facebook twitter tumblr instagram linkedin
  • Home
  • On Topic
    • On Topic
    • Short Codes
  • Special Day
  • FEC

Mahdi Hasan

একুশ আমার অহংকার। 

অহংকার মানে এমন কিছু, যা শুধু আমাদের আছে, আর কারো নেই। সে ব্যাপারটা যেকোনোকিছুই হতে পারে। ভাষা আন্দোলন আমাদেরকে নিজেদের ভাষা নিয়ে অহংকার করার এই অধিকারটুকু এনে দিয়েছে। এজন্য সকল ভাষা আন্দোলনকারীদের জন্য রইলো অপরিসীম শ্রদ্ধা ও দোয়া। 

একুশের মহান স্মৃতির স্মরণে সবার আগে আমরা যে কাজটা  করি, তাহলো খালি পায়ে প্রভাত ফেরি। প্রভাত ফেরির মূল উদ্দেশ্য হল খুব সকালে সতেজ মনে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিদর্শন। সেই সাথে ফুল চিরন্তন ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ।  সেই ফুল হোক সাড়ে ৭ হাজার টাকা দিয়ে কেনা, কিংবা ১০ টাকার একটা গোলাপ। দুটোই ভালোবাসা প্রকাশ করে, যেটা আসতে হয় হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে। আমরা বিশ্বাস করি, ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী সকল বাংলাদেশী আমাদের কাছ থেকে এই ভালোবাসাটুকু পাওয়ার দাবী রাখেন। এবং তাদের এই ঋণ আমরা কোনোদিন শোধ করতে পারব না। 

অহংকার নিয়ে বলছিলাম। অহংকার ব্যাপারটা দুরকমের হয়। প্রথমত হল নিজেদের একটা মহান অর্জন নিয়ে নিজেদের মধ্যে একটা প্রফুল্লতা বজায় রাখা। আর দ্বিতীয়ত, নিজেদের অর্জন ও অন্যদের সেটা নেই বলে তাদেরকে খাটো করে নিজের মহানতা জাহির করা। প্রথম কাজট যখন হয়, তখন অন্যরাও আপনার অহংকারবোধকে স্বাগত জানাবে, কিন্তু দ্বিতীয় ক্ষেত্রে এটা নিচু মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ। 

বাংলা ভাষার অধিকার অনেক কষ্টে কোন অধিকার আদায়ের ইতিহাস। সেজন্য আমরা বাংলাকে সম্মান করি। শুধু আমরাই নয়, এদিন ইউনেস্কোভুক্ত পৃথিবীর সকল দেশের নাগরিক বাংলাকে সম্মান জানায়। আর বাংলাকে সম্মান জানানো মানে বাংলাদেশীদেরকে সম্মান জানানো। অর্থাৎ পৃথিবীর সবার কাছেই আমরা সম্মানের জাতী। 

কিন্তু এই সম্মান বজায় রাখার জন্য বর্তমানে আমাদের অবদান কতটুকু? আমরা কি পারছি সেই দেশ প্রেম দেখাতে? আমরা কি পারছি আমাদের অধিকার রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হতে? 

উত্তর সবারি জানা। দেশব্যপি অন্যায়, অবিচার, দুর্নীতি ও প্রহসনের যে তান্ডব চলছে, তাতে আমাদের ছাত্রসমাজ কতটা প্রতিবাদ দেখাতে পেরেছে? কোনকিছু হলেই আমরা অতীত ইতিহাস স্মরণ করতে পছন্দ করি। 
৫২ তে করেছি, ৬৬ তে করেছি, ৬৯ করেছি, ৭১ এ মুক্তিযুদ্ধ, ১৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৩ তে বৈষম্যমূলক শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী আন্দোলন কিংবা ৯০ এ চুড়ান্ত স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন। সবই ছাত্রদের অবদান। 

কিন্তু বর্তমান সময়ে আমরা কী করেছি, সেটাও দেখার বিষয়। আমরা কি আমাদের সেই চেতনাবোধ ধরে রাখতে পেরেছি? পেরেছি কি আমাদের সার্বজনীন শ্রদ্ধাবোধ বজায় রাখতে? 

বাংলা ভাষার সার্বজনীনতা নিয়ে বলতে গেলে বলতে হয়, সকল ভাষায় কারো না কারো মাতৃভাষা। আমাদের কাছে যেমন বাংলা, অন্য দেশের কাছে তেমন তার ভাষা। তাই সব ভাষাকে সম্মান দিতে হবে।\

কিন্তু সম্মানের মানে এই নয় যে, আমরা নিজেদের ভাষা রেখে  সারাদিন ঐ ভাষা নিয়ে পড়ে থাকব। প্রতিদিন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমরা যে পরিমান বাংলাকে অবজ্ঞা দেখতে পাই, বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে, তা লজ্জাকর। বিভিন্ন পার্টি, কন্সার্ট, উৎসব, বিভিন্ন ডে বা এসব নামে অহরহ অন্য ভাষার গান বাজানো হয়, যেখানে বাংলা হয়ে যায় সংখ্যালঘু। নাচের ক্ষেত্রেও দেখা যায় আমাদের আধুনিকমনা শিক্ষার্থীগণ বাংলাকে পাত্তা দিতে চান না। বলা হয় বাংলায় যথেষ্ট উপযোগী সংগীত নেই। কিন্তু আমরাই যদি সেগুলো ব্যবহার না করি তাহলে সমৃদ্ধতা আসবে কিভাবে?  অথচ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকেই বাংলার সর্বোত্তম ব্যবহার পাওয়ার কথা ছিল।  

বিশ্ববিদ্যালয় এর কথা আসলেই সবার আগে চলে আসে উচ্চ শিক্ষায় বাংলা ভাষার ব্যবহার । আমার মনে হয় উচ্চ শিক্ষায় ভাষার ব্যবহার নিয়ে আময়াদের একটি নীতিগত সিদ্ধান্তে আসা উচিৎ। 

বর্তমানে উচ্চ শিক্ষার সব বই ইংরেজিতে পড়তে হয় এবং শিক্ষার ভাষাও ইংরেজি। এমনকি উচ্চ আদালতের রায় প্রকাশ করা হয় ইংরেজী ভাষায়। 

উচ্চ শিক্ষায় বাংলার প্রয়োগ ঘটাতে হলে আমাদের দুটো ব্যাপার সামনে চলে আসে। 

প্রথমত, বাংলাকে যদি উচ্চশিক্ষার ভাষা করা হয়, তাহলে সবচেয়ে বড় অসুবিধা হল এর জন্য প্রয়োজনীয় বই  ও অন্যান্য উপাত্তের সংকট। কেননা ইংরেজি আন্তর্জাতিক ভাষা হওয়ায় এই ভাষায় পৃথিবীর সকল কিছু সহজেই পাওয়া যায়। কিন্তু যখন, আমরা বাংলা ভাষায় পান্ডীত্য অর্জন করতে যাব, তখন ইংরেজি থেকে অনুবাদ করতে হবে, ফলে আপনাকে ইংরেজি জানতেই হচ্ছে।  

দ্বিতীয়ত, যখন আমরা বিদেশে যাই, তখন শুধুমাত্র বাংলায় উচ্চশিক্ষা আমাদের বিপাকে ফেলবে। কেননা তখন আপনি তাদের সাথে ভাব বিনিময় করতে পারবেন না। যদিও এখনো আমাদেরকে বিদেশে যেতে আইএকটিএস বা টোফেল পরিক্ষা দিয়ে যেতে হয়, তবুও ইংরেজি জানা থাকায় আমরা সুবিধা পেয়ে থাকি। বাংলাই যদি একমাত্র ভাষা হত, তাহলে এই সুবিধা আমরা পেতাম না। 

অন্যদিকে, আরো একটা ব্যাপার লক্ষ্যণীয়। চীন, কোরিয়াসহ আরো কিছু দেশ তাদের নিজেদের ভাষায় শিক্ষাদান করে থাকে। কিন্তু এখানে ভালো ব্যাপার হল তাদের প্রয়োজনীয় সকল বই নিজেদের ভাষায় পাওয়া যায়, কিন্তু আমাদের না। এছাড়াও ওসব দেশ স্বাবলম্বি। 

তাদের নিজেদের দেশেই নিজেদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা আছে। বরং তারা বিদেশ থেকে মানুষ নিয়ে যায় কাজ করতে। এবং তাদেরকে তখন ঐ দেশের ভাষা জেনে সেখানে কাজ করতে যেতে হয়।  বাংলাদেশে যে সুযোগটা নেই ।

এখন প্রশ্ন হতে পারে, ওসব দেশ কি একদিনে এমন হয়েছে ? উত্তর অবশ্যই না। এজন্য তাদেরকে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করতে হয়েছে। অনেকদিন ধরে নিজেদের জ্ঞান ভাণ্ডার সমৃদ্ধ করতে হয়েছে।তারপর তারা এরকম কাজ করতে পেরেছে। 

এখন অন্য একটি উদাহরণ দেই। জাপান একসময় ইংরে্জি বিদ্বেষী ছিলো। শুধুমাত্র নিজেদের ভাষা ব্যবহার করতো। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাপান ইংরেজী ভাষী আমেরিকানদের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে থাকে। তারাও নিজেদের ইংরেজী জ্ঞান বাড়াতে থাকে এবং নিজেদেরকে বিশ্বের সবার সাথে তাল মেলাতে থাকে। ফলে তারা দ্রুতই উন্নতির দিকে এগিয়ে যায়। আমেরিকার সাথে এতবড় যুদ্ধ সত্বেও জাপান বন্ধুত্বের হাত মিলিয়ে নিজেদের স্বার্থকে এগিয়ে নিয়েছে। এই স্বার্থ চেতনা বিরোধী নয়, বরং উন্নতির স্বার্থ। নিজেদের কিভাবে উন্নতি হবে, সেটা চিন্তা করে তাদের যা করণীয়, সবই করতে সক্ষম হয়েছে।  

দুটো উদাহরণ থেকে বোঝা যায়, আমদের এ ব্যপারটা নিয়ে অনেক ভাবতে হবে। আমরা কি নিজেদের ভাষায় আলাদা তথ্য ভাণ্ডার তৈরি করব, নাকি যাদের আছে, তাদেরটা ব্যবহার করে এগিয়ে যাব। 

আমার মনে হয় দ্বিতীয়টা শ্রেয়। কেননা ভাষা পরিবর্তনশীল। আজকে যা বাংলা আছে, একসময় এই বাংলা ছিলোনা। এরপরে এরকম থাকবেনা। তাই নতুন করে কিছু করে তা আকড়ে রাখার চেয়ে যা আছে, তাকে কিভাবে সর্বোত্তমভাবে ব্যবহার করা যায়, সেটা ভাবাটাই বেশী লাভজনক। 

এটা সত্য ইংরেজী বিদেশি ভাষা হওয়ায় তা শেখা কষ্টকর। কিন্তু একজন ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার, ব্যবসায়ীকে চিন্তা করতে হয় আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে। তার চিন্তা জুড়ে থাকবে পৃথীবীর কোথায় কি হচ্ছে, তা কিভাবে নিজের মধ্যে অর্জন করা যায়, তা কিভাবে কাজে লাগানো যায়, এসব।  তার মাথা হবে বিশ্বব্যপী। আর সেজন্য আন্তর্জাতিক ভাষাটাই উচ্চশিক্ষা হিসেবে যথেষ্ট যুক্তির দাবীর রাখে। 

এই প্রশ্ন আসতে পারে, আমরা যদি বাংলায় শিখতাম, তাহলে কি সহজে শিখতে পারতাম না?? 
হয়ত শিখতে পারতাম, কিন্তু লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, আমাদের উচ্চ শিক্ষায় ভাষার চেয়ে কি শিখছি সেটা বেশী গুরত্বপূর্ণ। ভাষা খুব একটা পার্থক্য করেনা। একটা অংক বাংলায় করলেও অংক, ইংরেজিতেও অংক। 

ভাষার মতো করে ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীদের আরেকটা গুরত্বপূর্ণ প্রশ্ন হল, আমি হব ইঞ্জিনিয়ার, আমি কেন অর্থনীতি, হিসাববিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান, আইন এসব শিখবো। ব্যাপারটা আসলে এইরকমই, আমি বাংলা ভাষী, আমি কেন ইংরেজী শিখবো।

এই কথা কেন বললাম, তার উত্তর দিচ্ছি। 
একজন ইঞ্জিনিয়ারকে হতে হয় সব জান্তা। ইঞ্জিনিয়ার যারা হবেন, তারা কি সবাই শুধু মেশিন বা অন্যান্য ব্যাপার নিয়েই পড়ে থাকবেন? নাকি শ্রমিক হবেন?

ইঞ্জিনিয়ারিং এর সংগা যদি খেয়াল করি, সেখানে একটা ব্যাপার থাকে, কোন একটা সমস্যাকে এমনভাবে সমাধান করা, যাতে তা সবচেয়ে সাশ্রয়ী হয় এবং সবচেয়ে বেশী মানুষ উপকারী হয়। মানুষের কি কি লাগবে, তা জানতে হলে আপনাকে চাহিদা সম্পর্কে জানতে হবে। একটা উপাদান মানুষের কাছে সহজে পৌছাতে, আপনাকে বাজার সম্পর্কে জানতে হবে। কতটা লাভজনক ভাবে উৎপাদন করা সম্ভব এসব জানার জন্যেও অর্থনীতি আপনাকে সাহায্য করবে। পণ্য উৎপাদন ও এর নীতিমালা জানার জন্য আপনার আইন জানা জরুরি। সমাজবিজ্ঞান আপনাকে সমাজ ব্যবস্থা সম্পর্কে জানাবে, যা আপনাকে সমাজের মানুষের সাথে নিজেকে মেলাতে সাহায্য করবে। 

এভাবেই প্রতিটি বিষয়ই আপনার জীবনের সাথে মিশে যাবে। আপনি যদি শুধু কঠিন কঠিন গণিত পড়েন, তাহলে আপনি হয়ে যাবেন রোবট, আবেগ অনুভুতি থাকবেনা। সেজন্য দরকার সাহিত্য। আমার মনে হয় মনোবিজ্ঞানও আমাদের পাঠ্য হওয়া উচিৎ। 

এক জায়গায় পড়েছিলাম, একজন ইঞ্জিনিয়ার হতে হবে একজন কবি। কবি যেমন ছন্দ দিয়ে কবিতা লেখে, তেমনি ইঞ্জিনিয়ারকে তার কাজের মধ্যে ছন্দ রাখতে হয়। তার মনে প্রেম থাকতে হয়। তাহলেই তার বানানো বাড়ির ডিজাইন হবে ছন্দময় । বানানো শহর হবে সাজানো। মেশিন হবে রোমান্টিক। তার কাজ হবে নির্ভুল। 

আর এই সাহিত্যের চেতনা কিন্তু আবার মাতৃভাষার সাথে জড়িত। যার ভাষার প্রতি বেশী শ্রদ্ধা, সে ভাল সাহিত্যিক। বলা হয়ে থাকে, ইঞ্জিনিয়ার ব্যর্থ হলে সাহিত্যিক হয়। কিন্তু আমি বলি প্রতিটা ভালো ইঞ্জিনিয়ারই একেকজন সাহিত্যিক ।  আর এই সাহিত্যের গুণ আসে মানবিকতা থেকে, আর যেটা আমাদের পাঠ্যসূচিতেই আছে। 

বাংলার চর্চা হোক, শ্রদ্ধা হোক। বাংলার গৌরব ছড়িয়ে যাক সবার অন্তরে। প্রতিটি বাঙগালী বাংলাদেশী হয়ে উঠুক। দেশাত্ববোধ জাগুক সবার মনে। নিজের সাথে সম্মান করুন সবার ভাষাকে। আর ভালবাসুন মাকে।
February 23, 2018 No comments
ক্যাম্পাস এ আজ এক জুনিয়র এর সাথে পরিচয় হল, সে মেডিকেল এর জন্য সেকেন্ড টাইম দিবে।
এর কারণ এই নয় যে তার ইঞ্জিনিয়ারিং ভালো লাগেনা, কারণ হল তার গার্লফ্রেন্ড মেডিকেল এ পড়ে।
এখন সেও যদি মেডিকেল এ চান্স পায়, তাহলে গফের পরিবারকে একটা বুঝ দেয়া যায়। যাতে তাদের রিলেশন এ সমস্যা না হয়।
আমার এক রুমমেট এর গফ গতবার সাস্ট এ চান্স পেয়েছিল। এজন্য সে এবার সাস্ট এর জন্য সেকেন্ড টাইম প্রিপারেশন নেয়।
দুর্ভাগ্যবশত ব্যর্থ হয়। যার ফলে তার জীবনের মূল্যবান এক বছর নষ্ট হল।
এখানে লক্ষণীয় ব্যপার হল এই সময়কার তরুণরা আসলে স্বত্বাহীণতায় ভুগছে। তারা তাদের সামনে কোন আদর্শ পাচ্ছেনা।
বিদেশী ডিগ্রিধারী প্রফেসরদের চেম্বারে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থেকে প্রত্যেক বাবারাই তার সন্তানকে ডাক্তার বানানোর তীব্র বাসনা হৃদয়ে জাগিয়ে তোলেন।
কিন্তু দেখা গেলো তার ছেলেটার বিল্ডিং ডিজাইন খুব ভালো লাগে।
অন্য দৃশ্যও দেখা যায়, ছেলে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চাচ্ছে। কিন্তু মেয়ের বাবার ডাক্তার ছেলে পছন্দ।
তখন সে একটা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করার জন্য ডাক্তারির জন্য উঠেপড়ে লাগে।
ডাক্তারি পড়াতে কোন সমস্যা না। কিন্তু আসল সমস্যা শুরু হয় চান্স পাওয়ার পর।
ছেলেটা ডাক্তারিতে চান্স পেয়েছিল মেয়েটার জন্য, ডাক্তার হবার জন্য না।
অথবা বাবা মার ইচ্ছা পূরণের জন্য। চান্স পেয়ে কিন্তু সে স্বপ্ন পূর্ণ হয়ে গেলো।
কিন্তু পরবর্তীতে দেখা যায় বাবামার কাঙ্ক্ষিত সেই চেম্বারের সামনে লম্বা লাইন দাড় করাতে তার জীবনের বসন্ত পেরিয়ে বর্ষাকাল( রেইনি ডে) চলে আসে।
মেয়ের বাবার স্বপ্নও পুরোপুরিভাবে সফল হয় না, মানসিক চাপ্টা বাড়তে থাকে।
লেখার প্রথমে লিখেছি আদর্শের অভাবের কথা।
এখন বলি সেটা কিভাবে -
টিন এজ বয়সে যারা সহজেই আবেগতাড়িত হয়ে যায়, তারা পরবর্তিতে নিজের মস্তিষ্কের পূর্ণ ব্যবহার করতে পারেনা।
যখন আপনার আশেপাশের জগত নিয়ে চিন্তা করার কথা, তখন আপনি একজনের জগতে আবদ্ধ হয়ে পড়ছেন। এতে আপনার চিন্তা জগত হয়ে যাচ্ছে সংকীর্ণ।
এই ব্যবস্থা থেকে উত্তরণের প্রধান উপায় হল নিজেকে সময় দেয়ার হার বাড়ানো।
একজন লেখকের মাথায় তখনি সবচেয়ে ভালো আইডিয়া আসে, যখন সে করার মতো কোন কাজ পায়না।
আর সায়েন্টিস্ট এর মাথায় আইডিয়া আসে কাজ করতে গিয়ে ভুল হলে।
আদর্শের অভাব মানে হল, এরকম কিছু মানুষকে হাইলাইট করার ব্যর্থতা ,যারা নিজেদেরকে বেশী সময় দিতে পেরেছে এবং নিজের জন্য কিছু করেছে,
অন্যকে পাওয়ার জন্য বা অন্যের স্বপ্ন পুরণের জন্য নয়।
আর তারাই সবচেয়ে সফল, যারা নিজের অর্জনকে নিয়ে কাজ করে আরো বড় কিছু করতে চায়।
যেমন, তুমি ভার্সিটিতে একটা সাব্জেক্ট পেলে, যেটা তুমি চাওনি।
এখন তুমি যদি এই সাব্জেক্ট নিয়েই খুশি থেকে এই নিয়েই ভালো করতে চাও, তাহলে তুমি সবচেয়ে ভালো করতে পারবে।
তুমি একটা সাব্জেক্ট আশা করেছিলে, অথচ তা পাওনি। তারমানে তুমি তার যোগ্য নও।
তুমি যেটার যোগ্য, সেটাই পেয়েছো।
এখন উচিৎ হবে যোগ্যতা দিয়ে প্রাপ্ত বিষয় নিয়েই নিজের যোগ্যতাকে আরো উন্নত করা।


7 February, 2017
February 07, 2017 No comments
Newer Posts Home

Labels

On Point On Topic Special Day

recent posts

Blog Archive

  • April (1)
  • March (2)
  • February (1)
  • January (1)
  • August (1)
  • July (1)
  • March (1)
  • February (1)
  • October (1)
  • March (1)
  • April (1)
  • March (2)
  • November (1)
  • May (1)
  • November (3)
  • October (2)
  • September (1)
  • August (1)
  • July (1)
  • June (1)
  • May (2)
  • April (2)
  • March (5)
  • February (1)
  • February (1)

Designed By | Distributed By GooyaabiTemplates