছে।

প্রযুক্তি জগতে বাংলাদেশ এখনো শিশু। নিজেদের এখনো তেমন কোনো অর্জন নেই।

এর মূল কারণ আমাদের আগামী পৃথিবী কেমন হবে, তা নিয়ে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে এখনো কোনো পরিকল্পনা হয়নি।

যা মনে হয়, এখনি আমাদের একটি নীতিগত সিদ্ধান্তে আসা উচিৎ, আমাদের ভবিষ্যৎ কেমন হবে তা নিয়ে। ভবিষ্যৎ এ কোন ব্যাপারটায় গুরত্ব দিবো, তা এখনি ঠিক করতে হবে।

এক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি ফ্যাক্ট মাথায় রাখতে হবে।
যেমন, আমরা কি সবকিছুতে সমানভাবে অগ্রাধিকার দিয়ে এগুবো, নাকি কোন একটা ব্যাপার নিয়ে বেশি গুরত্ব দিবো।

উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আমেরিকায় সব ধরণের কাজ সমানতালে হয়। কিন্তু ফ্যাক্ট হল, অর্থনীতি ও সমাজব্যবস্থা দু দেশের এক না। তাই এরকম করাটা আমি নিরুৎসাহিত করব।

অন্যদিকে চীন যখন তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভেবেছিল , তখন তাদের সামাজিক অবস্থান বিবেচনায় নিয়ে বেশ কিছু ব্যাপার কে অগ্রাধিকার দিয়ে এগিয়েছে।

যেকারণে দেখা যায়, চীন সবকিছু পারেনা, কিন্তু যা পারে সেটাতে তারা সেরা। যেমন, প্রোডাক্টিভ বা উৎপাদন এ জোড় দিয়েছে। সেকারণে সেখানে কারিগর বেশী। অন্যদিকে জাপান গুরত্ব দিয়েছে আইডিয়ায়। জাপান আইডিয়া ডেভেলপ করে, চীন বানায়।

আবার চীনের শিক্ষাব্যস্থায় বেশ কিছু সাব্জেক্ট বেশী গুরত্বের। চীনারা সি ল্যাঙ্গুয়েজ এ বেশী পারদর্শী। এছাড়া তাদের পছন্দ ম্যাথ। অন্য ব্যাপারগুলোয় তাদের গুরত্ব কম। যার ফলাফল হ্যাকার‍্যংক এর সমীক্ষাতেই বোঝা যায়।

এ উদাহরণ গুলোর মূল উদ্দেশ্য হল আমাদেরকে কোন পথে যেতে হবে তার উপযোগিতা বোঝানো।

এখন আমাদের নির্ধারকদেরকেও এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আমরা কোন পথে এগুবো। সবকিছু নাকি যেকোনো নির্দিষ্ট কিছু।

এবং সে অনুযায়ী আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা ও সিলেবাস সাজাতে হবে। আমাদের মাধ্যমিক থেকে উচ্চ পর্যায় – সবখানে নির্দিষ্ট একটা ব্যাপারকে প্রায়োরিটি দিতে হবে। বাকিসব হবে বাইপ্রোডাক্ট।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এখন আমরা এ আই নিয়ে এগুতে পারি। যদিও এটা নিয়ে আগে তেমন কাজ হয়নি, তাই নতুনভাবে আমরা শুরু করতে পারি। কারণ এটা নিয়ে এগুনোর সুযোগ অফুরন্ত।
অর্থনৈতিক বিবেচনায় ডাটা সায়েন্স নিয়ে এগুনোটাও আমাদের জন্য উপকারী হবে। বিশ্বে এখন এটাও একটা বড় সেক্টর হচ্ছে।

আগামী ১০, ২০,৫০, ১০০ বছর পর বাংলাদেশ কোন ক্ষেত্রে পৃথিবীকে নেতৃত্ব দিবে তা সিদ্ধান্ত নেয়ার এখনি সময়।

তবে, এ প্রসঙ্গে আরোকিছু ব্যাপার বলতে পারি।
যেহেতু আমাদের সরকার এসব ব্যাপার সামলাতে পারছে না, সেহেতু প্রতিষ্ঠানভিত্তিক ভাবে আমরা নিজেদের মতো করে ভিশন সেট করে নিতে পারি।

প্রতিটা বিশ্ববিদ্যালয় যদি নিজেদের কারিকুলাম ও ফ্যাসিলিটি অনুযায়ী নিজেদের একটা গোল সেট করে নেয়, তারা কোন সেক্টরে গুরত্ব দিবে সেরকম প্ল্যান নিয়ে যদি এগোয়, তাহলেও তারা নিজেদের একটা সন্তোষজনক অগ্রগতি আনতে পারে। ইতিমধ্যে সাস্টে এ আই নিয়ে বেশ কিছু কাজ হচ্ছে। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও তাদের নিজেদের মতো করে কাজ করে যাচ্ছে, যদিও তা এখনো কোয়াডকপ্টারেই সীমাবদ্ধ। কিন্তু এ অগ্রগতি একটি নতুন যুগ নির্দেশ করছে।

এ ব্যাপারে সকল বিশ্ববিদ্যালয় এর শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সুদৃষ্টি কামনা করছি

You May Also Like

0 comments