facebook twitter tumblr instagram linkedin
  • Home
  • On Topic
    • On Topic
    • Short Codes
  • Special Day
  • FEC

Mahdi Hasan








বেশ কয়েকদিন ধরে খুব বেশী বজ্রপাতে মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। এর শিকার হচ্ছে দরিদ্র ও ক্ষেতে কাজ করা শ্রমিকরা।




বিশেষজ্ঞরা জানান, বর্ষা আসার আগমুহূর্তে এপ্রিল-মে মাসে তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। এতে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। আর দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর থেকে ভেসে আসা আর্দ্র বায়ু আর উত্তরে হিমালয় থেকে আসা শুস্ক বায়ুর মিলনে কালবৈশাখী বয়ে যায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। ঝড়ের সময় বেশি বজ্রপাত ঘটে। বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি, ধাতব পদার্থের ব্যবহার বেড়ে যাওয়া, বনভূমি কমে যাওয়া, জলাভূমি ভরাট ও নদী শুকিয়ে যাওয়া বজ্রপাত বৃদ্ধির কারণ।




গত দুই মাসে বাংলাদেশে বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা ২০০ ছুঁই ছুঁই করছে। যার ৯০ শতাংশই কৃষক। এ সময়ে বজ্রপাতে আহত হয়েছেন প্রায় সাড়ে ৩০০ মানুষ। এদের মধ্যে কারও শরীরের আংশিক, কারও সম্পূর্ণ অংশ পুড়ে দগদগে ক্ষত তৈরি হয়। এই ক্ষত সারানোর সুযোগ না পেয়ে ভাগ্যাহত এসব মানুষের স্বপ্ন এবং সম্ভাবনাও পুড়ে শেষ হয়ে যায়।

বজ্রপাতের সময় প্রায় ৬০০ মেগাভোল্ট বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয়। একজন মানুষের মৃত্যুর জন্য ১০০ ভোল্টের বিদ্যুৎ যথেষ্ট। আওয়াজ হওয়ার আগেই বজ্র মাটি স্পর্শ করে। তাই বোঝার আগেই আক্রান্ত হন অনেকে। বজ্রপাতে মাত্র ১ সেকেন্ডেরও কম সময়ে একজন মানুষের মৃত্যু হয়। বজ্রপাতে আহত ব্যক্তিকে স্পর্শ করাও বিপজ্জনক। এ কারণে আক্রান্ত ব্যক্তিকে সাহায্য করতে গিয়েও দগ্ধ হন অনেকে।

ভারতীয় আবহাওয়া অফিস ও জাপানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতি বছর গড়ে ২ হাজার ৪০০ বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ৩০০ মানুষ মারা যান। অথচ যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর ২৫ মিলিয়ন বজ্রপাত হয়। কিন্তু সেখানে মৃতের সংখ্যা ৪০-৫০ জন। নাসা ও মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় বলা হয়েছে, মার্চ থেকে মে পর্যন্ত বাংলাদেশের সুনামগঞ্জে এবং জুন থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ভেনিজুয়েলার মারাকাইবো লেক এলাকায় সবচেয়ে বেশি বজ্রপাত আঘাত হানে। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া বিজ্ঞানের অধ্যাপক এমএ ফারুকের নেতৃত্বে এক গবেষণায় বলা হয়েছে, দেশে বজ্রপাতে মৃতের সংখ্যা বছরে দুই থেকে আড়াইশ'।




সরকারিভাবে বজ্রপাতের ক্ষতি কমাতে দেশব্যাপী ৩২ লাখ তাল বীজ রোপণ করা হয়েছে। বজ্রপাত বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে টিলিভিশনে প্রচার চালানো হচ্ছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটিগুলোকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। বজ্রপাতপ্রবণ এলাকা ও হাওরাঞ্চলে নিবিড় টিলা তৈরি করা হবে।

বজ্রপাত থেকে জানমালের ক্ষতি কমাতে আগাম সতর্কবার্তা দিতে দেশের ৮টি স্থানে পরীক্ষামূলকভাবে বজ্রপাত চিহ্নিতকরণ যন্ত্র বা লাইটনিং ডিটেকটিভ সেন্সর বসানো হয়েছে। এর মাধ্যমে বজ্রপাতের অন্তত ১০-১৫ মিনিট আগে এর সংবাদ জানা যাবে। তাৎক্ষণিকভাবে সেই তথ্য আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট ও মোবাইলে ওয়েদার অ্যাপের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে। দেখার বিষয় অনগ্রসর গ্রামীণ মানুষদের জন্য এটা কতটা সুফল বয়ে আনে।

পরিসংখ্যান বলছে, বজ্রপাতে নিহতের চেয়ে আহতের সংখ্যা অন্তত দশগুণ বেশি। বজ্রপাতে আহত রোগীদের চিকিৎসা প্রক্রিয়া জটিল। বাংলাদেশে বজ্রপাতে দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসা নেই। পাওয়া যায় না ওষুধপত্রও। দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বজ্রপাতের আহতদের বিদ্যুৎস্পর্শে ও আগুনে পোড়া রোগীদের প্রক্রিয়ায় চিকিৎসা দেওয়া হয়। গ্রামাঞ্চলে বজ্রপাতে আহতের সংখ্যা বেশি। কিন্তু উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালে এ-সংক্রান্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা না থাকায় রোগীদের অসহনীয় ভোগান্তি পোহাতে হয়।




তাই বজ্রপাত চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ও এর ক্ষয়ক্ষতিরোধকল্পে প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের প্রয়োগ বেশী গুরত্বপুর্ণ।
May 29, 2018 No comments


ব্যস্ত এই শহরে প্রতিনিয়ত হাজারো মানুষের দেখা মেলে। তাদের কয়জনকে আমরা আলদাভাবে চিনি? এদের মধ্যে কিছু মানুষ থাকে যারা অন্যান্য মানুষদের চেয়ে আলাদাভাবে নিজের জীবন পরিচালনা করে থাকে।

প্রায় সময় দেখা যায়, মেধাবী বা বুদ্ধিমান লোকজন গড়পড়তা লোকদের চেয়ে একটু আলাদা থাকতে চায়। তাই এটাই স্বাভাবিক, তারা প্রয়োজন ছাড়া অন্যদের সাথে কথা বলা একদম এড়িয়ে যায়। অপ্রয়োজনীয় দেখা সাক্ষাৎ তাদের খুবই অপছন্দ এবং এমনও হয় যে নিজদের সামাজিক অনুষ্ঠানগুলোতেও তাদের উপস্থিতি যতসামান্য চোখে পড়ে।

তারচেয়ে বড় ব্যাপার হল, এরকম লোকগুলো বেশী কথা বলা কিংবা তর্কের চেয়ে চুপচাপ শুনতে পছন্দ করে। কোলাহল ও ব্যস্তময় জীবনের চেয়ে দূরে একাকী জীবন যাপনে তাদের স্বাচ্ছন্দ্য সবচেয়ে বেশী।

The British Journal of Psychology, London School of Economics এর evolutionary psychologists সাতোশি খানজাওয়া ও Singapore Management University এর নরম্যান লি এর একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যেখানকার মূখ্য বিষয় হল একটি সুখী জীবনের জন্য কি কি উপাদান প্রয়োজন হয়। আধুনিক বিশ্বে অধিকাংশ মানুষ আর ব্যক্তিগত নির্দেশিকার জন্য পুরোহিত বা দার্শনিকদের কাছে যায়না; তার পরিবর্তে জরিপ গবেষক, অর্থনীতিবিদ, জীববিজ্ঞানী এবং বিজ্ঞানীদের কথা শুনছেন। এরকম মানসিকতার ১৫০০০ মানুষ নিয়ে এক জরিপে দেখা যায়, ঘনবসিত অঞ্চলে বসবাসকারি তাদের প্রায় সবাই নিজেদের নিয়ে সুখী, কারণ এদের মধ্যে খুব অল্পই আছে, যারা উচু চিন্তাধারী বা বুদ্ধিমান।

বর্তমান সময়ে সবাই সুখী হতে চায়। কিন্ত এতে আশ্চর্যের কিছু নেই যে, এতো মানুষের মধ্যেও একা থেকে কিভাবে সুখী হওয়া যায়!! কেননা তারা এভাবেই নিজেদের পরিবেশ গড়ে নিয়েছে।

এই জরিপে সাতোশি ও নরম্যান দেখেছেন যে, অধিক মানুষের ভীড়ে থাকার চেয়ে ভালোবাসার মানুষের মধ্যে থাকাটাই তাদের বেশি পছন্দ এবং এতে বেশী ভালোলাগা কাজ করে। সমাজের অধীক মানুষের সাথে অনেক সময় ব্যয় কয়ার চেয়ে একজনের সাথে অল্পকিছুক্ষণ বেশি সুখী হতে সাহায্য করে। যার ফলে তাদের সুখী থাকার হারটাও বেশী।

বরং এও দেখা যায় যে, উচ্চ বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন লোকজন বেশী মানুষের মধ্যে থাকলে বরং তাদের সুখী ভাবটা অনেক কমে যায়।

এটাকে গবেষকরা বলে থাকেন - উচ্চ বুদ্ধিমত্তার লোকদের নিম্ন জীবন সন্তুষ্টি ।

ওয়াশিংটন পোস্ট এর ক্যারোল গ্রাহাম এ ব্যাপারে বলেছেন- উচ্চ বুদ্ধিমত্তার লোকগুলো স্বল্পকালীন সামাজিকতার বিষয়ে সময় না দিয়ে এই সময়টা তাদের নিজেদের দীর্ঘমেয়াদী ফোকাস কাজ গুলোতে দিয়ে থাকেন। যা অধিক কার্যকর।

সুখ এর বিখ্যাত থিওরি, সাভান্না থিওরি অনুযায়ী, মানুষ সুখী হবার জন্য সেসকল কাজই করে, যা আদীম মানুষ করতে পছন্দ করতো। সাভান্না থিওরি অনুযায়ী, কম ঘনত্বের জনসংখ্যায় মানুষ বেচে থাকার জন্য বেশী বেশী আলাপচারিতের প্রয়োজন । এই গবেষণা অনুযায়ী, উচ্চ বুদ্ধিমত্তার লোকদেরকেও এখন নিজেদের বেশী আলাপচারিতে করতে হচ্ছে। কারণ অতীতেও মানুষজন কম ঘনত্বের অধীবাসী হওয়ায় নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ বেশী রাখতো। কিন্তু থিওরি আর রিয়েলিটি কি এক?? আমার মনে হয়না। মেধাবী লোকগুলা গম্ভীরই হয়ে থাকেন এবং সবসময় নিজেদের নিয়েই মেতে থাকেন।

তবে, বুদ্ধিমান বা মেধাবী লোকদের কথা কম বলা কিন্তু সমাজের জন্যই উপকারী। তারা তাদের সময় গল্প গুজবে ব্যয় না করে তাদের কাজে ব্যয় করে ফলে নিজের কাজে অগ্রগতিতে সক্ষম হয়। এবং সমগ্র মানবতার জন্য জীবনের মান অগ্রগতিতে সক্ষম হয়। সম্ভবত আধুনিক সমাজের সবচেয়ে বড় সমস্যাটি হচ্ছে জনসংখ্যার অধিকাংশই একসঙ্গে একসঙ্গে বসবাস করে, তাই ব্যক্তিবিশেষের কাছ থেকে ঘনিষ্ঠ জনগোষ্ঠীর সহায়তার পরিবর্তে বরং তা বাধাগ্রস্ত হয়।

May 24, 2018 No comments
Newer Posts Older Posts Home

Labels

On Point On Topic Special Day

recent posts

Blog Archive

  • April (1)
  • March (2)
  • February (1)
  • January (1)
  • August (1)
  • July (1)
  • March (1)
  • February (1)
  • October (1)
  • March (1)
  • April (1)
  • March (2)
  • November (1)
  • May (1)
  • November (3)
  • October (2)
  • September (1)
  • August (1)
  • July (1)
  • June (1)
  • May (2)
  • April (2)
  • March (5)
  • February (1)
  • February (1)

Designed By | Distributed By GooyaabiTemplates