হাওয়া'র পাখি এবং পাখি বিষয়ক চিন্তা

by - October 16, 2022

 

cormorants - Michael Steverson


হাওয়া সিনেমার পরিচালকের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলো বন বিভাগের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট।

তাদের অভিযোগের বিষয় ছিলো - জেলেরা নৌকায় একটি পাখি পোষে। যদি কোনো কারণে তারা দিক হারিয়ে ফেলে, তাহলে পাখিটিকে ছেড়ে দেয়। পাখি যদি নৌকায় ফিরে না আসে, তাহলে বুঝতে হবে আশেপাশে কোথাও ভূমি আছে। কিন্তু আবার যদি ফিরে আসে, তাহলে বোঝা যায় কোনো আশ্রয় নেই।

এই প্রাকৃতিক চিহ্ন ব্যবহার করে জেলেরা নদীতে আশ্রয় খোঁজে। উন্নত প্রযুক্তির ছোঁয়া পাওয়ার আগে এভাবে প্রকৃতিকে কাজে লাগিয়ে কাজ সারা হতো।

এদিকে ১হাজার বছর আগে চীনের জেলেদের মধ্যে একটা প্রচলন ছিলো করমোরেন্ট পাখি ব্যবহার করে মাছ শিকারের। করমোরেন্ট এক ধরণের উপকূলীয় পাখি, যারা আগ্রাসী ক্ষিধার জন্য পরিচিত ছিলো। এই স্বভাবের কারণে জেলেরা করমোরেন্ট পাখির গলায় একটা ফাঁদ বেঁধে দিতো, যাতে সে বড় মাছ খেতে না পারে। মাছ মুখে আটকিয়ে পাখি নৌকায় আসতো। এবং জেলেরা সেটা নিয়ে নিতো।

পাখির মাধ্যমে চিহ্ন নিয়ে মাছ ধরার আরেকটা পরিচিত উপায় হলো, যখন কোথাও পাখির ঝাঁক পানির কাছাকাছি উড়ে, বিশেষ করে সী গাল, বুঝতে হবে সেখানে প্রচুর ছোটো মাছ উপরের স্তরে আছে। নিচে শিকারী মাছ তাড়া করার কারণে ছোটো মাছগুলো উপরে চলে আসে, ওই জায়গায় ওসময় জাল বসালে ভালো মাছ পাওয়া যেতে পারে। 


যাহোক, বন বিভাগের অভিযোগের মূল কারণ ছিলো, এই সিনেমা দেখে মানুষজন পাখি ধরে ধরে খাঁচায় ভরে নদীতে নিয়ে যাবে এবং খাবারে টান পড়লে পাখি জবাই করে খেয়ে ফেলবে, এতে পাখির স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য নষ্ট হবে।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তারা মামলা তুলে নিয়েছে। 

You May Also Like

0 comments