facebook twitter tumblr instagram linkedin
  • Home
  • On Topic
    • On Topic
    • Short Codes
  • Special Day
  • FEC

Mahdi Hasan

মাফিয়াতন্ত্র, পুলিশি রাষ্ট্র বা আমলা তন্ত্র, যে যাই বলুক - আমার কাছে মনে হচ্ছে আমরা উপনিবেশিক আমলে আছি।

ব্রিটিশ আমলে পুলিশ হাফ প্যান্ট পরে হাতে লাঠি নিয়ে ঘুরতো। অফিসার মোটর গাড়িতে থাকতো, সাথে কেউ ঘোড়ায় চড়ে বা কেউ দৌড়ে সাথে সাথে থাকতো।

পথে ইচ্ছে হলেই কাউকে চাবুক দিয়ে মারতো, কাউকে লাঠি দিয়ে।

বিভিন্ন জায়গার অবস্থা দেখুন। সালথায় এসি ল্যান্ডের সহকারী গাড়ি থেকে নেমেই লাঠি দিয়ে পিটিয়ে কোমর ভেঙে দিয়েছে, নারায়ণগঞ্জেও ওরকম কিছু হয়েছে শুনলাম। আজকে ঢাকায় বাইকারদের লাঠি দিয়ে পেটাচ্ছে।

আর রিকশাচালকদেরকে পেটানোতো প্রতিদিনকার ঘটনা। 

এখানে দুটো ব্যাপার প্রতিবাদ করার মতো ঘটেছে। প্রথমত কেউ কারো গায়ে আঘাত করতে পারেনা। পুলিশের কার্যবিধি নির্দিষ্ট করা আছে। কেউ আইন না মানলে তাকে জরিমানা করবে, মোবাইল কোর্ট জেল দিবে, ক্ষেত্র বিশেষে আদালতে মামলা হবে। কিন্তু কখনো কারো গায়ে হাত তোলা যাবেনা।

২য় ব্যাপার হলো, করোনা মোকাবেলায় স্বাস্থ্যবিধির গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো দুরত্ব বজায় রাখা বা একক পরিবহণ ব্যবহার করা, যেখানে অন্যদের সংস্পর্শে আসবেনা। সেদিক দিয়ে বাইক, রিকশা, প্রাইভেট কার সবচেয়ে উপযোগী বাহন। কিন্তু সরকার বাইক রাইডিং বন্ধ করে দিয়েছে। যারা বাইক চালাচ্ছিলো তাদের উপর চালিয়ে পুলিশি নির্যাতন।
অনেকগুলো রিকশা রাস্তায় ফেলে দিয়েছে। 

মোট কথা, এদের পরিচালনা করে কারা, উপদেষ্টা কারা বা এই সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী প্যানেল এর সদস্য কে কে? যদিও এদের সবার প্রধান একজনই, তার ইশারা ছাড়া কোনো পাতা লড়েনা।

ভালো ব্যাপার হলো, মানুষ এখন প্রতিবাদী হচ্ছে, নিজের অধিকার সচেতন হচ্ছে। সালথায় গায়ে হাত তোলার প্রতিবাদে প্রশাসনের উপর হামলা করেছে, নারায়ণগঞ্জে, মুন্সিগঞ্জে প্রতিবাদ হয়েছে, আমার এলাকায়ও পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে মানুষ।

সিলেটে দেখলাম পুলিশ মেশিনগান আর গুলি নিয়ে বাংকারে বসে আছে। 

সব জায়গায় মানুষ ক্ষেপে আছে, সবাই একত্রিত হয়ে একদিন রাস্তায় নামলেই হয়ে যাবে বিপ্লব।
April 08, 2021 No comments



এরকম প্রশ্ন হয় এই ইস্যুতে প্রতিবাদ/আন্দোলন হয়না, ওটা নিয়ে কিছু বলেনা কিন্তু মোদিকে নিয়ে প্রতিবাদ করে, হরতাল ডাকে - এরচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তো আছে। এখানে ব্যাপার হলো প্রতিবাদ করাটা প্রত্যেকের স্বাধীনতা। কেউ যদি মনে করে এটা তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ তাহলে সে প্রতিবাদ করবেই, এটা নিয়ে আপনি নাখোশ হতে পারবেন না। কিন্তু প্রতিবাদ যদি সহিংস হয়, তবেই তার বিরোধীতা করা যাবে। মোদির আসার বিরোধীতা নিয়ে অনেকদিন ধরে বামপন্থি ছাত্ররা প্রতিবাদ করেছিলো। তাদের প্রতিবারের কারণ ছিলো মোদির গুজরাট হত্যা, আসামে নাগরিক তালিকা সংশোধন করা সহ আরো অনেক মানবাধিকার বিরোধী কাজের। সাথে আছে পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে বাংলাদেশকে কৌশলগতভাবে ব্যাবহারের উদ্দেশ্যে মোদির ভ্রমণ। এরমধ্যে রয়েছে বিজেপি যদি জিতে তাহলে তারা তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়নে কাজ করবে এরকম কথা বলেছে। সেজন্য আওয়ামীলীগ বিজেপিকে সাহায্য করবে তাকে দাওয়াত দিয়ে এনে তার ভ্যালু বাড়ানোর কাজ করবে, সাতক্ষিরায় মন্দির ভ্রমণ করে সে অনুসারীদের মন পেতে সাহায্য করবে। মোট কথা মোদিকে ভোটে মার্কেটিং এ সাহায্য করার জন্য তাকে স্বাধীনতা দিবসে দাওয়াত দেয়া। এসবের প্রতিবাদেই কয়েকদিন ধরে টিএসসি এলাকায় ছাত্ররা আন্দোলন করেছিল, আর তায়ে এসে ছাত্রলীগ + পুলিশ মেরেছে। সনজিত নামে একজন ঘোষণা দিয়েছে কেউ মোদির বিরোধীতা করলে তার কলিজা ছিঁড়ে নিবে। অর্থাৎ সে এদেশে মোদির সিকিউরিটির দায়িত্বে আছে। এবং সাথে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ হিসেবে প্রতিবাদকারীদের শায়েস্তা করবে। অন্যদিকে যারা ডানপন্থী ইসলামি দল - হেফাজত, ইসলামী আন্দোলন - তারা মোদির আসার প্রতিবাদ জানিয়েছে কিন্তু কোনো কর্মসূচী দেয়নি। বৃহস্পতিবারের মধ্যেই সবকিছু ঠাণ্ডা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু শুক্রবার জুম্মার পর কিছু মুসল্লি মসজিদের সামনে দাঁড়িয়ে মিছিল করে। এখন দেখতে হবে এই মিছিল কিন্তু কোনো দলীয় কর্মসূচি ছিলো না। অর্থাৎ আপনি যদি একে ওমুকের ষড়যন্ত্র, তমুকের চক্রান্ত হিসেবে দেখান, তার কোনো সূত্র এখানে নেই। এই পর্যন্ত এসে আপনাকে সমীকরণ দেখতে হবে। এই মিছিলে কেন ছাত্রলীগের হেলমেট বাহিনী বা পুলিশ হামলা করবে। গতকাল লিখেছিলাম কোনো শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে কী কী কাজ পুলিশ করতে পারে। কিন্তু আমরা দেখলাম পুলিশ এপিসি নিয়ে এসে গুলি ছুঁড়ছে। মসজিদে ঢুকে গেছে মানুষ, সেখানে গিয়ে পিটাচ্ছে, গুলি করছে। সাথে হেলমেট বাহিনী আছে। তারা তো পুলিশ না, পুলিশ তাদের কেন গ্রেপ্তার করছেনা? কেন তাদেরকে উল্টো হামলা করায় সহযোগীতা করছে? পুলিশের এখানে কী কাজ করার কথা, তারা কী করেছে? এই ঘটনা দেখার পর সবাই ক্ষেপেছে। বাম পন্থিরা ডানপন্থিদের পছন্দ করেনা। উল্টোদিকে ডানপন্থিরা কথায় কথায় কল্লা নেয়ার হুমকি দেয়। কিন্তু এখানে বামপন্থি সহ মধ্যপন্থি সবাই এর প্রতিবাদ করেছে। হেফাজত শনিবার বিক্ষোভ করলো, রবিবার হরতাল দিলো। সেখানেও দেখা গেলো পুলিশের সন্ত্রাস। সাথে যোগ দিয়েছে বিজিবি। তাদের গুলিতে ১৭ জন (আরো বেশি হতে পারে) মারা গেলো। যারা এই আন্দোলনের বিরোধীতা করছিলেন, বলছিলেন ওরা ধর্মের নামে সন্ত্রাস করছে, জঙ্গিবাদ বাড়াচ্ছে, ওরা ম্যুরাল ভাঙছে, ওরা স্বাধীনতা বিরোধী। আপনাদের কাছে এখন প্রশ্ন। যেহেতু ধরে নেয়া যায় আপনি খুব স্বাধীনতা জ্ঞান সম্পন্ন, আপনি প্রকৃত দেশপ্রেমিক, আপনি জাতীয়তাবাদী, আপনি গণতন্ত্রের অর্থ জানেন। এখন আমাকে বলেন - কোন কোন ক্ষেত্রে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনী গুলি করতে পারে? আপনার জ্ঞানের লেভেল বোঝা যাচ্ছে। একজন পুলিশ তখনি কাউকে গুলি করতে পারে যখন তার হাতে অস্ত্র থাকে বা সে অস্ত্র ব্যবহার করতে যাচ্ছে এমন সময়। আমেরিকার অস্ত্র আইন আরেকটু আলাদা, সেখানে আপনি প্রকাশ্যে বন্দুক নিয়ে ঘুরতে পারবেন, কিন্তু যতক্ষণ গুলি না করবেন, ততক্ষণ পুলিশ আপনাকে কিছু করতে পারবেনা। এজন্য দেখা গেছে ২০২০ এ করোনার মধ্যেও আমেরিকানদের এরকম বন্দুকধারীদের হাতে ২০ হাজার মানুষ মারা গেছে। যুদ্ধকালীন সময়েও যদি বিপরীত পক্ষের শত্রুর হাতে অস্ত্র না থাকে, তাহলে তাকে গুলি করা নিষেধ। এসব নিয়ে অসংখ্য যুদ্ধ আইন আছে, সামরিক বিধি নিষেধ আছে। আমার ধারণা বাংলাদেশের পুলিশ একাডেমীতেও এসব পড়ানো হয়। তাহলে কোন আইনে পুলিশ/ বিজিবি নিরস্ত্র এতগুলো মানুষকে লিথাল বুলেট ফায়ার করলো। খুবতো মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে চলেন। কথায় কথায় গণতন্ত্রের ফেনা তোলেন। এর উত্তর দিয়ে যান। এই যে পুলিশ যখন খুশি যাকে গুলি করে দিচ্ছে, যাকে খুশি ধরে নিয়ে যাচ্ছে আর গণতান্ত্রিক দেশের সরকার তাকে সায় দিচ্ছে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেনা - এরকম ব্যবস্থাকে বলে পুলিশি রাষ্ট্র। রাষ্ট্র - সরকারের সম্পর্ক নিয়ে আরেকদিন লিখবো। এবার শুরুর আন্দোলনের আলোচনায় আসি। মোদিকে নিয়ে কেন আন্দোলন হচ্ছে, কিন্তু এরচেয়ে আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু আছে, সেসব নিয়ে কেন হচ্ছেনা। মোদিকে নিয়ে সমস্যা সবার নেই। মোদি ভারতে মানুষ মেরেছে, শ্রীলংকার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মাহেন্দ্র রাজাপাকসের সরকার তামিলে মানুষ মেরেছে, বর্তমান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১২ বছরে আরো অসংখ্য মানুষকে মেরেছে, গুম করেছে। কিন্তু এসবই নিয়ে প্রতিবাদ হচ্ছেনা। যাদের ইচ্ছে হচ্ছে সে প্রতিবাদ করছে। আপনার মনে হল দ্রব্যমূল্য বাড়িয়েছে, গ্যাসের মূল্য বেড়েছে, আপনার এসব নিয়ে প্রতিবাদ করা উচিৎ। আপনি কেন করছেন না? আপনি নির্বাচনে ভোট দিতে পারেননা, সেটা নিয়েও তো বলেন না। আপনার সরকার তামিল গণহত্যার তদন্তের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে। আপনি প্রতিবাদ করুন। আগামীকাল প্রেসক্লাবের সামনে ব্যানার নিয়ে দাঁড়ান। এরপর দেখেন কতক্ষণ দাঁড়াতে পারেন। অন্যদের আন্দোলনে আপনি বলেন, এটা নিয়ে করছে, ওটা নিয়ে করছেনা কেন? সেটা নিয়ে আপনি করেন। কোনো যৌক্তিক আন্দোলনকে ঠেকানোর সবচেয়ে বড় উপায় হলো সেখানে অযৌক্তিক প্রশ্ন করা। কেউ কিছু নিয়ে প্রতিবাদ করলেই আপনার কষ্ট হয়, অথচ আপনি কিছু বলার সাহস রাখেন না। আজকে হুজুর মরছে বলে আপনার গায়ে লাগছেনা, কাল সেকুলার মরলেও আপনার গায়ে লাগবেনা। কারণ আপনি ঠিক আছেন। মায়ানমারের দিকে তাকান। একসময় সেনাবাহিনীর রোহিঙ্গা গণহত্যা তারা সমর্থন দিয়েছিল। বলেছিল ওরা মুসলিম সন্ত্রাসী। আজকে সেই সেনাবাহিনী তাদের নিজেদের মারছে। গতকাল তাদের সেনাবাহিনীর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণের ৭৬ বছর উদযাপন ছিলো । কত আনন্দ ও গৌরবের বিষয় না? অনেকেই তো বলেছিলেন স্বাধীনতা দিবসে কেন প্রতিবাদ করছে? মায়ানমারের সেই আনন্দের দিনে তারা নিষেধ করেছিল কেউ যেন বিক্ষোভ না করে। কিন্তু মানুষ গতকাল আরো বেশি বিক্ষোভ করেছে। আর ফল স্বরুপ ১১৪ জন গুলিতে মারা গেছে। আমাদের জন্যও একটা গর্বের বিষয় আছে, সে অনুষ্ঠান সারা বিশ্ব বর্জন করলেও মাত্র ৮ টা দেশ সেখানে অংশগ্রহণ করেছে, যার একটি বাংলাদেশ। এই যে এখন যেকোনো প্রতিবাদ দমনকে আপনি জাস্টিফাই করেন, কাল বাদে পরশু সেই ফ্রাঙ্কেনস্টাইন আপনার দিকেও আসবে। এটা ভুলে যাবেন না। মোদি আসা নিয়ে আমার ব্যক্তিগত আপত্তি নেই। এরচেয়ে বড় সন্ত্রাসী আমরা পালি। কিন্তু যে ১৭ জন সাধারণ মানুষ মারা গেলো, এরা কিন্তু কেউ রাজনীতির জন্য মরেনি। এরা সবাই। হুজুরও না। এদের মধ্যে পথচারী ছিলো, দর্জি ছিলো, এরা শিক্ষার্থী ছিলো, একজন ছিলো যে এসেছিল মিছিল দেখতে - কিন্তু এরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক ছিলো। আমি এদের সবার হত্যার বিচার চাই। হেফাজত আজকে হরতাল দিলো, কাল দেখবেন গণভবনে গিয়ে নতুন কোনো উপাধি দিয়ে এসেছে। কিন্তু অনুরোধ করবো এই হত্যাগুলোর বিচারের দাবী ছাড়বেন না। এরা কেউই নিজের স্বার্থের জন্য মরেনি, এরা মরেছে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে যেই দাড়াক, যে বিএনপি হোক বা জামাত, রাজনৈতিক বা অরাজনৈতিক তাদের পেছনে আমাদের দাঁড়াতে হবে। দেশ কারো পারিবারিক সম্পত্তি না। আপনি চুপ থাকলেই ওরা সাহস পাবে। গত দুদিনে দেখেন ওদের অবস্থা কেমন হয়েছে। ওরা বুঝে গেছে পালানোর দরজা কমে যাচ্ছে। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় প্রেসিডেন্ট থমাস জেফারসনের একটি বিখ্যাত উক্তি , When Injustice Becomes Law Resistance Becomes Duty অর্থাৎ অবিচারই যখন আইন হয়ে যায় প্রতিরোধ তখন অপরিহার্য হয়ে পড়ে । পৃথিবীর যেখানেই গণতন্ত্র , বাকস্বাধীনতা এবং আইনের শাসন এসেছে সেখানেই এই ভাবনাটির বাস্তব প্রয়োগ হয়েছে । আমাদের এখন প্রতিরোধের সময়।
March 29, 2021 No comments

 

স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা করতে গেলে আমাদের মানবাধিকার ও স্বাধীনতা শব্দগুলোর অর্থ ভালোভাবে বুঝতে হবে।

মানবাধিকারের প্রথম শর্ত হলো কোনো মানুষ অন্য কাউকে "ফিজিক্যালি হার্ম" করতে পারবেনা।

কেউই অন্য কাউকে শারিরীক আঘাত করতে পারবেনা। হত্যা তো আরো অনেক দূরের আলাপ।

স্বাধীনতার প্রথম শর্ত হলো চিন্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা। কেউ একজন বলেছিল, আমি তোমার মতের সাথে একমত না হতে পারি, কিন্তু তোমার মত প্রকাশের অধিকারের জন্য জীবন দিতে পারি।

অর্থনীতির কি অবস্থা, কত টাকা পকেটে আছে এগুলো কখনওই স্বাধীনতার নির্দেশক না। ক্রিতদাসেরও টাকা থাকে, কিন্তু সে স্বাধীনতার স্বাদ পায়না।

উন্নয়নের উদাহরণ দিয়ে স্বাধীনতাকে তুলনা করতে গেলে আমরা এখনো ব্রিটিশদের অধীনে থাকতাম। কারণ তারাইতো এ অঞ্চলে প্রথম পশ্চিমা আবহের নির্মাণ কাজ করেছিলো। রেল বসিয়েছে। অট্টালিকা বানিয়েছে। তখনো কিছু মানুষ বলেছে - এই রাণীর অধীনে না থাকলে এত উন্নয়ন করতো কে? ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বিকল্প দেখাও?

তখনো কিছু মানুষ এখনকার মতো ভিন্ন ভুখন্ডের দালাল অভিহিত হয়ে লড়েছিল। তাদেরও হয়ত বলেছিল, এরা পর্তুগালের দালাল 🥱

কিন্তু নিজেদের স্বাধীনতার অধিকার সবসবময় চলেছে।

ভারত-পাকিস্তান ভাগ হওয়ার সময়ে নিশ্চয় অনেকে ভেবেছিল এবার বুঝি মুক্তি এলো। আমাদের নিজেদের সরকার আছে এখন।

কিন্তু তাও হলো কই?

আবারো সেই স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে নিজেদের অধিকার আদায়ের আন্দোলন হয়েছে।

অধিকার ব্যাপারটাই এমন, এটা যতদিন প্রতিষ্ঠা হবেনা ততদিন লড়ে যেতে হয়। স্বাধীন হয়ে গেলেও এর পাওয়া হয়না।

৭১ এ স্বাধীনতা অর্জনের পরেও তখনকার মানুষ তো ভেবেছিল, এবার বুঝি স্বাধীনতা পেলাম।

কিন্তু ৭২ থেকেই তো আবার অন্য লড়াই শুরু হলো। পারিবারিক আর এক দলীয় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে তখনো প্রতিবাদ আর লড়াই করে যেতে হয়েছে। রাস্তায় মরতে হয়েছে।

যতক্ষণ পর্যন্ত প্রকৃত স্বাধীনতা আসবেনা, যতক্ষণ পর্যন্ত রাষ্ট্রের উপর নাগরিকের অধিকার প্রতিষ্ঠা হবেনা, নিস্তার নেই বন্ধু! এ লড়াই চালাতেই হবে।

আমাদের ট্যাক্সের টাকায় চলা রাষ্ট্রে কে প্রধান হবেন, কে বিদায় হবেন তার সিদ্ধান্ত আমাদের হাতে থাকতে হবে।

কোনো সিদ্ধান্ত আমাদের মতের বিরুদ্ধে হলে তার বিরুদ্ধে তৎক্ষণাৎ প্রতিবাদ আমরা করবো, সেই প্রতিবাদের অধিকার আমাদের আছে। আমাদের টাকায় চলা পুলিশের কাজ সেখানে যাতে অন্য কেউ এসে আঘাত না করতে পারে তার নিরাপত্তা দেয়া।

এখানে আলোচনা/প্রতিবাদের সম্পর্ক সরকারের সাথে সরকার নির্ধারক জনগণের।

প্রতিবাদ জিনিষটাই এমন যে এর কোনো ব্যাকরণ নেই। আপনি কখনো নিয়ম মেনে প্রতিবাদ করতে পারবেন না। কোনো সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে আপনি যাই করবেন, সেটাই এখানে নিয়ম।

কিন্তু এতে যদি কারো ক্ষতি সাধিত হয়, আন্দোলনকারী যদি সহিংস হয়, সেটা প্রতিবাদ করারও সুনির্দিষ্ট নিয়ম আছে।

একজন পুলিশ সদস্য তার দায়িত্ব পালনে কী কী করতে পারবে, সেটাও জনগণের ভোটের নির্বাচিত সরকার নির্ধারণ করে দেয়।

সহিংস আচরণ ঠেকানোর জন্য প্রথম ধাপে টিয়ার গ্যাস স্প্রে করে। এর সাথে থাকে জল কামান।

এরপর আসা লাঠিচার্জ।

এরপর যদি পুলিশকে আঘাত করে তাহলে রাবার বুলেট ফায়ারের নির্দেশনা আসে। কিন্তু তাও হাটুর নিচে।

হাটুর উপরে কখনো পুলিশকে জনবিক্ষোভে গুলি করার অনুমতি দেয়া হয়না।

স্পেশাল অভিযানের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র লিথাল বুলেট ফায়ারের অনুমতি দেয়া হয়। সেটার জন্য উপরের সিদ্ধান্ত ও নির্দেশনা থাকে।

আমাদের টাকায় দেয়া গুলি কখনো আমাদের উপর করার এখতিয়ার পুলিশের নেই। এমনতো না যে আমরা উপনিবেশে আছি।

কিন্তু আমরা দেখলাম পুলিশ এখন কারো
অনুমতির প্রয়োজন হয়না। চাইলো আর গুলি করে আমাদের ভাইদের মেরে ফেললো।

এই সাহস তাদের কে দিয়েছে?

অনেকেই বলে পুলিশের উপর হামলা হলে কি চেয়ে চেয়ে দেখবে?

তার জন্য উপরের নির্দেশনা গুলো আছে।

বৈশ্বিক গণতন্ত্রের স্কোরে বাংলাদেশ এখন উত্তর কোরিয়ার সহযাত্রী।

গণতন্ত্রের অর্থই হলো সরকার তাই সিদ্ধান্ত নিবে যা আমরা চাইবো।

সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ যদি বলে মোদী আসবেনা, তাহলে মোদী আসবেনা। এটা এদেশের জনগণের সিদ্ধান্ত।

দেশের এতজন মানুষ রাস্তায় দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ করছে, প্রতিবাদ মিছিল করছে, তাহলে সেখানে মোদিকে কোন বাংলাদেশ আনছে।

যারা দুদিন ধরে মিছিল করছে, বিক্ষোভ করছে, গুলি খাচ্ছে তারাও এদেশের জনগণ। তারা কেউ পাকিস্তান বা ভারতের নাগরিক না।

বাংলাদেশে তাই হবে যা এদেশের অধিকাংশ মানুষ চাইবে।

এখন তারা কোন পন্থি, তারা কোন গোষ্ঠির অংশ সেটা এখানে আলোচনার কোনো বিষয় না।

তারা নাগরিক এবং তারা তাদের মতামত স্বাধীনভাবে প্রকাশ করতে পারতে হবে, এটাই হলো স্বাধীনতা।

কোনো আন্দোলনে সহিংসতা কাম্য নয়। দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি কাম্য নয়, যারা করবে তাদের আইন অনুযায়ী ধরে শাস্তি দেয়া যাবে। কিন্তু কোনোভাবেই তাদের উপর গুলি চালানোর অধিকার নেই।

যাদের হুকুমে এই গুলি চলেছে, তাদের পতন হতে হবে। এই হত্যার দায় তাদের নিতে হবে।

আপনি যদি নিজেকে বাংলাদেশি মনে করেন আর ভাবেন আপনি স্বাধীনতা চান, তাহলে এই হত্যার প্রতিবাদ ও বিচার আপনাকে স্ট্রিক্টলি চাইতে হবে।
যদি কিন্তু নেই। ও এ করেছে, সেই করেছে,ও মুর্তি ভাঙলো কেন, ছবিতে আগুন দিলো কেন! এসব হাংকিফাংকি কথা চলবেনা।

প্রতিবাদের সময় যাই করবে সেটাই প্রতিবাদ। রাষ্ট্রকে তার নাগরিকের নিরাপত্তা দিতে হবে।

আমি গুলি চালানো সব পুলিশের এবং তাদের হুকুমদাতাদের বিচার চেয়ে গেলাম, আপনি না চাইতে পারলে নিজেকে বাংলাদেশি ভাববেন না।

March 27, 2021 No comments
1. Chrome Not Running:
first go to terminal and type
gedit /etc/chromium.d/default-flags export
than. paste below the page and save
 CHROMIUM_FLAGS="$CHROMIUM_FLAGS --password-store=detect --no-sandbox --user-data-dir"
Link
November 24, 2019 No comments
১। ফাইনম্যান এর আইকিউ ছিল ১২৫। কলেজে প্রবেশের আগেই তিনি ডিফারেন্সিয়াল ক্যালকুলাস ও ইন্টিগ্রাল ক্যালকুলাস জানতেন। গণিতে তার অপার আগ্রহ ছিল, তিনি জুনিয়র স্কুলের ছাত্র থাকাকালীন সময়ে স্কুলের গণিত দলের নিয়মিত সদস্য ছিলেন এবং নিত্য নতুন সমস্যা সমাধান করার কৌশল আবিষ্কার করা তার নেশার মত ছিল। এছাড়া গণিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রতীকের নিজস্ব রূপ উদ্ভাবন করাটাও তার শখ ছিল, তার আত্মজীবনীতে তিনি বলেছেন ত্রিকোণমিতির সাইন, কোসাইন এবং অন্যান্য অনেক প্রচলিত প্রতীকের নিজস্ব রূপ তিনি ব্যবহার করতেন।

২।ফাইনম্যান অসাধারণ ব্যাখ্যাদাতা হিসাবে সুপরিচিত ছিলেন। ছাত্রদের কোন কিছু সহজভাবে বোঝানোর ব্যাপারটি তিনি খুবই গুরুত্বপূর্ণ মনে করতেন এবং পাঠ্য বিষয় ছাত্রদের হৃদয়ঙ্গম করাকে নিজের নৈতিক দায়িত্ব মনে করতেন। তিনি মনে করতেন একজন প্রথম বর্ষের ছাত্রকে যেকোন বিষয় বোঝানো সম্ভব, তা না করতে পারার মানে হল শিক্ষক নিজে বিষটি সম্পূর্ণরূপে অনুধাবন করতে পারেন নি। তার বিভিন্ন লেকচার এবং বক্তৃতায় এ নীতির ছাপ স্পষ্ট লক্ষ্য করা যায়।

না বুঝে পদার্থবিজ্ঞান বা বিজ্ঞানের যে কোন বিষয় পড়াকে ফাইনম্যানের অর্থহীন মনে হত। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকার সময়েই লক্ষ্য করেছিলেন তার সহপাঠীরা যা শেখে তা অনেকটাই গ্রন্থগত; পরবর্তীকালে তিনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন ব্যক্তির মধ্যেও এমন সীমাবদ্ধতা লক্ষ্য করেন। কর্নেলে অধ্যাপনারত অবস্থায় ফাইনম্যান কিছুদিনের জন্যে পরিদর্শক অধ্যাপক হিসেবে ব্রাজিলে যান। সেখনে গিয়ে তিনি খেয়াল করেন সেখানকার বিজ্ঞান শিক্ষার দৈন্যদশা এবং পাঠ্যপুস্তকের দুর্বলতা। তিনি সে দেশের শিক্ষা সংক্রান্ত জাতীয় কনফারেন্সে অকুন্ঠচিত্তে এ বিষয়ে সমালোচনা করেন। তিনি যা ভালো মনে করতেন তা করতে তিনি কখনো দ্বিধাবোধ করতেন না। তিনি নির্বুদ্ধিতা বা ভান করা পছন্দ করতেন না এবং যারা তাকে বোকা বানাতে চাইত তাদের তিনি সহজে ছেড়ে দিতেন না।
রিচার্ড ফাইনম্যান কে ছিলেন, তা গুগলে সার্চ করে উইকিপিডিয়া থেকে জেনে নিন।
তবে আমি এতটুকুই বলতে পারি, ম্যানহাটন প্রকল্পে যে মানব কম্পিউটার ব্যবহার করা হত, ফাইনম্যান সেখানে গণনার তত্বাবধান করতেন।

Link:

  1. https://www.facebook.com/mahasai716/posts/1890233734565623
  2. https://www.facebook.com/EngineersDiary16/photos/a.1519425128146476/2232810303474618/?type=3&theater
  3. https://www.facebook.com/EngineersDiary16/photos/a.1519425128146476/2233076463448002/?type=3&theater
  4. https://www.facebook.com/EngineersDiary16/photos/a.1519425128146476/2233225190099796/?type=3&theater
  5. https://www.facebook.com/FECSRC/photos/a.462082744258675/619634628503485/?type=3&theater
  6. https://bigyan.org.in/2018/12/14/value-of-science/?fbclid=IwAR3DnDmJoeM2-J0PwwKQP67xsa103lKpUDEeIsuoYDNxNHQpS5QApwPuHHI
  7. https://www.facebook.com/groups/ScienceStudy.EngineersDiary/permalink/352249238759009/
  8. https://www.facebook.com/EngineersDiary16/photos/a.1066274360128224/2233294046759577/
  9. https://www.facebook.com/EngineersDiary16/photos/a.1066274360128224/2233353666753615/
May 11, 2019 No comments
সেলসিয়াস স্কেল চেনে না কে? বিজ্ঞানের ছাত্র হিসেবে সবাইকেই এই স্কেল নিয়ে পড়তে হয়। আজকে এই স্কেলের প্রণেতা এন্ডার্স সেলসিয়াস এর জন্মদিন । জন্ম: ২৭ নভেম্বর, ১৭০১ - মৃত্যু: ২৫ এপ্রিল, ১৭৭৪) এই বিজ্ঞানীর জীবনী নিয়ে উইকিপিডিয়ায় লেখা আছে। তাই বেশীকিছু না লিখে আমরা বরং অন্যদিকে নজর দিই। বিশ্বের প্রতিটি দেশ তাপমাত্রা মাপে সেলসিয়াসে। শুধু যুক্তরাষ্ট্র বাদে। যুক্তরাষ্ট্র মাপে ফারেনহাইটে। সেলসিয়াস একটা যুক্তিসঙ্গত মাপকাঠি। সেলসিয়াসে হিমাঙ্ক ধরা হয় শূন্য ডিগ্রী আর স্ফুটনাঙ্ক ১০০ ডিগ্রী। অন্যদিকে ফারেনহাইটের হিসাবটা আবার বিদঘুটে। ফারেনহাইটে হিমাঙ্ক ধরা হয় ৩২ ডিগ্রী আর স্ফুটনাঙ্ক ২১২ ডিগ্রী। আগের ফারেনহাইটে হিসাব বাদ দিয়ে সবাই মেট্রিক পদ্ধতিতে চলে যাওয়ার সময় থেকে সেলসিয়াসের হিসাব চালু হয়েছে। শুধু আমেরিকাই গোঁ ধরে আগের ফারেনহাইট হিসাবটা আঁকড়ে আছে। অথচ এর পরিণতি অনেক সময় বিপর্যয়করও হয়েছে। মার্কিন হিসাব আর মেট্রিক হিসাবের মধ্যে রূপান্তরের একটি বিভ্রাটে নাসার সাড়ে ১২ কোটি ডলার মূল্যের একটি নভোযান মঙ্গলগ্রহের বায়ুম-লে জ্বলে পুড়ে খাক হয়ে গিয়েছিল। প্রশ্ন হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র তাপমাত্রা পরিমাপের এমন এক প্রাচীন ব্যবস্থা আঁকড়ে ধরে আছে কেন? এর জন্য দায়ী হলো ইতিহাসের সর্বকালের দুই বড় ভিলেনÑ ব্রিটিশ উপনিবেশবাদ ও মার্কিন কংগ্রেস। অষ্টাদশ শতকের গোড়ার দিকে অর্থাৎ আজ থেকে ৩শ’ বছর আগেও ফারেনহাইট পদ্ধতিটা সত্যিই খুব দরকারী ও কার্যকর ছিল। এই পদ্ধতির আবিষ্কর্তা ড্যানিয়েল গ্যাব্রিয়েল ফারেনহাইট নামে এক জার্মান বিজ্ঞানী। তরুণ বয়স থেকে তিনি থার্মোমিটার নিয়ে বেশ আচ্ছন্ন ছিলেন। কারণ সে সময় তাপ মাপার ব্যাপারটা এক বড় সমস্যা ছিল। ২৮ বছর বয়সে একজোড়া থার্মোমিটার তৈরি করে তিনি বিশ্ববাসীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন। দুটো থার্মোমিটার একই রিডিং দিয়েছিল। এর আগে কেউ এ কাজ করেনি। তাঁর ব্যবহৃত স্কেলকেই আজ বলা হয় ফারেনহাইট। পানি ও লবণের দ্রবণ যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় ঘটে, ফারেনহাইট সেটাকে ধরেছিল শূন্য ডিগ্রী। তিনি মানুষের শরীরের গড় তাপমাত্রা পরিমাপ করেছিলেন ৯৬ ডিগ্রী, যদিও তা ঈষৎ বেঠিক ছিল। ফারেনহাইটের হিসাব অনুযায়ী স্ফুটনাঙ্ককে ২১২ ডিগ্রী ও হিমাঙ্ক ৩২ ডিগ্রীতে ধার্য করা হয়। ১৭২৪ সালে ফারেনহাইট ব্রিটিশ রয়াল সোসাইটির সদস্যপদ লাভ করেন এবং তাঁর পদ্ধতি গোটা ব্রিটিশ সাম্রাজ্য অনুসৃত হয়। অষ্টাদশ ও ঊনবিংশ শতকে বিশ্বের বিশাল ভূখ- ব্রিটেনের করতলগত হয়। এর ফলে তাপামাত্রা পরিমাপের ফারেনহাইট পদ্ধতিও বিশ্বের অধিকাংশ এলাকায় আদর্শ তাপমাত্রায় পরিণত হয়। বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি নাগাদ বিশ্বের অধিকাংশ দেশে তাপামাত্রা পরিমাপের আধুনিক মেট্রিক পদ্ধতি ‘সেলসিয়াস’ চালু হয়ে যায়। সেলসিয়াস পদ্ধতি ১৭৪২ সালে আবিষ্কার করেছিলেন সুইডিশ জ্যোতির্বিজ্ঞানী এন্ডার্স সেলসিয়াস। ১৯৭০ সালে সেলসিয়াস পদ্ধতিকে মেট্রিক পদ্ধতির অঙ্গীভূত করা হয়। সহজ-সরল রূপ ও বৈজ্ঞানিক উপযোগিতার কারণেই মেট্রিক পদ্ধতি এবং সেই সঙ্গে সেলসিয়াস সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। যুক্তরাজ্যে সকল পরিমাপ মেট্রিক পদ্ধতিতে শুরু হয় ১৯৬৫ সালে। ব্রিটেনের সাবেক সমস্ত উপনিবেশেও একই ব্যাপারে ঘটে। কোন কোন দেশে ব্রিটেনের আগে ঘটে, যেমন ভারত। আবার অন্যদের পরে ঘটে, যেমন কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা। একই সময় সর্বত্র এসব পরিবর্তন লক্ষ্য করে যুক্তরাষ্ট্রও মেট্রিক পদ্ধতিতে যাবার কথা ভাবতে থাকে। মেট্রিক পদ্ধতিতে রূপান্তরের জন্য কংগ্রেস ১৯৭৫ সালে একটি আইনও পাস করে। গঠিত হয় মেট্রিক বোর্ড। কিন্তু সেই আইন আর কার্যকর হয়নি, এর প্রতি বিরোধিতার কারণে। কার্যকর হতে পারেনি, কারণ মেট্রিক পদ্ধতি প্রবর্তনকে বাধ্যতামূলক না করে করা হয়েছিল স্বেচ্ছাভিত্তিক। এ ব্যাপারে জনগণের মতামতের বড় ভূমিকা ছিল। বিপুলসংখ্যক মানুষ তাপ বা ওজন পরিমাপের নতুন পদ্ধতি শিখতে চায়নি। হাইওয়েতে কিলোমিটার সাইন দেয়ার প্রস্তাবের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে গাড়ি চালকরা। আবহাওয়া পর্যবেক্ষকরা সেলসিয়াসে পূর্বাভাস পাঠের কথা শুনে ক্ষেপে যায়। ক্রেতারা কিলোগ্রামে কেনাকাটার সম্ভাবনার কথায় বিরক্ত হয়। জনগণের এমন মন-মেজাজ লক্ষ্য করে প্রেসিডেন্ট রিগ্যান ১৯৮২ সালে মেট্রিক বোর্ড ভেঙ্গে দেন। কংগ্রেস যেভাবে এই আইনটি তৈরি করে, তাতে এর বাস্তবায়ন মুখ থুবড়ে পড়ে এবং আমেরিকা যে ফারেনহাইটে-ই তাপমাত্রা মাপবে, তা সুনিশ্চিত হয়। মেট্রিক পদ্ধতির বাইরে থাকার দিক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র আজ বিশ্বে কার্যত একা। শুধু বার্মা ও লাইবেরিয়া তার সঙ্গে আছে। - Muhammod Mahdi Hasan Saikot Wiki Link
November 26, 2018 No comments
The Sixth Sens মুভিতে একটা বাচ্চার গল্প দেখানো হয়, যার সিক্সথ সেন্স খুব ভালো কাজ করে অথবা সে মানসিকভাবে বিকারগ্রস্থ।

এই ছেলের একটা গুরত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল, সে মৃত মানুষদের হাঁটাচলা করতে দেখতে পায় এবং তারা তার কাছে সাহায্য চায়। তার ভাষ্যমতে সবাই তাদের দেখতে পায় না এবং তাদের পছন্দমত লোকেরাই তাদের দেখতে পারে।


বাসায় প্রায়শই রাতে মৃত আত্মারা তার কাছে আসতো এবং কথা বলতে চাইতো। এদের থেকে দূরে থাকতে সে নিজ বেডরুমের এক কোণায় কাপড় দিয়ে একটা তাবুর মতো বানায় এবং সেখানে শুধুমাত্র যিশুর মূর্তি রাখে। ( এ কাজটা আমিও করতাম এবং নিজেকে লুকিয়ে ভাবতাম কেউ আমাকে দেখছে না 😁)তার বিশ্বাস যিশুই শুধু তাকে ওদের হাতে থেকে রক্ষা করতে পারে। যখনি সে ভয় পায় বা অস্বাভাবিক কিছু দেখে, তখনি সে এই ছোট্ট তাবুর ভেতরে চলে আসে। এটা তার একটা আস্থার জায়গা, যেখানে অন্য কেউ প্রবেশ করতে পারেনা।


আমাদের প্রায় সবারি (অথবা কয়েকজনের) মনের মধ্যেও এরকম একটা স্পেশাল জায়গা আছে। বাচ্চাটার বেডরুম কে যদি আমাদের মনের জগত বলি তাহলে তার ভেতরে আরো একটি গোপন জায়গা থাকে, যাকে আমি তুলনা করছি ঐ তাবুটার সাথে। মনে অনেকের আনাগোনা থাকলেও ঐ জায়গা খুবই নির্দিষ্ট। হতে পারে একজন বা দুজন এই জায়াগায় প্রবেশের সুযোগ পায়।

 কিন্তু যে এই স্থান অর্জন করে নেয়, সে সেখানকার স্থায়ী বাসিন্দা হয়ে যায়। শত চেষ্টাতেও তার স্থানচ্যুতি সম্ভব না। সেই মানুষ্টা হয় তার সবচেয়ে আস্থার জায়গা। যেকোনো সমস্যা বা সংশয়ে সে আগে এই মানুষ্টার কাছে ছুটে যাবে। যেকোনো কাজ এর সাথে শেয়ার করবে। সবকিছুতেই তার একটা অলিখিত ভাগ থাকবে।

এমনও হয়, মনের অগোচরে তার সাথে কথা হবে, সবসময় সে না থাকলেও মনে হবে আমার একজন আছে। তার অবস্থানকে বলে যায় মনের মণিকোঠায়! 

সে জায়াগাটার দরজা সবসময় বন্ধ থাকে ।


এরকম আরো একটা দরজার কথা সম্ভবত লালন বলেছেন তার গানে। আট কুঠুরি নয় দরজা। একই নামে সমরেশ মজুমদারের একটি বইও আছে।


আট কুঠুরি মানুষের শরীরের আটটা ক্যাভিটি বা ভেসেল। মাথার খুলি, ডান-বাম দুই ফুসফুস, হৃৎপিণ্ড, পাকস্থলী, দুই কিডনি আর কোলন। আর এই আটটির সঙ্গে শরীরের নয়টি দ্বার যুক্ত। তিনতলা হল, মস্তিস্ক, কোমর থেকে শরীরের ঊর্ধ্বভাগ এবং নিম্নভাগ। নয় দরজা মানুষের শরীরের নয়টা এনট্রান্স বা এক্সিট - দুই চোখ, দুই নাকের ফুটো, মুখ, দুই কানের ফুটো, আর বাকি দুইটা জননাঙ্গ ও পায়ু।


মনের সেই ছোট্ট কুঠুরির মধ্যের মানুষটা যদি হারিয়ে যায়, তবুও বাকী ৮ কুঠুরি আপনাকে হয়ত বাঁচিয়ে রাখবে, কিন্তু ৯ দরজার বাইরেও যে দরজাটা আছে, সেটা বন্ধ থেকে যাবে।


Easy to enter,
Difficult to erase!
November 11, 2018 No comments

ফেসবুক এখন প্রতি ৪টি পোস্ট পর বিজ্ঞাপন দেখায়। আগে এতটা ছিলোনা।

বাংলাদেশে যখন ফেসবুক আসে, তখন খুব কম সংখ্যক মানুষ ব্যবহার করতো। আর মূল দেশের বাইরে হওয়ায় এদেশে তথা উপমহাদেশের মানুষদের নিয়ে ব্যবসা করা তাদের জন্য সহজ কাজ ছিলোনা।

এখানে ব্যবসা করতে হলে তাদের ধীর কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী পরিকল্পনা করতে হত।

সেজন্য তারা নিয়ে এলো ইন্টারনেট ফর অল। ফ্রিতে ইন্টারনেট ব্রাউজিং।

এই সার্ভিস এর কারণে উপমহাদেশীয় নিজের খেয়ে পরের মোষ তাড়ানো এবং নিজের সম্পর্কে উদাসীন মানুষদের একইকাতারে নিয়ে আসা সহজ হল। ফলে ট্রেন্ড ফলো করতে বা অন্যদের সাথে কানেক্টেড থাকতে, যেকারণেই হোক সবার একটা করে ফেসবুক একাউন্ট হয়ে গেলো। এবং ব্যপারটা এমনভাবে করা হল যাতে মোটের উপর মনে হয় সবাই ফ্রি সার্ভিস পাচ্ছি এবং নিজের কাজ হয়ে যাচ্ছে। তাদের লাভ হলেও তাতে আমার কী?

অবস্থা এমন হল যে এখন ফেসবুক একাউন্ট থাকা বাধ্যতামূলক হয়ে গেলো। ফেসবুক এখন ৬ষ্ঠ মৌলিক চাহিদা হয়ে গেলো। ভার্সিটির ক্লাস শিডিউল, কোচিং এর ক্লাস, অফিস কন্টাক্টও এখন ফেসবুক নির্ভর। একদিন ফেসবুকে না গেলে আপনার ক্লাস মিস হয়ে যেতে পারে।

অন্যদিকে বেশীরভাগ মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করায় কোম্পানিগুলোও বাধ্য হয়ে ফেসবুক কে তাদের মার্কেট প্লেস হিসেবে নিতে শুরু করলো। বেশী ইউজার হওয়ায় এখানে বিজ্ঞাপন দেয়া বেশী লাভজনক। তাছাড়া এখানে দ্রুত পরিচিত হবার চান্সও বেশী। ফলে সবার টার্গেট ফেসবুক মার্কেটিং।

প্রথমদিকে একটি দীর্ঘমেয়াদী সিদ্ধান্ত এখন ফেসবুককে করেছে সবচেয়ে বড় অনলাইন প্ল্যাটফরম হিসেবে।

অন্যদেশের সাথে উপমহাদেশের মানুষের সবচেয়ে বড় পার্থক্য, ওরা চাইলে যেকোনো সাইটে চলে যেতে পারে, কিন্তু এখানকার মানুষ এতটাই ফেসবুক নির্ভর যে, তারা মূলত ইন্টারনেট বলতে ফেসবুক বোঝে। এবং এরা ইমেইল করতে শেখার আগে ফেসবুকে ইভটিজিং করা শেখে। যেকারণে দেখা যায় এডমিশন টাইমে ফেসবুকের গ্রুপ গুলোতে প্রশ্ন দেখা যায়- ভাইয়া আমাকে ওমুক ভার্সিটির লিংক দেন!

ফ্রিতে খাবার দিয়ে তার থেকে সবচেয়ে বড় মূনাফা আদায় করে নেয়ার সফল উদাহরণ ফেসবুক।

অন্যদেশের মানুষ যখন ডাটা চুরির পর ফেসবুক ছাড়ছে, তখন দেখবেন এদেশের মানুষ বলে আমার ডাটা দিয়ে ফেসবুক কী করবে? ঘুরাঘুরি, চেক ইন আর সেলফি আপলোড করা ছাড়া ফেসবুকে আমার কিছু নেই। এই যাদের সিকিউরিটি সেন্স, তাদের কাছ থেকে আর কী আশা করা যায়?

ফেসবুক সহ অনলাইন কোম্পানিগুলোর মূল শক্তি ডাটা। ডাটা মানে আপনার প্রতিদিনের কাজের হিসেব। আপনি কী করেন, কখন ঘুমান, ঘুম থেকে উঠেন, কী ধরণের খাবার খান, কোথায় ঘুরতে যান, কোন সময় কীরকম ড্রেস পরেন - এসবই।

আপনার এই সামান্য ডাটাগুলো দিয়েই অনেক বড় কাজ করে ফেলা সম্ভব, তা কি ভেবেছেন?

উদ্ভাস এর উদাহরণ দিই। উদ্ভাস যখন ভর্তি নেয়, তখন আপনার কিছু ডাটা রাখে। এগুলা সবাইই রাখে। জন্মতারিখ, বাসা কোথায়, কোথায় পড়েন এসব।

প্রতিবার আপনার জন্মদিন কেউ মনে না রাখলেও উদ্ভাস আপনাকে ঠিকই শুভেচ্ছা জানাবে। ঘুমত থেকে উঠে যখন জন্মদিনের মেসেজ দেখবেন, তখন মনের অজান্তেই তাদের প্রতি একটা ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে ফেলবেন। এটাই ডাটার শক্তি। উদ্ভাস আপনার টাকা চায়নি। কিন্তু আপনি তাদের নাম উচ্চারণ করেছেন, এটাই তাদের অর্জন। এরপর কাউকে উদ্ভাস সম্পর্কে বলতে আপনি অবশ্যই পজিটিভ কিছু বলবেন। এটাই তাদের ব্যবসা প্রসার ঘটাবে।

আরেকটু বড় করি ব্যাপারটা। রকমারি ডট কম উদ্ভাসের প্রতিষ্ঠান। উদ্ভাসে যারা কোচিং করে তারা আরো কিছু প্রতিষ্ঠানের নাম জানে- অন্যরকম গ্রুপ, পাই ল্যাবস, টেক শহর, অন্যরকম বিজ্ঞানবক্স ইত্যাদি। এই নাম গুলো তাদের নিয়মিত শিক্ষার্থী ছাড়া অন্যরা খুব বেশী জানেনা। এই যে এতগুলো ছেলে কোচিং করে, তাদের সবার কাছে এই প্রতিষ্ঠানগুলোর বিজ্ঞাপন হয়ে গেলো।

এটা দেশীয় উদাহরণ।

একই কাজ করে ফেসবুক, গুগল, ইয়াহু সহ অন্যরা- যারা শুধু অনলাইনেই বিদ্যমান।

ফেসবুক আপনার ডাটাগুলো নিয়ে বিশাল ডাটাবেজ সাজিয়ে রেখেছে। সেখানে আপনার প্রতিটা ডাটা অনুযায়ী আপনাকে আলাদা ক্যাটাগরিতে রাখা হয়েছে। আর এই কাজটা যে সিস্টেম করেছে, তার নাম হল মেশিন লার্নিং এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। 

সেগুলো নিয়ে পরে বলবো।

একই কাজ করে গুগল, ইয়াহু সহ অন্যরা। গুগলের মূল কাজ ছিলো সার্চ সেবা দেয়া। এতে তাদের আয় নেই। বরং তাদের আয় হল আপনি কী ধরণের জিনিষ সার্চ করেন, সে অনুযায়ী আপনার সামনে বিজ্ঞাপন হাজির করা।
গুগল সার্চের পরে আসে এডওয়ার্ড। আপনি যতগুলো ওয়েবসাইট ভিজিট করবেন এবং সেগুলো যদি গুগল এডওয়ার্ডে রেজিসট্রেশন করা থাকে, তাহলে যে সাইটেই যান না কেন, গুগল তাদের বিজ্ঞাপন আপনার সামনে ঝুলিয়ে দিবে।

ফেসবুক এই কাজটা শুধু ফেসবুকে করে, কিন্তু গুগল করে পুরো ইন্টারনেট জগতে। বুঝেন অবস্থা!

অন্যদিকে উবারও আছে একইরকম কাজ নিয়ে। তাদের যেহেতু ওয়েবসাইটে কাজ নেই, তারা চেক করবে আপনার ফোন। ফোন দিয়ে আপনি কোন সাইট ভিজিট করেন, কখন কোথায় যান, যেতে কতক্ষণ লাগে এসব জানা তাদের দরকার। সে অনুয়ায়ী তারা আপনার আশে পাশে উবার এর ব্যবস্থা রাখবে।

মাইক্রোসফটের অবশ্য এসব জেনে কাজ নেই, তাদের কাজ প্রোডাক্ট বিক্রি করা। তাই প্রোডাক্ট এর আপগ্রেড এর জন্য তারা শুধু আপনার পিসির কনফিগারেশন চেক করে।

এখন জানা যাক, এসব ডাটা নেয়া আপনার জন্য কতটা ক্ষতিকর বা তাদের জন্য কতটা লাভজনক।
আপনার কাজের ডাটা নেয়া খুব একটা ক্ষতিকর বলে আমার মনে হয়না, বরং এতে আপনি সহজে সার্ভিস পাবার সুযোগ বাড়ে। কিন্তু সমস্যা হল তখনি, যখন সেই ডাটা নেয়া প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্য কারো হাতে চলে যাবে। অর্থাৎ চুরি হবে।

চুরি হলে কী হবে?
চুরি হলে আপনার ডাটা দিয়ে অন্য কেউ আপনাকে হেনস্থা করতে পারবে সহজেই।
যেমন ধরুণ, আমি একটা মেয়েকে পছন্দ করি। যে রাজী হচ্ছে না। আমার ইচ্ছা তাকে তুলে আনবো। এখন আমি ফেসবুক এবং গুগলের সহায়তায় তার বিগত কয়েকদিনের ডাটা নিলাম। সে কখন কোথায় যায়, কিরকম গাড়ি ব্যবহার করে, বা ঘুরতে যায় কোথায় সে অনুযায়ী আমি প্ল্যান করে তাকে তুলে নিয়ে আসলাম। (উদাহরণ দিলাম আরকি, আমি এতটা খারাপ না !) 
এবং এই কাজটা যে কেউ করতে পারে। এবং তার চিন্তা নিশ্চয় শুধু তুলে নেয়া হবেনা! সে আপনাকে কিডন্যাপ করে বড় অংক দাবী করবে। আপনার সিক্রেট বিজনেস ডিল ফাস করবে। অথবা প্রতিপক্ষের কাছে বিক্রি করে দিবে। আপনার কোনো সিক্রেট ছবি ফাস করেও আপনার ইমেজ নষ্ট করে দিবে।

এটা হল শুধু নরমাল ডাটা।
যদি আপনার ব্যাংক একাউন্টের খবর সে জানে, আপনার ক্রেডিট কার্ড নম্বর সহ অন্যান্য সব কিছুই তখন থাকবে বিপদে। ভাবতে পারেন? কতটা ভয়ানক! 

আর যদি চুরি নাও হয়, তাহলে কি হবে? কোম্পানি এসব দিয়ে কী করবে? 
কোম্পানি আপনার জন্য তাদের পণ্য সাজাবে। এটা আক্ষরিক অর্থে ক্ষতিকর না হলেও আপনার প্রাইভেসির জন্য খুবই ক্ষতিকর। আপনার সম্পূর্ণ চিন্তা তখন তারা চিন্তা করতে পারবে। এমন হবে যে আপনি কি করবেন না করবেন তা সম্পূর্ণ তারা নিয়ন্ত্রণ করবে। আপনা যখন যা দরকার, তার জন্য তারাই আপনাকে সাজেশন দিবে, আপনার চিন্তা শক্তিটা কাজ করার অপশন বন্ধ হয়ে যাবে। তাদের পণ্যের জগতে আপনি ডুবে থাকবেন।

আর এই কাজটা করার জন্য এশিয়া হল সবচেয়ে উপযোগী জায়গা। কারণ ইউরোপে সিকিউরিটি আইন অত্যান্ত কড়া। আপনি কোন কাস্টমারের কোনো তথ্য নিতে তার জন্য যথেষ্ট কারণ দেখাতে হবে। কোনো নড়চড় হলেই জরিমানা। এবং আপনাকে ভয়াবহ শাস্তি পেতে হবে। 

আগের একটা লেখায় লিখেছিলাম কেন এ আই তে চীন আমেরিকার চেয়ে এগিয়ে থাকবে। কারণ চীনের মানুষের ডাটা নিয়ে ভাবনা নেই। তাই সহজেই তাদের ডাটা নিয়ে ব্যবহার করা যায়। যে কাজটা ইউরোপ এ পারবেন না। আর এ আই হল আপনার ডাটা দিয়ে আপনার জন্য কাজ করা। আপনি কখন কি করবেন না করবেন তা বের করাই হল আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর কাজ। 

এখন আসি পাঠাও প্রসঙ্গে। 

পাঠাও যা করেছে তা হল, আপনার ফোনে যা আছে তার সবকিছু নেয়া। অন্যরাও এসব করে তবে তার জন্য কারণ বলে নেয়। কিন্তু পাঠাও কোনো কারণ না দেখিয়েই কাস্টমারের ডাটার উপর বেমালুম হস্তক্ষেপ চালিয়ে। 

ফোনের সব কনভার্সেশন থেকে শুরু করে কন্টাক্ট লিস্ট এবং আপনার সব এপের ডাটাও তাদের কাছে আছে। 

পার্থক্য অনুমতি নেয়া তে। যদিও খুব কম বাংলাদেশীই সিকিউরিটি সম্পর্কে অবগত এবং এপের টার্মস এন্ড কন্ডিশন পড়ে দেখে। তাই এসব অনুমতি চাইলেও বেশীরভাগ হ্যা করে দেয়।

এর আগে গুগল নিয়ে কথা উঠলেও তা সহজেই ধামাচাপা পড়ে যায়। কারণ আমরা এসব নিয়ে ভাবী না। তবে নতুন সাইবার সিকিউরিটি আইনে এসব নিয়ে নির্দেশনা আসছে। শাস্তির বিধান থাকছে। বাংলাদেশি কাস্টমারদের কী কী ডাটা চাওয়া যাবে তার নির্দেশনা দেয়া থাকবে। 

আসলে অনলাইন জগতে কেউই নিরাপদ না। আপনার প্রতিটি ডাটা কেউ না কেউ নজরদারী করছে এবং সেভাবে আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করছে। 

তবে আপনি চাইলে তাদেরকেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন, আপনার অনলাইন জগত নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে।

যদি ফেসবুকের কথাই ধরি- আপনি যদি ফেসবুকে সবকিছু শেয়ার না করেন, তাহলে অনেকাংশে নিজেকে নিরাপদ রাখতে পারেন।

কিছু পরামর্শ- 
১। নিজের আইডিতে নাম পরিচয় ছাড়া গোপন কিছু রাখবেন না। বাসার ঠিকানা, বাবা মা, সন্তান সহ অন্যদের পরিচয় আড়ালে রাখুন। শুধু যেটুকুতে আপনি মানুষ হিসেবে অস্তিত্ব আছে বোঝায় ওতটুকু।

২। জন্মদিন এবং বন্ধু তালিকা হাইড করে রাখুন। চাইলে ফেসবুক লক সিস্টেম ব্যবহার করে বন্ধু তালিকার বাইরের মানুষের কাছে আপনার পুরো প্রোফাইল হাইড করতে পারেন।

৩। ছবিগুলোতে গার্ড লক ব্যবহার করবেন। মেয়েদের ছবি ফেসবুকে খুব বেশী না দেয়াই ভালো।

৪। ফিশিং লিংক বা অপরিচিত কোনো সংবাদ লিংকে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকবেন। ইন্টারনেট সিকিউরিটি ব্যবহার করতে পারেন।

৫। ফেসবুক কে নিজেকে প্রকাশ করার পরিবর্তে শুধুমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে রাখার চেষ্টা করুন। নিজের পার্সোনাল এবং সিক্রেট কোনোকিছু শেয়ার করবেন না। 

এগুলো প্রাইমারি লেভেলের কাজ। এ থেকে আপনার আইডি হ্যাক হলেও রিস্ক কম থাকে। আর ডাটা কম থাকলে হ্যাক হবার রিস্ক কম। 

আর ফেসবুক কাজ করে আপনার কার্যক্রম এর মাধ্যমে। আপনি যদি সবসময় ইঞ্জিনিয়ারস ডায়েরির পোস্ট লাইক দেন, তাহলে সেরকম পোস্টই সামনে আসবে, আর যদি সার্কাজম এর পোস্ট লাইক দেন, তাহলে সারাদিন ট্রল পোস্ট আপনার সামনে ঘুরতে থাকবে। আর এ ভিত্তিতেই ফেসবুকে আপনাকে বিজ্ঞাপন দেখাবে। 

নিজের মতো অনলাইন জগত সাজাতে ফেসবুকে ফলো লিস্টেও শুধুমাত্র আপনার মতো মানুষদের রাখুন। আপনার ফ্রেন্ড যদি ট্রল পোস্ট এ লাইক দেয় তাহলে তা আপনার সামনেও আসবে। তাই অপছন্দের কাজ করে এরকমদের আনফলো করুন। 

আজ এ পর্যন্তই। পাঠাওকে চাইলে ফোন থেকে রিসাইকেল বিনে পাঠিয়ে দিতেই পারেন। কিন্তু অন্য যারা একাজ করে তাদেরকেও পাঠাতে হবে। 
এরচেয়ে ভালো হয় আনস্টল করে আবার ইন্সটল করুন এবং কন্ডিশন এ ক্লিক করার আগে অনুমতি দেয়ার বিষয় গুলোতে টিক চিহ্ন তুলে দিন। 

ধন্যবাদ! 

দুঘন্টা টাইপ করে আমি এখন খেতে গেলাম 


Muhammod Mahdi Hasan Saikot
Civil Engineering Department
Faridpur Engineering College


November 10, 2018 No comments
সিঙ্গার কর্পোরেশনের জন হয়েছিলো এখন থেকে ১৬৭ বছর আগে, ১৮৫১ সালে।

তবে আজকের দিনের বিশেষত্ব হল , আজ স্যার আইজ্যাক ম্যারিট সিঙ্গার এর জন্মদিন।
Edward Harrison May - Isaac Merrit Singer (October 27, 1811 – July 23, 1875)

মানুষ পৃথিবী ছেড়ে যাওয়ার পর ধন ধৌলত আর সম্মান রেখে যায়, স্যার ম্যারিট সেসাথে রেখে গেছেন ২৪ জন সন্তান!

ম্যারিট ছিলেন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বলা হয়ে থাকে ইঞ্জিনিয়ারের গফের অভাব হলেও বউ এর অভাব হয়না, তবে সিঙ্গার এর ক্ষেত্রে দুটোই পর্যাপ্ত ছিলো। একে একে সে ৫ জন এর সাথে সংসার পাতে!

হাতের পরিবর্তে যন্ত্রের সাহায্যে সেলাইয়ের প্রচলন হয় অষ্টাদশ শতাব্দীতে। বিশ্বের প্রথম শিল্প বিপ্ল­বের সময় সেলাই মেশিন উদ্ভাবিত হয়। তবে এর আগেও সেলাইয়ের কাজে খুব সাধারণ যন্ত্রের ব্যবহার ছিল। ১৮৪৬ সালে এলিয়েস হোউই এই যন্ত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন আনেন। প্রথমদিকে মেশিনগুলোর নকশা এমনভাবে করা হয়েছিল যা শুধু শিল্প-কারখানায় ব্যবহার করা যেত। তখন যন্ত্রবিশারদ স্যার আইজ্যাক ম্যারিট সিঙ্গার শিল্প-কারখানার পাশাপাশি ঘরে ব্যবহার উপযোগী সেলাই মেশিন তৈরির প্রযুক্তি আবিষ্কার করেন। ১৮৫১ সালে ধরা করা মাত্র ৪০ ডলার পুঁজি নিয়ে বাসায় ব্যবহার উপযোগী সেলাই মেশিন উৎপাদন ও বিক্রি শুরু করেন। তার নামানুসারেই কো¤পানির নাম রাখা হয় সিঙ্গার। তিনিই প্রথম সেলাই কলে স্কেল সংযোজন করেন। সিঙ্গার মূলত এলিয়াসের সেলাই মেশিনের সামান্য পরিমার্জন সাধন করেন। মেশিনের চাহিদার কারণে এর বিক্রি বেড়ে যায়। বাড়তে থাকে পুঁজির পরিমাণও।

১৮৭৬ সালে সিঙ্গার মাল্টিন্যাশনাল কো¤পানিতে পরিণত হয়। কো¤পানিটি পৃথিবীর বৃহত্তম ব্যক্তিগত সেলাই কল তৈরির প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্থান করে নেয়। ১৮৮৯ সালে প্রথম ইলেকট্রিক সেলাই কল বাজারে আনে সিঙ্গার। তখন পৃথিবীজুড়ে এ নমুনার সেলাই মেশিন ছড়িয়ে পড়ে। এ মেশিন ব্যবহৃত হয় হোসিয়ারি শিল্পে। হাত বা পাচালিত মেশিনগুলোর চেয়ে ইলেকট্রিক মেশিন দিয়ে নকশা করা, ফুল তোলা ও বিশেষ ধরনের সেলাইসহ সাধারণ কাজও সহজে এবং কম সময়ে করা যায়। ফলে এর জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে।

ব্রিটিশ আমলে ১৯০৫ সালে সিঙ্গার প্রথম বাংলাদেশে আসে। পরে ১৯২০ সালে ঢাকা ও চট্টগ্রামে দুটি শাখা চালু করে। বর্তমানে সারা দেশেই এই কো¤পানির আউটলেট রয়েছে। বাংলাদেশে একাধিক কারখানাও করেছে।

১৯৮৩ সালে সিঙ্গার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হয়। ২০০১ সালে তারা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও তালিকাভুক্ত হয়। বর্তমানে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতিটি শেয়ারের দাম ১৮৮ টাকা। তাদের অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৭৭ কোটি টাকা। বাজারে প্রায় ৭ কোটি ৬৭ লাখ শেয়ার রয়েছে। প্রতিবছর তারা মোটা অঙ্কের লভ্যাংশ দিচ্ছে।

জন্মদিনে এই মহান অভিনেতা, ব্যবসায়ী, উদ্ভাবক, জনসংখ্যা বৃদ্ধি অনুরাগী, প্রেমসম্রাট ও সর্বপরি প্রকৌশলীকে জানাই অনেক অনেক শুভেচ্ছা ।

উইকি
আমাদের সময় 
October 26, 2018 No comments
Newer Posts Older Posts Home

Labels

On Point On Topic Special Day

recent posts

Blog Archive

  • April (1)
  • March (2)
  • February (1)
  • January (1)
  • August (1)
  • July (1)
  • March (1)
  • February (1)
  • October (1)
  • March (1)
  • April (1)
  • March (2)
  • November (1)
  • May (1)
  • November (3)
  • October (2)
  • September (1)
  • August (1)
  • July (1)
  • June (1)
  • May (2)
  • April (2)
  • March (5)
  • February (1)
  • February (1)

Designed By | Distributed By GooyaabiTemplates