মাফিয়াতন্ত্র, পুলিশি রাষ্ট্র বা আমলা তন্ত্র, যে যাই বলুক - আমার কাছে মনে হচ্ছে আমরা উপনিবেশিক আমলে আছি।
ব্রিটিশ আমলে পুলিশ হাফ প্যান্ট পরে হাতে লাঠি নিয়ে ঘুরতো। অফিসার মোটর গাড়িতে থাকতো, সাথে কেউ ঘোড়ায় চড়ে বা কেউ দৌড়ে সাথে সাথে থাকতো।
পথে ইচ্ছে হলেই কাউকে চাবুক দিয়ে মারতো, কাউকে লাঠি দিয়ে।
বিভিন্ন জায়গার অবস্থা দেখুন। সালথায় এসি ল্যান্ডের সহকারী গাড়ি থেকে নেমেই লাঠি দিয়ে পিটিয়ে কোমর ভেঙে দিয়েছে, নারায়ণগঞ্জেও ওরকম কিছু হয়েছে শুনলাম। আজকে ঢাকায় বাইকারদের লাঠি দিয়ে পেটাচ্ছে।
আর রিকশাচালকদেরকে পেটানোতো প্রতিদিনকার ঘটনা।
এখানে দুটো ব্যাপার প্রতিবাদ করার মতো ঘটেছে। প্রথমত কেউ কারো গায়ে আঘাত করতে পারেনা। পুলিশের কার্যবিধি নির্দিষ্ট করা আছে। কেউ আইন না মানলে তাকে জরিমানা করবে, মোবাইল কোর্ট জেল দিবে, ক্ষেত্র বিশেষে আদালতে মামলা হবে। কিন্তু কখনো কারো গায়ে হাত তোলা যাবেনা।
২য় ব্যাপার হলো, করোনা মোকাবেলায় স্বাস্থ্যবিধির গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো দুরত্ব বজায় রাখা বা একক পরিবহণ ব্যবহার করা, যেখানে অন্যদের সংস্পর্শে আসবেনা। সেদিক দিয়ে বাইক, রিকশা, প্রাইভেট কার সবচেয়ে উপযোগী বাহন। কিন্তু সরকার বাইক রাইডিং বন্ধ করে দিয়েছে। যারা বাইক চালাচ্ছিলো তাদের উপর চালিয়ে পুলিশি নির্যাতন।
অনেকগুলো রিকশা রাস্তায় ফেলে দিয়েছে।
মোট কথা, এদের পরিচালনা করে কারা, উপদেষ্টা কারা বা এই সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী প্যানেল এর সদস্য কে কে? যদিও এদের সবার প্রধান একজনই, তার ইশারা ছাড়া কোনো পাতা লড়েনা।
ভালো ব্যাপার হলো, মানুষ এখন প্রতিবাদী হচ্ছে, নিজের অধিকার সচেতন হচ্ছে। সালথায় গায়ে হাত তোলার প্রতিবাদে প্রশাসনের উপর হামলা করেছে, নারায়ণগঞ্জে, মুন্সিগঞ্জে প্রতিবাদ হয়েছে, আমার এলাকায়ও পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে মানুষ।
সিলেটে দেখলাম পুলিশ মেশিনগান আর গুলি নিয়ে বাংকারে বসে আছে।
সব জায়গায় মানুষ ক্ষেপে আছে, সবাই একত্রিত হয়ে একদিন রাস্তায় নামলেই হয়ে যাবে বিপ্লব।