facebook twitter tumblr instagram linkedin
  • Home
  • On Topic
    • On Topic
    • Short Codes
  • Special Day
  • FEC

Mahdi Hasan

 কাই ফু লি একজন চীনা উদ্যোক্তা । তিনি হলেন চীনা এ আই প্রতিষ্ঠান সিনোভেশন ভেঞ্চার এর সিইও এবং  Sinovation Ventures Artificial Intelligence Institute এরপ্রেসিডেন্ট।

কিছুদিন আগে এ আই নিয়ে একটি সম্মেলনে এম আই টি তে গিয়েছিলেন কাই। যাওয়ার পথে একটি উবার এ চড়েন। এ প্রসঙ্গে বলে রাখি উবার হল বর্তমানে এই নিয়ে সবচেয়ে বেশি কাজ করা একটি প্রতিষ্ঠান এবং তাদের পুরো সিস্টেম এই আই নিয়ন্ত্রিত।

তো, তখন ড্রাইভার তাকে জিজ্ঞেস করল, স্বনিয়ন্ত্রিত গাড়ি তার চাকুরি কেড়ে নিতে কত বছর লাগতে পারে?
তখন তিনি জবাব দিলেন ১৫-২০ বছর। ড্রাইভার কিছুটা হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন। তখন ড্রাউভার বললেন, ততদিনে আমিও ড্রাইভার থাকবোনা।

কিন্তু তাৎক্ষণিক তিনি ভাবলেন যদি চীনে তিনি এই প্রশ্নের মুখোমুখি হতেন, তখন উত্তরটা ভিন্ন হতো। তখন চীনের ড্রাইভারকে বলতে হত, তার চাকরী যেতে ১০ বছর লাগবে। সর্বোচ্চ হলে সেটা ১৫ হতে পারে।

এটা শুনতে আশ্চর্যজনক হতে পারেন, কারণ এটাও ঠিক যে শুরু থেকেই আমেরিকা এ আই তে এগিয়ে ছিলো এবং এখনো আছে। তবে চীনও দ্রুত এই রেস এ এগুচ্ছে। যদিও এখনো পুরোপুরি নয়, কিন্তু এটি নিরব এক প্রতিযোগীতা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে এআই উন্নয়ন ক্ষেত্রে নিশ্চিত চ্যাম্পিয়ন। তথ্য অনুযায়ী, চীনের তুলনায় আমেরিকান এআই কোম্পানির সংখ্যা 1.82 গুণ বেশি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ আইতে  বিনিয়োগ চীনের চেয়ে বেশী 1.54 গুণ এবং এ আইতে দক্ষ জনশক্তি 2.01 গুণ বেশী। বিশ্বে এআই কোম্পানীর মোট সংখ্যা (২542 । ২017 সালের জুন অনুযায়ী), তাদের মধ্যে ইউএস এর অর্থায়নের সংখ্যা 42% এবং চীন ২3% এর মাধ্যমে রয়েছে দ্বিতীয় অবস্থানে। এই দুই দেশ ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, সুইডেন, সিঙ্গাপুর এবং অন্যান্য উন্নত দেশগুলিকে পিছু হটিয়েছে। রিপোর্টটি অনুযায়ী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পিছনে পিছিয়ে থাকার কারন শুধু  অবস্থানই নয়, একটি প্রধান বাধা হল এআই প্রতিভার অভাব। পরিসংখ্যানগুলি দেখায় যে মার্কিনে এর  সংখ্যা  78,000 এবং  চীনে যার পরিমাণ অর্ধেকেরও কম  39,২00 জন এআই বিশেষজ্ঞ রয়েছে। এর পিছনে্র কারণ উন্নত মানের প্রশিক্ষণের অভাব । এআইএর মধ্যে বিশ্বের শীর্ষ ২0 টি বিশ্ববিদ্যালয় এর মধ্যে  16 টি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে যুক্ত। চীনের বর্তমান একাডেমিক ক্ষমতা চাহিদা মেটাতে যথেষ্ঠ নয়।
এগিয়ে যেই থাকুক, আসল কথা হল এ আই আসছে!!

তবুও এই রেসে চীনের জেতার চান্স ৫০-৫০।
সাধারণভাবে এটা মেনে নেয়া কঠিন। কারণ আমেরিকা সবসময় এসব দিকে এগিয়ে। কিন্তু বেশ কয়েকটা কারণ আছে, যেগুলাতে আমি চীনকে এগিয়ে রাখবো।

প্রথমতঃ চীনের এক বিশাল গনসৈনিক আছে, যারা এ আই তে এগিয়ে আসছে। গত এক দশকে চীনে প্রকাশিত এ আই নিয়ে গবেষণায় লেখকের সংখ্যা দ্বিগুণ ছাড়িয়েছে। চিনা ফেস রিকগনিশন প্রতিষ্ঠান Face++ এর ইঞ্জিনিয়াররা তিনটি কম্পিউটার ভিশন চ্যালেঞ্জ এ গুগল, ফেসবুক, মাইক্রোসফট ও কার্নেগী মেলন বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো দলগুলোকে হারিয়ে প্রথম স্থান জিতে নিয়েছে।

দ্বিতীয়তঃ চীনের এক বৃহত্তম তথ্য ভাণ্ডার রয়েছে যেটা আমেরিকার চেয়ে অনেক বেশী। ডাটা হল এমন জিনিষ, যেটা এ আই তে সবচেয়ে বেশী গুরত্বপূর্ণ। কয়েক টন ডাটা ওয়ালা একজন সাধারণ বিজ্ঞানী সামান্য পরিমাণ ডাটা ওয়ালা একজন সুপার সাইন্টিস্টকে সহজেই হারিয়ে দিতে পারে। চীন হল বিশ্বের সবচেয়ে বেশী মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট গ্রাহকদের দেশ যা আমেরিকার চেয়ে তিনগুণ। কিন্তু এই পার্থক্যটা আর বড় হবে, কারণ চীনের মানুষ কোনো ক্যাশ টাকা বহন করেনা। তারা তাদের যাবতীয় খরচ পরিশোধ করে থাকে ফোনের মাধ্যমে। ফোনের মাধ্যমেই তারা তাদের সকল শপিং করতে পারে। কাজ শেষে বাসায় যাওয়ার আগেই একটি এপের মাধ্যমে যদি আপনি খাবার অর্ডার করে থাকেন, আপনার আগেই সেটা ইলেক্ট্রিক মটর বাইকে করে আপনার বাসায় পৌঁছে যাবে। চীনে শেয়ারিং সাইকেলের মাধ্যমে প্রতিদিন ৫০মিলিয়ন রাইড ৩০ টেরাবাইট ডাটা উৎপন্ন করে থাকে, যা আমেরিকার প্রায় ৩০০ গুণ বেশী।

তৃতীয়তঃ চীনের এ আই কোম্পানিগুলো অনেক আগেই কপি-পেস্ট যুগ পার করে এসেছে। ১৫ বছর আগেও চীনের প্রতিটি নতুন স্টার্ট আপ ছিলো আমেরিকান পণ্যের বৈশিষ্ট্য, চেহারা, এবং ভাবের কপি। কিন্তু সেসকল উদ্যোক্তারা এখন শিখে গেছে কিভাবে কপি থেকে শিক্ষা নিয়ে তারচেয়ে ভালো জিনিষ তৈরি করা যায়। এমনকি, বর্তমানে উইবো টুইটারের চেয়ে ভালো। অন্যদিকে উইচ্যাট ফেসবুক মেসেঞ্জারের চেয়েও ভালো সার্ভিস দিচ্ছে।


এবং চতুর্থতঃ চীনের সরকারও এ আই কে ত্বরান্বিত করছে। চীনের সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী ২0২0 সালের মধ্যে এ আই প্রযুক্তি এবং অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যেম যুক্তরাষ্ট্রেকে ধরা হবে এবং  ২030 সালের মধ্যে চীনকে বিশ্বের সামনে একটি  উদ্ভাবনী হাব হিসেবে উপস্থাপন করা হবে। অক্টোবরে একটি বক্তৃতায় প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ইন্টারনেট এর যাবতীয় ব্যবহার, বিগ ডাটা ও এ আই এর সাথে রিয়েল ওয়ার্ল্ড ইকোনমির যোগসূত্র স্থাপনে  উৎসাহিত করেছেন। এবং আপনি যদি এসব দেখেই অবাক হন, তাহলে আপনার জন্য আরো অনেককিছু বাকী আছে। দীর্ঘদিন আগে থেকে নেয়া পলিসি ও নিয়মগুলো  চীনকে সহায়তা করেছে দ্রুত গতির ট্রেন, গণ উদ্যোক্তা তৈরি এবং উদ্ভাবন কাজে এগিয়ে নিতে। তুলনামূলক হিসেবে বলা যায়,  প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সৌর-প্যানেল নির্মাতা সলেন্ড্রের ঋণের গ্যারান্টিটি ক্রনিক পুঁজিবাদ হিসেবে অভিহিত হয়েছিল। ট্রাকচালকরা এখন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং কংগ্রেসকে স্বচালিত ট্রাকের পরীক্ষা বন্ধ করার আবেদন জানিয়েছেন। যে পরিস্থিতি চীনে নেই।

এ আইতে চীনের সুপার পাওয়ার হিসেবে উত্থান চীনের কাছে বিশেষ কিছু না। তবে এটাও ঠিক যে, চীন ও আমেরিকার মধ্যেকার এই প্রতিযোগীতা কখনো থামবার নয়। পরিবর্তন বৃহৎ পরিসরেই হবে এবং এর সবকিছু যে ভালো হবে তাও কিন্তু নয়।
গবেষণা মতে, চীনের প্রধান শক্তি বুদ্ধিমান রোবোট তৈরি, অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বে মেশিন লার্নিং অ্যাপ্লিকেশন চ্যাম্পিয়ন হিসাবে দাঁড়িয়েছে।
 ইতিমধ্যেই উবার গুগলের সহায়তায় একটি নতুন ল্যাব তৈরি করেছে, যেখানে শুধুমাত্র এ আই নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। সিআইএ এর নতুন ল্যাঙ্গুয়েজ এডওয়ার্ডকে কিভাবে এ আইতে যুক্ত করা যায়, সেটা নিয়েও এখানে কাজ হচ্ছে।
এ আই তে সবচেয়ে বড় ফ্যাক্টর হল ফান্ডিং। যদিও বিশ্বের মোট ফান্ডিং এর ৫১% করে আমেরিকা।

1999 সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রথম এআই বিনিয়োগের করে। যা থেকে বর্তমানে বিশ্বব্যাপী এআই বিনিয়োগের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে 191.4 বিলিয়ন মার্কিন ডলারে।  31 শে জুন, ২017 তারিখে, চীনের এআই কোম্পানিগুলি বিশ্বের 63.5 বিলিয়ন ডলার বা 33.18% এআই তহবিল পেয়েছে, যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে 51.10% ( 97.8 বিলিয়ন আরএমবি) নিয়ে এগিয়ে রয়েছে, যেখানে বাকি পৃথীবির সবার পরিমান 15.73%।

২016 সালে  চীন তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীর কাছাকাছি পৌঁছায়। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বেশ কয়েকটি বড় চুক্তির মাধ্যমে এগিয়ে যায় । চীন এর 2017 সালের মোট এআই অর্থায়ন উল্লেখযোগ্যভাবে H1 হিসেবে চিহ্নিত হয়।

আরেকটি আকর্ষণীয় টুকরা তথ্য হল যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (51%) এর  চেয়ে চীন  (69%) বিনিয়োগ করে এখন এআই কোম্পানিগুলির  মধ্যে এগিয়ে রয়েছে । এটা দেখায় যে চীনের এআই উন্নয়ন জন্য প্রধান সমস্যা তহবিলের অভাব নয়, বরং প্রযুক্তি এবং প্রতিভার অভাব।
চীনে এ আইতে সর্বাধিক প্রভাবিত  শিল্প তালিকা দেখা যাক-

চীন, মেডিকেল ইমেজিং এবং মেডিকেল রেকর্ড বিশ্লেষণ সহ চিকিৎসা শিল্পে এআই অ্যাপ্লিকেশনের জন্য একটি আকর্ষণীয় এলাকায় পরিণত হয়েছে । এই ক্ষেত্রটি অনেকদিন ধরে দুর্বল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চালিত যন্ত্র দ্বারা উপকৃত হয়েছে। এথেকে বলা যায় যে, চীনে এ আই এরকম কাজগুলির জন্যেও বিশেষভাবে দৃষ্টি দেয়।
এরপরেই দ্বিতীয় অবস্থানে আছে স্ব- ড্রাইভিং এবং এসিস্টেড ড্রাইভিং। এর পরেই আছে শিক্ষা, অর্থ, উত্পাদন, নিরাপত্তা, বাড়ি এবং অন্যান্য শিল্প ।
এর মধ্যেই চিন  হাংঝৌ কে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ন্ত্রিত “স্মার্ট সিটি” হিসেবে গড়ে তুলেছে। তাও এর বয়স একবছর পার হয়ে গেছে। হাংঝৌ শহরে নয় মিলিয়নেরও বেশি মানুষের বাস। ২০১৬ সালের অক্টোবরের রিপোর্ট অনুযায়ী চীনের ই-কমার্স জায়ান্ট আলিবাবা আর তাইওয়ানের ইলেক্ট্রনিক্স কনট্রাক্ট মেনুফ্যাকচারিং জায়ান্ট ফক্সকন মিলে এই “সিটি ব্রেইন” প্রোজেক্ট তৈরি করে। আর এরপর থেকেই এই শহরটা অন্তত আংশিকভাবে হলেও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে আসছে যা শহরের প্রত্যেকটি ডেটা তার ভারচুয়াল মস্তিষ্কে শোষণ করে নেয়।

এ থেকেই অনুমেয় চীন এ আইতে কতটা এগিয়ে যাচ্ছে, এবং তুলনামূলক হিসেব করলে এখানকার সরকার ব্যবস্থা এরকম কাজের জন্য অনেকাংশে উপযোগী। একদলীয় শাসন ব্যবস্থা হওয়ায় যেকোন সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধায় পড়তে হয়না। এবং এটাও আমেরিকার চেয়ে চীনকে এগিয়ে যেতে অনেকাংশে সহায়তা করছে। উপরিউক্ত কারণগুলোই আমাদেরকে চীনকে এগিয়ে রাখতে সহায়তা করছে। 

তবে চ্যালেঞ্জে যেই জিতুক  পরিবর্তন আসছে, এবং আমরাদেরকে  সম্পূর্ণ স্বীকার করে নিতে হবে। সেজন্য  আমাদেরকে এমন কাজগুলি খুঁজে বের করতে হবে যা এআই করতে  পারবে না এবং সেগুলো মানুষকে দিয়ে করানোর জন্য ভাবতে হবে।  আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার উন্নতির প্রয়োজন। এই সময়টাই হতে পারে সবচেয়ে সেরা  অথবা সবচেয়ে খারাপ ।  কারন ভবিষ্যৎ পৃথিবী এখনকার সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে।

উবার ড্রাইভারের মতো অনেকেই আছেন নিজেদের চাকুরি নিয়ে চিন্তিত। প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে তাদের বিকল্প ব্যবস্থাটাও এখন থেকেই আমাদেরকে ভাবতে হবে। তবেই তা হবে টেকশই ও সুদূরপ্রসারী...

আরো তথ্যঃ China vs US: Who is winning the big AI battle?
Bangladesh's Future Technology thinking
Flag Counter
April 22, 2018 No comments
ইঙ্গিতে তার শিখায় সাগর-
অন্তর হোক রত্ন-আকর;
নদীর কাছে শিক্ষা পেলাম
আপন বেগে চলতে।
কখনো কি এই প্রশ্ন আপনার মনে জেগেছে, কক্সবাজার, কুয়াকাটা বা নিঝুমদ্বীপে পর্যটক কেন এতো বেশী আসে? অন্যভাবে বলা যায়, সাগরের তীরেই কেন মানুষ বেশী ঘুরতে যায়?
তবে শুধু শখের বসে ঘুরাঘুরির জন্যই নয়,  সাগরের তীর মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যেও বেশ উপকারী। সেজন্যই এসব জায়গায় পর্যটক তুলনামূলক বেশী।  আর আজকে আলোচনা করব এর পেছনের কারণগুলো নিয়ে।

সমুদ্রতীরে কেন যাবো?
শুধুমাত্র পানি দর্শন আপনাকে সুখী ও স্বাস্থ্যবান করতে যথেষ্ট। না, এটা আমার কথা নয়, এটি বলেছে  European Centre for Environment and Human Health। তাদের গবেষণায় দেখা গেছে, সাগর, নদী, ঝর্ণা প্রভৃত স্থানে মানুষ বেশী স্বাস্থ্যকর অনুভব করে এবং যতবেশী পানি থাকে, ফলাফল তত বেশী পজিটিভ হয়। অর্থ্যাৎ, যেই স্থানে বেশী পানি থাকে, পর্যটকগণ সেখানে বেশী যাতায়ত করেন, কারণ তা তাদের মানসিক স্বাস্থ্যে বেশী প্রভাব ফেলে। মূলত এই গবেষণাটি ছিল পুর্বের-  "মানুষের স্বাস্থ্যের উপর সবুজ রং বা প্রকৃতির প্রভাব" নিয়ে করা গবেষণার আপডেট ভার্সন, যেখানে নতুনভাবে মানসিক স্বাস্থ্যের উপর পানির প্রভাব যুক্ত করা হয়। এবং এতে দেখা যায়, সবুজ রং বা প্রাকৃতিক দৃশ্যের চেয়ে নীল সাগরকে মানুষ বেশী প্রাধান্য দিচ্ছে।

সাধারণত ছবিতে পানি বা বিচের ছবি দেখেলেও আমাদের মধ্যে অন্যরকম ভালোলাগা কাজ করে। তাহলে সরাসরি যদি সেসব দৃশ্য দেখা যায়, কেমন লাগবে?
আপনি হয়ত ভেবে নিয়েছেন সেটা নিশ্চয়  আরো ভালো হবে? হ্যা, গবেষণাও ওকই কথা বলছে।

নিউজিল্যান্ডের সী বীচে এরকম একটি গবেষণা করা হয়েছিলো যেখানে পানির আয়তনের সাথে মানুষের মানসিক আনন্দের সম্পর্ক খোজা হয়েছে। যার ফল অনুযায়ী দেখা যায়, যত বেশী পানিওয়ালা বীচ, সেখানে মানুষের আনন্দটা বেশী। এছাড়া সমুদ্রের নানা প্রাণী এই ভালোলাগাকে বাড়ীয়ে দিবে আরো কয়েকগুণ।
এছাড়া আবাসস্থল হিসেবে জলরাশীর পাশে বিশাল নীল আকাশকে মানুষ বেশী প্রাধান্য দিয়ে থাকে। যার ফলে এসব বীচ অঞ্চলে দখলবাজ আবাসন ব্যবসায়ীদের আনাগোনাও বেশী।
তবে সবকচিছু ছাড়িয়ে যে ব্যপারটা মূখ্য, তাহল মানসিক প্রশান্তি, যা সমুদ্র তীর আপনাকে সবচেয়ে বেশী ভালভাবে দিতে পারে।
তাই যদি চান মানসিক শান্তি, সমুদ্র তীরের জলরাশী আপনার বিশ্বস্ত সঙ্গী। তাইতো প্রেমিক মনও গেয়ে উঠে---
সাগরের তীর থেকে মিষ্টি কিছু হাওয়া এনে
তোমার কপালে ছোঁয়াবো গো
ভাবি মনে মনে

অবকাশ যাপনে সমুদ্রতীরঃ ডাক্তারের মতামতঃ-
তো, পানি আপনাকে মানসিক প্রশান্তি দেয়, কিন্তু এটা কি জানেন পানি একইসাথে স্বাস্থ্যকরও?
সবুজ বন আর নীল জলরাশীর তুলনায় ২০১৫ সালের এক রিসার্চে দেখা যায়, শারীরিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতেও জলরাশী দর্শন মানুষকে বেশী সুবিধা দেয়।

এটাও সত্য যে মানসিক স্বাস্থ্য মানুষের জীবনে একটা বড় ভূমিকা পালন করে থাকে। এজন্য আপনার চারপাশের পরিবেশ আপনার দৈনন্দিন জীবনে সবচেয়ে বড় প্রভাব ফেলে। আপনার বাসার আশপাশের পরিবেশ যদি সুন্দর হয়, তাহলে আপনার কর্মক্ষেত্রেও এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং আপনি বেশী কাজ করতে পারবেন।
সেইসাথে মানসিক অবকাশ হিসেবেও যদি একটি ভালো জায়গায় যাওয়া যায়, সেটাও আপনার পবর্তী জীবনে বড় প্রভাব রাখতে পারে। আর সে স্থান যদি হয় কোন সমুদ্রতীর- কক্সবাজার, কুয়াকাটা, সেন্ট মার্টিন, নিঝুমদ্বীপ তাহলেতো সোনায় সোহাগা!

তাই, বেশী বেশী সমুদ্র ভ্রমণ করুন, নিজে সুস্থ্য থাকুন, আশপাশের পরিবেশ সুস্থ্য রাখুন ।


April 04, 2018 No comments
Newer Posts Older Posts Home

Labels

On Point On Topic Special Day

recent posts

Blog Archive

  • April (1)
  • March (2)
  • February (1)
  • January (1)
  • August (1)
  • July (1)
  • March (1)
  • February (1)
  • October (1)
  • March (1)
  • April (1)
  • March (2)
  • November (1)
  • May (1)
  • November (3)
  • October (2)
  • September (1)
  • August (1)
  • July (1)
  • June (1)
  • May (2)
  • April (2)
  • March (5)
  • February (1)
  • February (1)

Designed By | Distributed By GooyaabiTemplates