facebook twitter tumblr instagram linkedin
  • Home
  • On Topic
    • On Topic
    • Short Codes
  • Special Day
  • FEC

Mahdi Hasan

এই ছেলে আর আমার মধ্যে এক্টাই মূখ্য পার্থক্য, আমি বেঁচে আছি আর ও নেই। বাকী গল্পগুলো একই রকম।
ওর জন্ম আর আমার জন্ম একই উপজেলায়, তারপর বেড়ে উঠা শেষে পড়াশোনার জন্য ঢাকায় যাওয়া।
ওর বাসা আমাদের বাসা থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে, চৌমুহনীতে।
উচ্চ মাধ্যমিক পড়ার জন্য দুজনের যাত্রাই ঢাকা। আমি সরকারি বিজ্ঞান আর ও রমিজউদ্দিন। এর পরের গল্পটাও একই হতে পারতো। হয়ত এই ছেলেটারো ইচ্ছা ছিলো ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার। তার আর হল কই?
হাতিয়া থেকে যারা বাইরে থাকে তাদের বাসায় যাওয়া হয় বছরে দুবার। দুই ঈদে। এর বাইরে পরিক্ষার লম্বা ছুটি হলে তখন। ওর মাও বসে ছিলো ঈদে ছেলে বাসায় আসবে। আমার পরিবারো এমন। ভাইবোন অপেক্ষায় আছে কবে আমি বাসায় যাবো।
এই ছেলের দিনমজুর বাবা মারা গেছে ছোটবেলায়। তারপর চার ভাইকে মানুষ করার দায়িত্ব একা কাঁধে তুলে নিয়েছেন তার মা। থাকার ঘর নেই, একচিলতে জমি নেই, হাতে টাকা নেই। এমন পরিস্থিতি যাদের আছে অথবা যারা গ্রামে বাস করেন তারাই এর প্রকৃত রূপ চিন্তা করতে পারেন। তবে মনোয়ারা বেগম দমে যাননি। ছেলে দুটিকে ঢাকায় এক আত্মীয়ের বাসায় রেখে লেখাপড়া শেখাচ্ছিলেন।
সেই ছেলেটি এবার বাসায় ফিরে গেছে এক মাস আগে।
অথচ তার একটা স্বপ্ন ছিলো, সে হতে পারতো একজন দেশ গড়ার কারিগর।
এরকম স্বপ্ন আমাদের সবারই থাকে এবং প্রতিদিন ভাঙ্গে। কোটি মানুষের স্বপ্ন ভঙ্গের কাছে একজন হয়তো কিছু না। কিছুদিন আগেও আন্দোলন চলছিলো কোটা সংস্কার নিয়ে। অনেকগুলো ছেলে যাদের স্বপ্ন ছিলো দেশের সেবা করবে, মেধা থাকা স্বত্বেও সিট খালী নাই সাপেক্ষে তাদের স্বপ্ন ভেঙ্গে গেছে। তাই তারা শেষ উপায় রাস্তায় এসে দাড়িয়েছিলো। একজন মানুষ কখন রাস্তায় দাঁড়ায় তা আপনি নিজে না দাঁড়ালে বুঝতে পারবেন না। স্বাভাবিকভাবে একা সবার সামনে গিয়ে দাড়াতেও আমাদের হাটু কাঁপে, সেখানে ছেলেগুলো প্রাণের মায়া ত্যাগ করে পুলিশের মার খেয়েছে, ভাবতে পারেন?
আমাদের স্বপ্ন ছিলো স্বাধীন বাংলাদেশ। স্বাধীনতা মানে চিন্তার স্বাধীনতা, বক্তার স্বাধীনতা। পাকিস্তান তা বন্ধ করে দিয়েছিলো। তাই আমরা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দাড়িয়েছি । দাঁড়িয়েছি বলতে দাঁড়াতে পেরেছি। আজকের বাংলাদেশে সেই সুযোগটাও নেই। আপনার সরকার আপনার শত্রু। আপনি কোন অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গেলেই আপনাকে পেটানো হবে। আপনার কোনো স্বপ্ন থাকতে পারবেনা, কোনো চিন্তার স্বাধীনতা থাকতে পারবেনা। আপনি কিছু বলার আগে ভাবতে হবে আপনার জীবন যাবে কিনা!
আপনি কি স্বাধীন?
আমার দেশের রাস্তায় কোনো নিয়ম কানুন নেই। মন্ত্রীরা টাকা খেয়ে যাকেতাকে গাড়ির লাইসেন্স দিচ্ছে আর ড্রাইভারকে দিচ্ছে মানুষ মারার লাইসেন্স। সেখানে আপনি প্রতিবাদ জানাতে গেলে পুলিশ দিয়ে নিরীহ শিক্ষার্থীদের মারা হচ্ছে।
জীবন যাপনের জন্য চাকুরি করবো, সেখানে আমি সমান অধিকার পাবো, সেটা আমাকে রক্ত দিয়ে আদায় করতে হবে একটি স্বাধীন দেশে ?
একটা দেশের ৯০ ভাগ মানুষ যে দাবী জানাচ্ছে সেটা আদায় করতেও আমাকে রক্ত দিতে হচ্ছে।
গণতান্ত্রিক দেশে মানুষ যা চাইবে তাই হতে হবে, কিন্তু এ সরকার তা করছেনা। কেন বলুনতো?
আপনি যাই বলবেন তার জন্যেই আপনাকে রক্ত দিতে হবে। এরপর বিরোধী মত বলে দমে যেতে হবে।
একটি দেশের প্রতিটি ক্ষেত্র যখন দলীয়করণ এবং ধরে ধরে দলীয় লোকদের নিয়োগ দেয়া হয়, সেটা একটি একনায়কতান্ত্রিক রাষ্ট্র হয়।
এই রাষ্ট্রকে আমি গনতান্ত্রিক মনে করিনা। বরং এটি একটি স্বপ্ন মেরে ফেলা রাষ্ট্র।
প্রতিদিন অসংখ্য তরুণের সাথে আমার কথা হয়। তাদের বেশীরভাগের স্বপ্ন কিভাবে এদেশ থেকে যাওয়া যায়। অন্তত নিজের পেট চালিয়ে বাঁচা যাবে এমন একটি দেশের নাম তারা জানতে চায়।
এ দায় কার?
আপনি বলবেন একদিনে সব চেঞ্জ সম্ভব না। আমি বলবো এরকম হয়েছে কয়দিনে?
গত দুদিনে ঢাকা শহরের চেহারা বদলে গেছে। কেন গেছে? কারণ যারা করেছে তারা দলীয়করণ করেনি।
তারা জানে কোনটা সঠিক আর কোনটা ভুল। আপনাদের মতো ক্ষমতালোভী না।
হাজার হাজার ছেলে যখন মেধা থাকা সত্বেও কোটার জন্য চাকরি বঞ্চিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে সেশন জটে পড়ে বয়স শেষ করে চাকুরিতে আবেদনের যোগ্যতা হারায়। দলীয় নিয়োগের শিক্ষকরা যখন পড়াতে না পেরে ছাত্রদেরও অযোগ্য করে তোলে এবং ছাত্ররা ব্যর্থ হয়, সেই দায় অবশ্যই নীতিনির্ধারক সরকারের।
গত দুমাসে ঢাকায় রক্ত জরানো জীবিত আন্দোলনকারীদের কাছে এই দুটো লাশ খুব বেশী কিছুনা, এরা মরে গিয়ে বেঁচে গেছে। কিন্তু যারা বেঁচে থেকে মরছে, তাদের খুনের দায় কে নেবে???
আপনাকে চেঞ্জ আনতে হবে। আপনার নিজের মধ্যে এবং যারা আপনাকে নেতৃত্ব দেয় তাদের মধ্যে।
বুড়ো গরু হাটতে পারে, দৌড়াতে পারেনা। নাকি ভুল বললাম কিছু?
August 01, 2018 No comments
আত্মাহুতি। মানে নিজেকে খুন করা। এই নিজেকে কথাটার আমার কাছে অনেকগুলো জটিল ব্যাখ্যা আছে।

নিজের ব্যাপারটা অনেকরকম হয়। সেক্ষেত্রে আত্মাহুতি শব্দটার প্রায়োগিক ব্যাখ্যা অনেকরকম। নিজের প্রাণ করে দেয়াটা একধরণের আত্মাহুতি হতে পারে।
এক্ষেত্রে একটা অর্থ দাড়াচ্ছে, নিজেকে সবার কাছে প্রকাশ করে দেয়। যতদিন আপনি বেচে থাকবে, ততদিন আপনার সম্পর্কে অন্যদের আচরণ আর আপনি মারা যাবার পর অন্যদের আচরণ একইরকম হবেনা। তখন আপনি সবার কাছে উন্মুক্ত হয়ে যাবেন। এই ব্যাপারটাকে আমি মৃত্যু হিসেবে চিন্তা করি। আপনার স্বাধীনতা, ব্যক্তিত্বে আপনার অধিকার থাকবেনা।

আমার অনেকগুলো সিক্রেট ব্যাপার আছে। এই ব্যাপারগুলো প্রকাশ হয়ে যাওয়াটাও আমার কাছে আত্মহুতি দেবার মতো। যখন এই ব্যাপারগুলো আমি ছাড়াও আরো অনেকি জানবে, তখন সেটাও আমার জন্য আত্মাহুতিমূলক। এখানে "নিজের" ব্যাপারকে আত্মাহুতি দেয়া হয়েছে।

আত্মহত্যা নিয়ে আমার একটা বিশাল প্রবন্ধ আছে। সেখানে লিখেছিলাম, মানুষ কেন আত্মহত্যার পথ বেঁচে নেয়।
এরমধ্যে প্রধান কারণ হয়, যখন সে নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য তার নিজের কাছে কিছু থাকেনা। তার সবকিছুই পাবলিক হয়ে যায়।
অন্যভাবে, সে যখন মানসিকভাবে প্রচন্ড ভেঙ্গে পড়ে, বা সবার কাছ থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়। অথবা খুব কাছের কারো কাছে অপমানিত হয়।

ওপেন সোর্স সামাজিকতার যুগে এখন মানুষের পার্সোনাল বলে কিছু থাকেনা। ফলে তার ব্যক্তিগত কাজেও অনেকের প্রভাব চলে আসে। এক্ষেত্রে সে সিদ্ধান্থীনতায় ভোগে এবং মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে। এক পর্যায়ে আত্মাহুতির মতো ভয়ানক সিদ্ধান্ত নেয়।

আত্মাহুতি দেয়ার চেয়ে, না দিয়ে কেন বেঁচে থাকে- সেটা নিয়ে আলোচনা বেশী ভালো মনে হচ্ছে।

যখন কেউ প্রচন্ড মানসিক আঘাত পায়, তবুও মৃত্যুর পথ বেঁচে নেয়না, এক্ষেত্রে সবসময় এমন কেউ দায়ী থাকে, যার জন্য সে মরতে পারেনা। বেশীরভাগ ক্ষেত্রে এই একজন মা, বাবা, বা বিশেষ কেউ একজন হয়- যার মুখের দিকে তাকিয়ে সে মরতে পারেনা। এই একজন অনেক বড় একটা ফ্যাক্টর, যার কারণে সে মৃত্যুর চেয়েও বেশী কষ্ট নিয়ে বেঁচে থাকে।

আমি এমন কয়েকজন প্যাশেন্ট পেয়েছি, যারা বেঁচে থাকার একমাত্র কারণ ঐ একজন। কখনো সে নিজেই আমাকে বলেছে - সে একজনের জন্য বেঁচে আছে, কখনো আমিই তাকে ঐ একজনের দোহায় দিয়ে বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা দিয়েছি।

যখন কেউ বলে আমি মরতে চাই, এরমানে সে নিশ্চয় এমন কিছু প্রত্যক্ষ করেছে - যার মধ্যে সে তার সর্বোচ্চ অবলম্বন হারিয়েছে। এবং আমি এরমধ্যে সবচেয়ে বেশী যা পর্যবেক্ষণ করেছি তাহল, ঐ ঘটনাটা যদি সে ছাড়া আর কেউ না জানে, তাহলে আর আত্মাহুতি দেয়ার সম্ভাবনার চেয়ে অনেকে জেনে ফেললে, তার সম্ভবনা বেশী হয়।

কারণ একা একা অনেককিছুই চেপে রাখার যায়, যা অনেকেই জেনে ফেললে কষ্ট শুধু বেড়েই চলে। আর সেই জেনে ফেলাটাকেই আমি বলি আমার গোপন কথাটা অন্যেরা জেনে ফেলা বা সেই কথাটার আত্মাহুতি, যেটা শারিরীক আত্মাহুতির চেয়েও বেশী কষ্টের। আর যেজন্য সবাই শারিরীক ব্যাপারটাকেই গ্রহণ করতে বেশী পছন্দ করে !! 
July 06, 2018 No comments


হিরোর কি সুনির্দিষ্ট কোনো সংজ্ঞা আছে? নাকি সব মন গড়া আর আবেগের মিশেল।

ইতিহাস বলে সবকিছু আপেক্ষিক। বরং যে জয়ী হয়, ইতিহাস তাকেই বীর হিসেবে স্বীকৃতি দেয়, সে যেভাবেই জয়ী হোক না কেন!!

সিনেমায় সাধারণত দেখা যায় একজন খুব খারাপ লোক থাকে। সে সবসময় অত্যাচারী। আরেকজন খুব ভালো মানুষ। অন্যদের বিপদ থেকে রক্ষা করে। সে হয় নায়ক। নায়কের একজন নায়িকা থাকে। দূর থেকে দেখে কিংবা গল্পটাই। এমনভাবে বানানো যেন দর্শক দেখেই বুঝতে পারে কে হিরো। কিন্তু উল্টোভাবে চিন্তা করলে দেখা যাবে, দুজনই কিন্তু নিজের কাজে উপযুক্ত যুক্তি নিয়ে আছে।
অথবা, যদি এমন হয়, দুজনই একটা কাজের আগ্রহী এবং দুজনরই পাওয়ার অধিকার আছে। কিন্তু পাবে একজন। তখন আপনি কাকে হিরো আর কাকে ভিলেন বলবেন?

ইতিহাসে ফিরে যাই। প্রাচীন কাল থেকেই কিন্তু এমন দ্বন্দ্ব লেগে আছে। সেই আর্য-অনার্য দের যুদ্ধ থেকেই।

আমাদের পূর্বপুরুষ হল উপমহাদেশের অনার্য। তারা ছিল গুহাবাসী ও বিভিন্ন নদীর তীরে বসবাসকারী। আদিবাসীরা বিভিন্ন টোটেম বা গোষ্ঠিতে বিভক্ত ছিল। দৈত্য, রাক্ষস, পাখী, নাগ, অসুর এগুলা ছিল এখানকার আদিবাসীদের বিভিন গোষ্ঠী, শ্রেণী ইত্যাদিরই নাম।

বুঝতে অসুবিধা হয়না, অনার্যরা আর্যদের বিরুদ্ধে গেরিলা পদ্ধতি ও সামনাসামনি মুক্তির লড়াই অব্যাহত রেখেছিল। কিন্তু জয় হয় শেষ পর্যন্ত আর্যদের। তাড়াতে তাড়াতে অনার্যদের নিয়ে যাওয়া হয় সুদূর শ্রীলংকা পর্যন্ত। সেখানেও লড়াই হয়। রাম-রাবনের যুদ্ধ তারই স্মৃতিবাহী।
কিন্তু আর্যদের এ জয় শুধু প্রভুত্বে নয়, ছিল শিল্প-সংস্কৃতিরও জয়। ফলে অনার্য রাক্ষস খোক্ষসরা আর মানুষ থাকলো না, হয়ে গেলো দানব, অসুর, দৈত্য ইত্যাদি। এই অঞ্চলের সমগ্র ভারতীয় আদিবাসীরা জন্তুতে পরিণত হল ইতিহাসে।

অথচ কি আশ্চর্য, আমরা আমাদের সন্তানদের রাক্ষস খোক্ষসের নেতিবাচক গল্প শোনাচ্ছি। আর এভাবেই আমাদের পূর্বপুরুষেরা আমাদের কাছে ভীতির এবং ইয়ার্কির পাত্র হয়ে উঠেছে।

অথচ এ লড়াই ছিল সমান। হিরো হবার কথা ছিল অনার্যদের, যারা নিজেদের প্রাপ্য অধিকার আদায়ে লড়াই করেছে। জোরদখলদারদের রুখতে জীবন দিয়েছে। তাদের আমরা হিরোর স্বীকৃতি দেয়ার কথা। কিন্ত হিরো হয়ে গেলো দখলদার আর্যরা। ইতিহাস জয়ীদের পক্ষেই লেখা হয়।

ভারতীয় পর্বে আসি। ১৭৫৭ তে সিরাজউদ্দৌলার পরাজয়ে ইংরেজরা জয়ী হয়।
মীর জাফরের বিশ্বাসঘাতকতায় সেই যুদ্ধে জয়লাভ করে লর্ড ক্লাইভ।
এ যুদ্ধের পর দীর্ঘদিন পর্যন্ত ইংরেজ সাহিত্য ও অধ্যুষিত ভারতীয় উপমহাদেশ এ প্রচলন ছিল জাফর একজন অনুগত বীরসেনা ও সিরাজ ভীতু, কাপুরুষ, পরাজিত দেশদ্রোহী নবাব হিসেবে!!

যদিও অনেক পরে উপমহাদেশের মানুষ প্রকৃত সত্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং মীর জাফর প্রতারক বিশ্বাসঘাতক হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। অথচ শুধুমাত্র পরাজয়ের ফলেই ভিলেন পেয়েছিল বীরের মর্যাদা। ইতিহাস এমনি হয়।

বাংলাদেশ প্রসঙ্গে আসি। ৭১ এ যদি বাঙ্গালিরা পরাজিত হত, তাহলে বিশ্বদরবারে সেদিনের ইতিহাস অন্যরকম হত। এখন বাংলাদেশীরা যেভাবে পাঠ্যবই এ পাকিস্তানিদের দখলবাজ, অত্যাচারী হিসেবে জানছে, তখন সেটা হত বাংলাদেশীরা। মুক্তিযোদ্ধারা হত দেশোদ্রোহী, গাদ্দার, যেটা যুদ্ধ চলাকালীন সময়েই শেখ মুজিব, পাকিস্তান আর্মিতে বিদ্রোহ করা জিয়া, ওসমানী, মতিয়ুররা পেয়েছিলেন। অন্যদিকে পাকিস্তান আর্মির সৈন্যরা হত দেশপ্রেমী অকুতোভয় সেনা। এদেশে যারা তাদের সহযোগীতা করেছে, তারা হত অনুগত বন্ধু। সব জায়গায় তাদের কৃতিত্ব থাকতো। অথচ দুদলের লক্ষ্য ছিল জয়। পরিস্থিতি প্রেক্ষাপট বদলে দেয়। কে বীর আর কে ভিলেন তা পরিবর্তন হতে বেশীক্ষণ লাগেনা।

তাহলে বীর আর ভিলেন নির্ধারণের মানদণ্ড কি হবে? সিনেমায় ভালো আর খারাপ মানুষ দেখে আমরা সিদ্ধান্ত নিই। ইতিহাস পড়ে জানলাম যে জয়ী, তারা তাদের মতো ইতিহাস লেখে। প্রকৃত সত্য অধিকাংশ সময়েই আড়ালে থাকে। তাহলে আমি হিরো কাকে বলবো?

সমসাময়িক প্রেক্ষাপট এ আসি।

দুজন ছেলেমেয়ে পরস্পরকে ভালোবাসে। পরিবার রাজি হলে সবকিছু ঠিক আছে। মেয়েটাও এই ছেলেকে ছাড়া কিছু বোঝেনা। একেবারে রিয়েল লাভ।

মেয়েটাকে আরেকটা ছেলে পছন্দ করে। সে মেয়ের পরিবারকে ম্যানেজ করে তাকে বিয়ে করে ফেলে। পরিবারের বিরুদ্ধে যাওয়া সম্ভব না। তাই মেয়েটাও সবকিছু সহ্য করে নেয়। সবকিছু ছেড়ে চলে যেতে ইচ্ছা করে, কিন্তু পরিবারের দিকে তাকিয়ে কিছু করতে পারবেনা। পরের ছেলেটা সবই জানে। সে ইচ্ছা করেই এমন করেছে। সবকিছুই এখন তার।

সেও একদিন গল্প বলবে , আমি সবকিছু জয় করেছি। আরেকজন আমার কাছ থেকে ওকে কেড়ে নিতে চেয়েছিল, কিন্তু আমি তা হতে দিইনি।

হিরো কে হল?
June 20, 2018 No comments







বেশ কয়েকদিন ধরে খুব বেশী বজ্রপাতে মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। এর শিকার হচ্ছে দরিদ্র ও ক্ষেতে কাজ করা শ্রমিকরা।




বিশেষজ্ঞরা জানান, বর্ষা আসার আগমুহূর্তে এপ্রিল-মে মাসে তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। এতে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। আর দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর থেকে ভেসে আসা আর্দ্র বায়ু আর উত্তরে হিমালয় থেকে আসা শুস্ক বায়ুর মিলনে কালবৈশাখী বয়ে যায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। ঝড়ের সময় বেশি বজ্রপাত ঘটে। বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি, ধাতব পদার্থের ব্যবহার বেড়ে যাওয়া, বনভূমি কমে যাওয়া, জলাভূমি ভরাট ও নদী শুকিয়ে যাওয়া বজ্রপাত বৃদ্ধির কারণ।




গত দুই মাসে বাংলাদেশে বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা ২০০ ছুঁই ছুঁই করছে। যার ৯০ শতাংশই কৃষক। এ সময়ে বজ্রপাতে আহত হয়েছেন প্রায় সাড়ে ৩০০ মানুষ। এদের মধ্যে কারও শরীরের আংশিক, কারও সম্পূর্ণ অংশ পুড়ে দগদগে ক্ষত তৈরি হয়। এই ক্ষত সারানোর সুযোগ না পেয়ে ভাগ্যাহত এসব মানুষের স্বপ্ন এবং সম্ভাবনাও পুড়ে শেষ হয়ে যায়।

বজ্রপাতের সময় প্রায় ৬০০ মেগাভোল্ট বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয়। একজন মানুষের মৃত্যুর জন্য ১০০ ভোল্টের বিদ্যুৎ যথেষ্ট। আওয়াজ হওয়ার আগেই বজ্র মাটি স্পর্শ করে। তাই বোঝার আগেই আক্রান্ত হন অনেকে। বজ্রপাতে মাত্র ১ সেকেন্ডেরও কম সময়ে একজন মানুষের মৃত্যু হয়। বজ্রপাতে আহত ব্যক্তিকে স্পর্শ করাও বিপজ্জনক। এ কারণে আক্রান্ত ব্যক্তিকে সাহায্য করতে গিয়েও দগ্ধ হন অনেকে।

ভারতীয় আবহাওয়া অফিস ও জাপানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতি বছর গড়ে ২ হাজার ৪০০ বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ৩০০ মানুষ মারা যান। অথচ যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর ২৫ মিলিয়ন বজ্রপাত হয়। কিন্তু সেখানে মৃতের সংখ্যা ৪০-৫০ জন। নাসা ও মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় বলা হয়েছে, মার্চ থেকে মে পর্যন্ত বাংলাদেশের সুনামগঞ্জে এবং জুন থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ভেনিজুয়েলার মারাকাইবো লেক এলাকায় সবচেয়ে বেশি বজ্রপাত আঘাত হানে। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া বিজ্ঞানের অধ্যাপক এমএ ফারুকের নেতৃত্বে এক গবেষণায় বলা হয়েছে, দেশে বজ্রপাতে মৃতের সংখ্যা বছরে দুই থেকে আড়াইশ'।




সরকারিভাবে বজ্রপাতের ক্ষতি কমাতে দেশব্যাপী ৩২ লাখ তাল বীজ রোপণ করা হয়েছে। বজ্রপাত বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে টিলিভিশনে প্রচার চালানো হচ্ছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটিগুলোকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। বজ্রপাতপ্রবণ এলাকা ও হাওরাঞ্চলে নিবিড় টিলা তৈরি করা হবে।

বজ্রপাত থেকে জানমালের ক্ষতি কমাতে আগাম সতর্কবার্তা দিতে দেশের ৮টি স্থানে পরীক্ষামূলকভাবে বজ্রপাত চিহ্নিতকরণ যন্ত্র বা লাইটনিং ডিটেকটিভ সেন্সর বসানো হয়েছে। এর মাধ্যমে বজ্রপাতের অন্তত ১০-১৫ মিনিট আগে এর সংবাদ জানা যাবে। তাৎক্ষণিকভাবে সেই তথ্য আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট ও মোবাইলে ওয়েদার অ্যাপের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে। দেখার বিষয় অনগ্রসর গ্রামীণ মানুষদের জন্য এটা কতটা সুফল বয়ে আনে।

পরিসংখ্যান বলছে, বজ্রপাতে নিহতের চেয়ে আহতের সংখ্যা অন্তত দশগুণ বেশি। বজ্রপাতে আহত রোগীদের চিকিৎসা প্রক্রিয়া জটিল। বাংলাদেশে বজ্রপাতে দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসা নেই। পাওয়া যায় না ওষুধপত্রও। দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বজ্রপাতের আহতদের বিদ্যুৎস্পর্শে ও আগুনে পোড়া রোগীদের প্রক্রিয়ায় চিকিৎসা দেওয়া হয়। গ্রামাঞ্চলে বজ্রপাতে আহতের সংখ্যা বেশি। কিন্তু উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালে এ-সংক্রান্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা না থাকায় রোগীদের অসহনীয় ভোগান্তি পোহাতে হয়।




তাই বজ্রপাত চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ও এর ক্ষয়ক্ষতিরোধকল্পে প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের প্রয়োগ বেশী গুরত্বপুর্ণ।
May 29, 2018 No comments


ব্যস্ত এই শহরে প্রতিনিয়ত হাজারো মানুষের দেখা মেলে। তাদের কয়জনকে আমরা আলদাভাবে চিনি? এদের মধ্যে কিছু মানুষ থাকে যারা অন্যান্য মানুষদের চেয়ে আলাদাভাবে নিজের জীবন পরিচালনা করে থাকে।

প্রায় সময় দেখা যায়, মেধাবী বা বুদ্ধিমান লোকজন গড়পড়তা লোকদের চেয়ে একটু আলাদা থাকতে চায়। তাই এটাই স্বাভাবিক, তারা প্রয়োজন ছাড়া অন্যদের সাথে কথা বলা একদম এড়িয়ে যায়। অপ্রয়োজনীয় দেখা সাক্ষাৎ তাদের খুবই অপছন্দ এবং এমনও হয় যে নিজদের সামাজিক অনুষ্ঠানগুলোতেও তাদের উপস্থিতি যতসামান্য চোখে পড়ে।

তারচেয়ে বড় ব্যাপার হল, এরকম লোকগুলো বেশী কথা বলা কিংবা তর্কের চেয়ে চুপচাপ শুনতে পছন্দ করে। কোলাহল ও ব্যস্তময় জীবনের চেয়ে দূরে একাকী জীবন যাপনে তাদের স্বাচ্ছন্দ্য সবচেয়ে বেশী।

The British Journal of Psychology, London School of Economics এর evolutionary psychologists সাতোশি খানজাওয়া ও Singapore Management University এর নরম্যান লি এর একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যেখানকার মূখ্য বিষয় হল একটি সুখী জীবনের জন্য কি কি উপাদান প্রয়োজন হয়। আধুনিক বিশ্বে অধিকাংশ মানুষ আর ব্যক্তিগত নির্দেশিকার জন্য পুরোহিত বা দার্শনিকদের কাছে যায়না; তার পরিবর্তে জরিপ গবেষক, অর্থনীতিবিদ, জীববিজ্ঞানী এবং বিজ্ঞানীদের কথা শুনছেন। এরকম মানসিকতার ১৫০০০ মানুষ নিয়ে এক জরিপে দেখা যায়, ঘনবসিত অঞ্চলে বসবাসকারি তাদের প্রায় সবাই নিজেদের নিয়ে সুখী, কারণ এদের মধ্যে খুব অল্পই আছে, যারা উচু চিন্তাধারী বা বুদ্ধিমান।

বর্তমান সময়ে সবাই সুখী হতে চায়। কিন্ত এতে আশ্চর্যের কিছু নেই যে, এতো মানুষের মধ্যেও একা থেকে কিভাবে সুখী হওয়া যায়!! কেননা তারা এভাবেই নিজেদের পরিবেশ গড়ে নিয়েছে।

এই জরিপে সাতোশি ও নরম্যান দেখেছেন যে, অধিক মানুষের ভীড়ে থাকার চেয়ে ভালোবাসার মানুষের মধ্যে থাকাটাই তাদের বেশি পছন্দ এবং এতে বেশী ভালোলাগা কাজ করে। সমাজের অধীক মানুষের সাথে অনেক সময় ব্যয় কয়ার চেয়ে একজনের সাথে অল্পকিছুক্ষণ বেশি সুখী হতে সাহায্য করে। যার ফলে তাদের সুখী থাকার হারটাও বেশী।

বরং এও দেখা যায় যে, উচ্চ বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন লোকজন বেশী মানুষের মধ্যে থাকলে বরং তাদের সুখী ভাবটা অনেক কমে যায়।

এটাকে গবেষকরা বলে থাকেন - উচ্চ বুদ্ধিমত্তার লোকদের নিম্ন জীবন সন্তুষ্টি ।

ওয়াশিংটন পোস্ট এর ক্যারোল গ্রাহাম এ ব্যাপারে বলেছেন- উচ্চ বুদ্ধিমত্তার লোকগুলো স্বল্পকালীন সামাজিকতার বিষয়ে সময় না দিয়ে এই সময়টা তাদের নিজেদের দীর্ঘমেয়াদী ফোকাস কাজ গুলোতে দিয়ে থাকেন। যা অধিক কার্যকর।

সুখ এর বিখ্যাত থিওরি, সাভান্না থিওরি অনুযায়ী, মানুষ সুখী হবার জন্য সেসকল কাজই করে, যা আদীম মানুষ করতে পছন্দ করতো। সাভান্না থিওরি অনুযায়ী, কম ঘনত্বের জনসংখ্যায় মানুষ বেচে থাকার জন্য বেশী বেশী আলাপচারিতের প্রয়োজন । এই গবেষণা অনুযায়ী, উচ্চ বুদ্ধিমত্তার লোকদেরকেও এখন নিজেদের বেশী আলাপচারিতে করতে হচ্ছে। কারণ অতীতেও মানুষজন কম ঘনত্বের অধীবাসী হওয়ায় নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ বেশী রাখতো। কিন্তু থিওরি আর রিয়েলিটি কি এক?? আমার মনে হয়না। মেধাবী লোকগুলা গম্ভীরই হয়ে থাকেন এবং সবসময় নিজেদের নিয়েই মেতে থাকেন।

তবে, বুদ্ধিমান বা মেধাবী লোকদের কথা কম বলা কিন্তু সমাজের জন্যই উপকারী। তারা তাদের সময় গল্প গুজবে ব্যয় না করে তাদের কাজে ব্যয় করে ফলে নিজের কাজে অগ্রগতিতে সক্ষম হয়। এবং সমগ্র মানবতার জন্য জীবনের মান অগ্রগতিতে সক্ষম হয়। সম্ভবত আধুনিক সমাজের সবচেয়ে বড় সমস্যাটি হচ্ছে জনসংখ্যার অধিকাংশই একসঙ্গে একসঙ্গে বসবাস করে, তাই ব্যক্তিবিশেষের কাছ থেকে ঘনিষ্ঠ জনগোষ্ঠীর সহায়তার পরিবর্তে বরং তা বাধাগ্রস্ত হয়।

May 24, 2018 No comments
 কাই ফু লি একজন চীনা উদ্যোক্তা । তিনি হলেন চীনা এ আই প্রতিষ্ঠান সিনোভেশন ভেঞ্চার এর সিইও এবং  Sinovation Ventures Artificial Intelligence Institute এরপ্রেসিডেন্ট।

কিছুদিন আগে এ আই নিয়ে একটি সম্মেলনে এম আই টি তে গিয়েছিলেন কাই। যাওয়ার পথে একটি উবার এ চড়েন। এ প্রসঙ্গে বলে রাখি উবার হল বর্তমানে এই নিয়ে সবচেয়ে বেশি কাজ করা একটি প্রতিষ্ঠান এবং তাদের পুরো সিস্টেম এই আই নিয়ন্ত্রিত।

তো, তখন ড্রাইভার তাকে জিজ্ঞেস করল, স্বনিয়ন্ত্রিত গাড়ি তার চাকুরি কেড়ে নিতে কত বছর লাগতে পারে?
তখন তিনি জবাব দিলেন ১৫-২০ বছর। ড্রাইভার কিছুটা হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন। তখন ড্রাউভার বললেন, ততদিনে আমিও ড্রাইভার থাকবোনা।

কিন্তু তাৎক্ষণিক তিনি ভাবলেন যদি চীনে তিনি এই প্রশ্নের মুখোমুখি হতেন, তখন উত্তরটা ভিন্ন হতো। তখন চীনের ড্রাইভারকে বলতে হত, তার চাকরী যেতে ১০ বছর লাগবে। সর্বোচ্চ হলে সেটা ১৫ হতে পারে।

এটা শুনতে আশ্চর্যজনক হতে পারেন, কারণ এটাও ঠিক যে শুরু থেকেই আমেরিকা এ আই তে এগিয়ে ছিলো এবং এখনো আছে। তবে চীনও দ্রুত এই রেস এ এগুচ্ছে। যদিও এখনো পুরোপুরি নয়, কিন্তু এটি নিরব এক প্রতিযোগীতা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে এআই উন্নয়ন ক্ষেত্রে নিশ্চিত চ্যাম্পিয়ন। তথ্য অনুযায়ী, চীনের তুলনায় আমেরিকান এআই কোম্পানির সংখ্যা 1.82 গুণ বেশি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ আইতে  বিনিয়োগ চীনের চেয়ে বেশী 1.54 গুণ এবং এ আইতে দক্ষ জনশক্তি 2.01 গুণ বেশী। বিশ্বে এআই কোম্পানীর মোট সংখ্যা (২542 । ২017 সালের জুন অনুযায়ী), তাদের মধ্যে ইউএস এর অর্থায়নের সংখ্যা 42% এবং চীন ২3% এর মাধ্যমে রয়েছে দ্বিতীয় অবস্থানে। এই দুই দেশ ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, সুইডেন, সিঙ্গাপুর এবং অন্যান্য উন্নত দেশগুলিকে পিছু হটিয়েছে। রিপোর্টটি অনুযায়ী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পিছনে পিছিয়ে থাকার কারন শুধু  অবস্থানই নয়, একটি প্রধান বাধা হল এআই প্রতিভার অভাব। পরিসংখ্যানগুলি দেখায় যে মার্কিনে এর  সংখ্যা  78,000 এবং  চীনে যার পরিমাণ অর্ধেকেরও কম  39,২00 জন এআই বিশেষজ্ঞ রয়েছে। এর পিছনে্র কারণ উন্নত মানের প্রশিক্ষণের অভাব । এআইএর মধ্যে বিশ্বের শীর্ষ ২0 টি বিশ্ববিদ্যালয় এর মধ্যে  16 টি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে যুক্ত। চীনের বর্তমান একাডেমিক ক্ষমতা চাহিদা মেটাতে যথেষ্ঠ নয়।
এগিয়ে যেই থাকুক, আসল কথা হল এ আই আসছে!!

তবুও এই রেসে চীনের জেতার চান্স ৫০-৫০।
সাধারণভাবে এটা মেনে নেয়া কঠিন। কারণ আমেরিকা সবসময় এসব দিকে এগিয়ে। কিন্তু বেশ কয়েকটা কারণ আছে, যেগুলাতে আমি চীনকে এগিয়ে রাখবো।

প্রথমতঃ চীনের এক বিশাল গনসৈনিক আছে, যারা এ আই তে এগিয়ে আসছে। গত এক দশকে চীনে প্রকাশিত এ আই নিয়ে গবেষণায় লেখকের সংখ্যা দ্বিগুণ ছাড়িয়েছে। চিনা ফেস রিকগনিশন প্রতিষ্ঠান Face++ এর ইঞ্জিনিয়াররা তিনটি কম্পিউটার ভিশন চ্যালেঞ্জ এ গুগল, ফেসবুক, মাইক্রোসফট ও কার্নেগী মেলন বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো দলগুলোকে হারিয়ে প্রথম স্থান জিতে নিয়েছে।

দ্বিতীয়তঃ চীনের এক বৃহত্তম তথ্য ভাণ্ডার রয়েছে যেটা আমেরিকার চেয়ে অনেক বেশী। ডাটা হল এমন জিনিষ, যেটা এ আই তে সবচেয়ে বেশী গুরত্বপূর্ণ। কয়েক টন ডাটা ওয়ালা একজন সাধারণ বিজ্ঞানী সামান্য পরিমাণ ডাটা ওয়ালা একজন সুপার সাইন্টিস্টকে সহজেই হারিয়ে দিতে পারে। চীন হল বিশ্বের সবচেয়ে বেশী মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট গ্রাহকদের দেশ যা আমেরিকার চেয়ে তিনগুণ। কিন্তু এই পার্থক্যটা আর বড় হবে, কারণ চীনের মানুষ কোনো ক্যাশ টাকা বহন করেনা। তারা তাদের যাবতীয় খরচ পরিশোধ করে থাকে ফোনের মাধ্যমে। ফোনের মাধ্যমেই তারা তাদের সকল শপিং করতে পারে। কাজ শেষে বাসায় যাওয়ার আগেই একটি এপের মাধ্যমে যদি আপনি খাবার অর্ডার করে থাকেন, আপনার আগেই সেটা ইলেক্ট্রিক মটর বাইকে করে আপনার বাসায় পৌঁছে যাবে। চীনে শেয়ারিং সাইকেলের মাধ্যমে প্রতিদিন ৫০মিলিয়ন রাইড ৩০ টেরাবাইট ডাটা উৎপন্ন করে থাকে, যা আমেরিকার প্রায় ৩০০ গুণ বেশী।

তৃতীয়তঃ চীনের এ আই কোম্পানিগুলো অনেক আগেই কপি-পেস্ট যুগ পার করে এসেছে। ১৫ বছর আগেও চীনের প্রতিটি নতুন স্টার্ট আপ ছিলো আমেরিকান পণ্যের বৈশিষ্ট্য, চেহারা, এবং ভাবের কপি। কিন্তু সেসকল উদ্যোক্তারা এখন শিখে গেছে কিভাবে কপি থেকে শিক্ষা নিয়ে তারচেয়ে ভালো জিনিষ তৈরি করা যায়। এমনকি, বর্তমানে উইবো টুইটারের চেয়ে ভালো। অন্যদিকে উইচ্যাট ফেসবুক মেসেঞ্জারের চেয়েও ভালো সার্ভিস দিচ্ছে।


এবং চতুর্থতঃ চীনের সরকারও এ আই কে ত্বরান্বিত করছে। চীনের সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী ২0২0 সালের মধ্যে এ আই প্রযুক্তি এবং অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যেম যুক্তরাষ্ট্রেকে ধরা হবে এবং  ২030 সালের মধ্যে চীনকে বিশ্বের সামনে একটি  উদ্ভাবনী হাব হিসেবে উপস্থাপন করা হবে। অক্টোবরে একটি বক্তৃতায় প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ইন্টারনেট এর যাবতীয় ব্যবহার, বিগ ডাটা ও এ আই এর সাথে রিয়েল ওয়ার্ল্ড ইকোনমির যোগসূত্র স্থাপনে  উৎসাহিত করেছেন। এবং আপনি যদি এসব দেখেই অবাক হন, তাহলে আপনার জন্য আরো অনেককিছু বাকী আছে। দীর্ঘদিন আগে থেকে নেয়া পলিসি ও নিয়মগুলো  চীনকে সহায়তা করেছে দ্রুত গতির ট্রেন, গণ উদ্যোক্তা তৈরি এবং উদ্ভাবন কাজে এগিয়ে নিতে। তুলনামূলক হিসেবে বলা যায়,  প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সৌর-প্যানেল নির্মাতা সলেন্ড্রের ঋণের গ্যারান্টিটি ক্রনিক পুঁজিবাদ হিসেবে অভিহিত হয়েছিল। ট্রাকচালকরা এখন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং কংগ্রেসকে স্বচালিত ট্রাকের পরীক্ষা বন্ধ করার আবেদন জানিয়েছেন। যে পরিস্থিতি চীনে নেই।

এ আইতে চীনের সুপার পাওয়ার হিসেবে উত্থান চীনের কাছে বিশেষ কিছু না। তবে এটাও ঠিক যে, চীন ও আমেরিকার মধ্যেকার এই প্রতিযোগীতা কখনো থামবার নয়। পরিবর্তন বৃহৎ পরিসরেই হবে এবং এর সবকিছু যে ভালো হবে তাও কিন্তু নয়।
গবেষণা মতে, চীনের প্রধান শক্তি বুদ্ধিমান রোবোট তৈরি, অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বে মেশিন লার্নিং অ্যাপ্লিকেশন চ্যাম্পিয়ন হিসাবে দাঁড়িয়েছে।
 ইতিমধ্যেই উবার গুগলের সহায়তায় একটি নতুন ল্যাব তৈরি করেছে, যেখানে শুধুমাত্র এ আই নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। সিআইএ এর নতুন ল্যাঙ্গুয়েজ এডওয়ার্ডকে কিভাবে এ আইতে যুক্ত করা যায়, সেটা নিয়েও এখানে কাজ হচ্ছে।
এ আই তে সবচেয়ে বড় ফ্যাক্টর হল ফান্ডিং। যদিও বিশ্বের মোট ফান্ডিং এর ৫১% করে আমেরিকা।

1999 সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রথম এআই বিনিয়োগের করে। যা থেকে বর্তমানে বিশ্বব্যাপী এআই বিনিয়োগের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে 191.4 বিলিয়ন মার্কিন ডলারে।  31 শে জুন, ২017 তারিখে, চীনের এআই কোম্পানিগুলি বিশ্বের 63.5 বিলিয়ন ডলার বা 33.18% এআই তহবিল পেয়েছে, যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে 51.10% ( 97.8 বিলিয়ন আরএমবি) নিয়ে এগিয়ে রয়েছে, যেখানে বাকি পৃথীবির সবার পরিমান 15.73%।

২016 সালে  চীন তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীর কাছাকাছি পৌঁছায়। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বেশ কয়েকটি বড় চুক্তির মাধ্যমে এগিয়ে যায় । চীন এর 2017 সালের মোট এআই অর্থায়ন উল্লেখযোগ্যভাবে H1 হিসেবে চিহ্নিত হয়।

আরেকটি আকর্ষণীয় টুকরা তথ্য হল যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (51%) এর  চেয়ে চীন  (69%) বিনিয়োগ করে এখন এআই কোম্পানিগুলির  মধ্যে এগিয়ে রয়েছে । এটা দেখায় যে চীনের এআই উন্নয়ন জন্য প্রধান সমস্যা তহবিলের অভাব নয়, বরং প্রযুক্তি এবং প্রতিভার অভাব।
চীনে এ আইতে সর্বাধিক প্রভাবিত  শিল্প তালিকা দেখা যাক-

চীন, মেডিকেল ইমেজিং এবং মেডিকেল রেকর্ড বিশ্লেষণ সহ চিকিৎসা শিল্পে এআই অ্যাপ্লিকেশনের জন্য একটি আকর্ষণীয় এলাকায় পরিণত হয়েছে । এই ক্ষেত্রটি অনেকদিন ধরে দুর্বল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চালিত যন্ত্র দ্বারা উপকৃত হয়েছে। এথেকে বলা যায় যে, চীনে এ আই এরকম কাজগুলির জন্যেও বিশেষভাবে দৃষ্টি দেয়।
এরপরেই দ্বিতীয় অবস্থানে আছে স্ব- ড্রাইভিং এবং এসিস্টেড ড্রাইভিং। এর পরেই আছে শিক্ষা, অর্থ, উত্পাদন, নিরাপত্তা, বাড়ি এবং অন্যান্য শিল্প ।
এর মধ্যেই চিন  হাংঝৌ কে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ন্ত্রিত “স্মার্ট সিটি” হিসেবে গড়ে তুলেছে। তাও এর বয়স একবছর পার হয়ে গেছে। হাংঝৌ শহরে নয় মিলিয়নেরও বেশি মানুষের বাস। ২০১৬ সালের অক্টোবরের রিপোর্ট অনুযায়ী চীনের ই-কমার্স জায়ান্ট আলিবাবা আর তাইওয়ানের ইলেক্ট্রনিক্স কনট্রাক্ট মেনুফ্যাকচারিং জায়ান্ট ফক্সকন মিলে এই “সিটি ব্রেইন” প্রোজেক্ট তৈরি করে। আর এরপর থেকেই এই শহরটা অন্তত আংশিকভাবে হলেও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে আসছে যা শহরের প্রত্যেকটি ডেটা তার ভারচুয়াল মস্তিষ্কে শোষণ করে নেয়।

এ থেকেই অনুমেয় চীন এ আইতে কতটা এগিয়ে যাচ্ছে, এবং তুলনামূলক হিসেব করলে এখানকার সরকার ব্যবস্থা এরকম কাজের জন্য অনেকাংশে উপযোগী। একদলীয় শাসন ব্যবস্থা হওয়ায় যেকোন সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধায় পড়তে হয়না। এবং এটাও আমেরিকার চেয়ে চীনকে এগিয়ে যেতে অনেকাংশে সহায়তা করছে। উপরিউক্ত কারণগুলোই আমাদেরকে চীনকে এগিয়ে রাখতে সহায়তা করছে। 

তবে চ্যালেঞ্জে যেই জিতুক  পরিবর্তন আসছে, এবং আমরাদেরকে  সম্পূর্ণ স্বীকার করে নিতে হবে। সেজন্য  আমাদেরকে এমন কাজগুলি খুঁজে বের করতে হবে যা এআই করতে  পারবে না এবং সেগুলো মানুষকে দিয়ে করানোর জন্য ভাবতে হবে।  আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার উন্নতির প্রয়োজন। এই সময়টাই হতে পারে সবচেয়ে সেরা  অথবা সবচেয়ে খারাপ ।  কারন ভবিষ্যৎ পৃথিবী এখনকার সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে।

উবার ড্রাইভারের মতো অনেকেই আছেন নিজেদের চাকুরি নিয়ে চিন্তিত। প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে তাদের বিকল্প ব্যবস্থাটাও এখন থেকেই আমাদেরকে ভাবতে হবে। তবেই তা হবে টেকশই ও সুদূরপ্রসারী...

আরো তথ্যঃ China vs US: Who is winning the big AI battle?
Bangladesh's Future Technology thinking
Flag Counter
April 22, 2018 No comments
ইঙ্গিতে তার শিখায় সাগর-
অন্তর হোক রত্ন-আকর;
নদীর কাছে শিক্ষা পেলাম
আপন বেগে চলতে।
কখনো কি এই প্রশ্ন আপনার মনে জেগেছে, কক্সবাজার, কুয়াকাটা বা নিঝুমদ্বীপে পর্যটক কেন এতো বেশী আসে? অন্যভাবে বলা যায়, সাগরের তীরেই কেন মানুষ বেশী ঘুরতে যায়?
তবে শুধু শখের বসে ঘুরাঘুরির জন্যই নয়,  সাগরের তীর মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যেও বেশ উপকারী। সেজন্যই এসব জায়গায় পর্যটক তুলনামূলক বেশী।  আর আজকে আলোচনা করব এর পেছনের কারণগুলো নিয়ে।

সমুদ্রতীরে কেন যাবো?
শুধুমাত্র পানি দর্শন আপনাকে সুখী ও স্বাস্থ্যবান করতে যথেষ্ট। না, এটা আমার কথা নয়, এটি বলেছে  European Centre for Environment and Human Health। তাদের গবেষণায় দেখা গেছে, সাগর, নদী, ঝর্ণা প্রভৃত স্থানে মানুষ বেশী স্বাস্থ্যকর অনুভব করে এবং যতবেশী পানি থাকে, ফলাফল তত বেশী পজিটিভ হয়। অর্থ্যাৎ, যেই স্থানে বেশী পানি থাকে, পর্যটকগণ সেখানে বেশী যাতায়ত করেন, কারণ তা তাদের মানসিক স্বাস্থ্যে বেশী প্রভাব ফেলে। মূলত এই গবেষণাটি ছিল পুর্বের-  "মানুষের স্বাস্থ্যের উপর সবুজ রং বা প্রকৃতির প্রভাব" নিয়ে করা গবেষণার আপডেট ভার্সন, যেখানে নতুনভাবে মানসিক স্বাস্থ্যের উপর পানির প্রভাব যুক্ত করা হয়। এবং এতে দেখা যায়, সবুজ রং বা প্রাকৃতিক দৃশ্যের চেয়ে নীল সাগরকে মানুষ বেশী প্রাধান্য দিচ্ছে।

সাধারণত ছবিতে পানি বা বিচের ছবি দেখেলেও আমাদের মধ্যে অন্যরকম ভালোলাগা কাজ করে। তাহলে সরাসরি যদি সেসব দৃশ্য দেখা যায়, কেমন লাগবে?
আপনি হয়ত ভেবে নিয়েছেন সেটা নিশ্চয়  আরো ভালো হবে? হ্যা, গবেষণাও ওকই কথা বলছে।

নিউজিল্যান্ডের সী বীচে এরকম একটি গবেষণা করা হয়েছিলো যেখানে পানির আয়তনের সাথে মানুষের মানসিক আনন্দের সম্পর্ক খোজা হয়েছে। যার ফল অনুযায়ী দেখা যায়, যত বেশী পানিওয়ালা বীচ, সেখানে মানুষের আনন্দটা বেশী। এছাড়া সমুদ্রের নানা প্রাণী এই ভালোলাগাকে বাড়ীয়ে দিবে আরো কয়েকগুণ।
এছাড়া আবাসস্থল হিসেবে জলরাশীর পাশে বিশাল নীল আকাশকে মানুষ বেশী প্রাধান্য দিয়ে থাকে। যার ফলে এসব বীচ অঞ্চলে দখলবাজ আবাসন ব্যবসায়ীদের আনাগোনাও বেশী।
তবে সবকচিছু ছাড়িয়ে যে ব্যপারটা মূখ্য, তাহল মানসিক প্রশান্তি, যা সমুদ্র তীর আপনাকে সবচেয়ে বেশী ভালভাবে দিতে পারে।
তাই যদি চান মানসিক শান্তি, সমুদ্র তীরের জলরাশী আপনার বিশ্বস্ত সঙ্গী। তাইতো প্রেমিক মনও গেয়ে উঠে---
সাগরের তীর থেকে মিষ্টি কিছু হাওয়া এনে
তোমার কপালে ছোঁয়াবো গো
ভাবি মনে মনে

অবকাশ যাপনে সমুদ্রতীরঃ ডাক্তারের মতামতঃ-
তো, পানি আপনাকে মানসিক প্রশান্তি দেয়, কিন্তু এটা কি জানেন পানি একইসাথে স্বাস্থ্যকরও?
সবুজ বন আর নীল জলরাশীর তুলনায় ২০১৫ সালের এক রিসার্চে দেখা যায়, শারীরিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতেও জলরাশী দর্শন মানুষকে বেশী সুবিধা দেয়।

এটাও সত্য যে মানসিক স্বাস্থ্য মানুষের জীবনে একটা বড় ভূমিকা পালন করে থাকে। এজন্য আপনার চারপাশের পরিবেশ আপনার দৈনন্দিন জীবনে সবচেয়ে বড় প্রভাব ফেলে। আপনার বাসার আশপাশের পরিবেশ যদি সুন্দর হয়, তাহলে আপনার কর্মক্ষেত্রেও এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং আপনি বেশী কাজ করতে পারবেন।
সেইসাথে মানসিক অবকাশ হিসেবেও যদি একটি ভালো জায়গায় যাওয়া যায়, সেটাও আপনার পবর্তী জীবনে বড় প্রভাব রাখতে পারে। আর সে স্থান যদি হয় কোন সমুদ্রতীর- কক্সবাজার, কুয়াকাটা, সেন্ট মার্টিন, নিঝুমদ্বীপ তাহলেতো সোনায় সোহাগা!

তাই, বেশী বেশী সমুদ্র ভ্রমণ করুন, নিজে সুস্থ্য থাকুন, আশপাশের পরিবেশ সুস্থ্য রাখুন ।


April 04, 2018 No comments
২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস এবং সেইসাথে বাংলাদেশের জন্মদিন আজ।

১৯৭১ এর ২৫ মার্চ কালরাতের পর এক ঐতিহাসিক ঘোষণপত্র জন্ম দিয়েছিল যে দেশটির, সে দেশ আজ পালন করছে নিজেদের ৪৭ তম জন্মবার্ষিকী।

স্বাধিনতা ঘোষণা হবার পর সবার আগে কর্তব্য ছিল দেশ থেকে শত্রু বিতাড়ণ। বাংলা মায়ের অদম্য ছেলেরা সে কাজটি করে গেছে অসীম সাহসিকতার সাথেই। আজ স্বাধীনতার এই ক্ষণে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি ১৯৭১ এ শহীদ ও যুদ্ধাহত সকল দেশপ্রেমি জনতাকে।

বলা হয়ে থাকে স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা কঠিন। আর এটাই সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ কাজ।

শত্রু  মুক্তিই শুধু স্বাধীনতা নয়, বরং প্রকৃত স্বাধীনতা নিহিত থাকে দেশের গাঠনিক উন্নয়নে। একটি দেশ বিশ্বের সামনে কতটা উন্নত, সেটাই সেই দেশের প্রকৃত স্বাধীনতা।

দেশ স্বাধীন হবার ৪৭ বছর পার করতে গিয়ে আমরা দেখি, এখনো গণতন্ত্রের নামে স্বৈরতাণত্রিক শাসন, যার ফলে বাংলাদেশ স্বৈরতান্ত্রিক দেশের শীর্ষ ৫ এ জায়গা করে নিয়েছে। যে গণ মানুষের অধিকার রক্ষায় এই যুদ্ধ, তার প্রকৃত অর্থই আজ ভূলুন্ঠিত।

স্বাধীনতার ৪৭ বছরে বাংলাদেশ বেশকিছু দিকে অসাধারণত্য দেখিয়েছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও অন্যান্য ক্ষেত্রে বেশকিছু অর্জন বাংলাদেশকে বিশ্বে উন্নীত করেছে মর্যাদার আসনে। স্বল্প সম্পদ ও অধিক জনশক্তি নিয়ে যাত্রা করা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা সত্যিই গর্ব করার মতই। 

অহংকার নিয়ে বলছিলাম। অহংকার ব্যাপারটা দুরকমের হয়। প্রথমত হল নিজেদের একটা মহান অর্জন নিয়ে নিজেদের মধ্যে একটা প্রফুল্লতা বজায় রাখা। আর দ্বিতীয়ত, নিজেদের অর্জন ও অন্যদের সেটা নেই বলে তাদেরকে খাটো করে নিজের মহানতা জাহির করা। প্রথম কাজট যখন হয়, তখন অন্যরাও আপনার অহংকারবোধকে স্বাগত জানাবে, কিন্তু দ্বিতীয় ক্ষেত্রে এটা নিচু মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ। 

বাংলাদেশের স্বাধীনতা অনেক কষ্টে  অধিকার আদায়ের ইতিহাস।  কষ্টে অর্জিত বলেই এই স্বাধীনতা আমাদের পরম আকাঙ্খিত। তাই এর সম্মানও আমাদের কাছে অনেক।

কিন্তু এই সম্মান বজায় রাখার জন্য বর্তমানে আমাদের অবদান কতটুকু? আমরা কি পারছি সেই দেশ প্রেম দেখাতে? আমরা কি পারছি আমাদের অধিকার রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হতে? 

উত্তর সবারি জানা। দেশব্যপি অন্যায়, অবিচার, দুর্নীতি ও প্রহসনের যে তান্ডব চলছে, তাতে আমাদের ছাত্রসমাজ কতটা প্রতিবাদ দেখাতে পেরেছে? কোনকিছু হলেই আমরা অতীত ইতিহাস স্মরণ করতে পছন্দ করি। 
৫২ তে করেছি, ৬৬ তে করেছি, ৬৯ করেছি, ৭১ এ মুক্তিযুদ্ধ, ১৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৩ তে বৈষম্যমূলক শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী আন্দোলন কিংবা ৯০ এ চুড়ান্ত স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন। সবই ছাত্রদের অবদান। 

কিন্তু বর্তমান সময়ে আমরা কী করেছি, সেটাও দেখার বিষয়। আমরা কি আমাদের সেই চেতনাবোধ ধরে রাখতে পেরেছি? পেরেছি কি আমাদের সার্বজনীন শ্রদ্ধাবোধ বজায় রাখতে? 

স্বাধীনতার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ব্যাপার হল মুখের ভাষার স্বাধীনতা, কথা বলার স্বাধীনতা। সে ক্ষেত্রে বাংলা ভাষার ইতিহাস আমাদের আরো একটি গৌরবজ্জল অধ্যায়। 

তাই সেই ভাষার সম্মান রক্ষা করা আমাদের সবার মহান কর্তব্য। 
কিন্তু সম্মানের মানে এই নয় যে, আমরা নিজেদের ভাষা রেখে  সারাদিন ঐ ভাষা নিয়ে পড়ে থাকব। প্রতিদিন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমরা যে পরিমান বাংলাকে অবজ্ঞা দেখতে পাই, বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে, তা লজ্জাকর। বিভিন্ন পার্টি, কন্সার্ট, উৎসব, বিভিন্ন ডে বা এসব নামে অহরহ অন্য ভাষার গান বাজানো হয়, যেখানে বাংলা হয়ে যায় সংখ্যালঘু। নাচের ক্ষেত্রেও দেখা যায় আমাদের আধুনিকমনা শিক্ষার্থীগণ বাংলাকে পাত্তা দিতে চান না। বলা হয় বাংলায় যথেষ্ট উপযোগী সংগীত নেই। কিন্তু আমরাই যদি সেগুলো ব্যবহার না করি তাহলে সমৃদ্ধতা আসবে কিভাবে?  অথচ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকেই বাংলার সর্বোত্তম ব্যবহার পাওয়ার কথা ছিল।  

বিশ্ববিদ্যালয় এর কথা আসলেই সবার আগে চলে আসে উচ্চ শিক্ষায় বাংলা ভাষার ব্যবহার । আমার মনে হয় উচ্চ শিক্ষায় ভাষার ব্যবহার নিয়ে আময়াদের একটি নীতিগত সিদ্ধান্তে আসা উচিৎ। 

বর্তমানে উচ্চ শিক্ষার সব বই ইংরেজিতে পড়তে হয় এবং শিক্ষার ভাষাও ইংরেজি। এমনকি উচ্চ আদালতের রায় প্রকাশ করা হয় ইংরেজী ভাষায়। 

উচ্চ শিক্ষায় বাংলার প্রয়োগ ঘটাতে হলে আমাদের দুটো ব্যাপার সামনে চলে আসে। 
প্রথমত, বাংলাকে যদি উচ্চশিক্ষার ভাষা করা হয়, তাহলে সবচেয়ে বড় অসুবিধা হল এর জন্য প্রয়োজনীয় বই  ও অন্যান্য উপাত্তের সংকট। কেননা ইংরেজি আন্তর্জাতিক ভাষা হওয়ায় এই ভাষায় পৃথিবীর সকল কিছু সহজেই পাওয়া যায়। কিন্তু যখন, আমরা বাংলা ভাষায় পান্ডীত্য অর্জন করতে যাব, তখন ইংরেজি থেকে অনুবাদ করতে হবে, ফলে আপনাকে ইংরেজি জান্তেই হচ্ছে। 

দ্বিতীয়ত, যখন আমরা বিদেশে যাই, তখন শুধুমাত্র বাংলায় উচ্চশিক্ষা আমাদের বিপাকে ফেলবে। কেননা তখন আপনি তাদের সাথে ভাব বিনিময় করতে পারবেন না। যদিও এখনো আমাদেরকে বিদেশে যেতে আইএকটিএস বা টোফেল পরিক্ষা দিয়ে যেতে হয়, তবুও ইংরেজি জানা থাকায় আমরা সুবিধা পেয়ে থাকি। বাংলাই যদি একমাত্র ভাষা হত, তাহলে এই সুবিধা আমরা পেতাম না। 

অন্যদিকে, আরো একটা ব্যাপার লক্ষ্যণীয়। চীন, কোরিয়াসহ আরো কিছু দেশ তাদের নিজেদের ভাষায় শিক্ষাদান করে থাকে। কিন্তু এখানে ভালো ব্যাপার হল তাদের প্রতোজনীয় সকল বই নিজেদের ভাষায় পাওয়া যায়, কিন্তু আমাদের না। এছাড়াও ওসব দেশ স্বাবলম্বি। তাদের নিজেদের দেশেই নিজেদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা আছে। বরং তারা বিদেশ থেকে মানুষ নিয়ে যায় কাজ করতে। এবং তাদেরকে তখন ঐ দেশের ভাষা জেনে সেখানে কাজ করতে যেতে হয়।  বাংলাদেশে যে সুযোগটা নেই ।

এখন প্রশ্ন হতে পারে, ওসব দেশ কি একদিনে এমন হয়েছে ? উত্তর অবশ্যই না। এজন্য তাদেরকে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করতে হয়েছে। অনেকদিন ধরে নিজেদের জ্ঞান ভাণ্ডার সমৃদ্ধ করতে হয়েছে।তারপর তারা এরকম কাজ করতে পেরেছে। 

এখন অন্য একটি উদাহরণ দেই। জাপান একসময় ইংরে্জি বিদ্বেষী ছিলো। শুধুমাত্র নিজেদের ভাষা ব্যবহার করতো। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাপান ইংরেজী ভাষী আমেরিকানদের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে থাকে। তারাও নিজেদের ইংরেজী জ্ঞান বাড়াতে থাকে এবং নিজেদেরকে বিশ্বের সবার সাথে তাল মেলাতে থাকে। ফলে তারা দ্রুতই উন্নতির দিকে এগিয়ে যায়। আমেরিকার সাথে এতবড় যুদ্ধ সত্বেও জাপান বন্ধুত্বের হাত মিলিয়ে নিজেদের স্বার্থকে এগিয়ে নিয়েছে। এই স্বার্থ চেতনা বিরোধী নয়, বরং উন্নতির স্বার্থ। নিজেদের কিভাবে উন্নতি হবে, সেটা চিন্তা করে তাদের যা করণীয়, সবই করতে সক্ষম হয়েছে।  

দুটো উদাহরণ থেকে বোঝা যায়, আমদের এ ব্যপারটা নিয়ে অনেক ভাবতে হবে। আমরা কি নিজেদের ভাষায় আলাদা তথ্য ভাণ্ডার তৈরি করব, নাকি যাদের আছে, তাদেরটা ব্যবহার করে এগিয়ে যাব। 

আমার মনে হয় দ্বিতীয়টা শ্রেয়। কেননা ভাষা পরিবর্তনশীল। আজকে যা বাংলা আছে, একসময় এই বাংলা ছিলোনা। এরপরে এরকম থাকবেনা। তাই নতুন করে কিছু করে তা আকড়ে রাখার চেয়ে যা আছে, তাকে কিভাবে সর্বোত্তমভাবে ব্যবহার করা যায়, সেটা ভাবাটাই বেশী লাভজনক। 

এটা সত্য ইংরেজী বিদেশি ভাষা হওয়ায় তা শেখা কষ্টকর। কিন্তু একজন ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার, ব্যবসায়ীকে চিন্তা করতে হয় আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে। তার চিন্তা জুড়ে থাকবে পৃথীবীর কোথায় কি হচ্ছে, তা কিভাবে নিজের মধ্যে অর্জন করা যায়, তা কিভাবে কাজে লাগানো যায়, এসব।  তার মাথা হবে বিশ্বব্যপী। আর সেজন্য আন্তর্জাতিক ভাষাটাই উচ্চশিক্ষা হিসেবে যথেষ্ট যুক্তির দাবীর রাখে। 

এই প্রশ্ন আসতে পারে, আমরা যদি বাংলায় শিখতাম, তাহলে কি সহজে শিখতে পারতাম না?? 
হয়ত শিখতে পারতাম, কিন্তু লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, আমাদের উচ্চ শিক্ষায় ভাষার চেয়ে কি শিখছি সেটা বেশী গুরত্বপূর্ণ। ভাষা খুব একটা পার্থক্য করেনা। একটা অংক বাংলায় করলেও অংক, ইংরেজিতেও অংক। 

ভাষার মতো করে ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীদের আরেকটা গুরত্বপূর্ণ প্রশ্ন হল, আমি হব ইঞ্জিনিয়ার, আমি কেন অর্থনীতি, হিসাববিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান, আইন এসব শিখবো। ব্যাপারটা আসলে এইরকমই, আমি বাংলা ভাষী, আমি কেন ইংরেজী শিখবো।

এই কথা কেন বললাম, তার উত্তর দিচ্ছি। 
একজন ইঞ্জিনিয়ারকে হতে হয় সব জান্তা। ইঞ্জিনিয়ার যারা হবেন, তারা কি সবাই শুধু মেশিন বা অন্যান্য ব্যাপার নিয়েই পড়ে থাকবেন? নাকি শ্রমিক হবেন?

ইঞ্জিনিয়ারিং এর সংগা যদি খেয়াল করি, সেখানে একটা ব্যাপার থাকে, কোন একটা সমস্যাকে এমনভাবে সমাধান করা, যাতে তা সবচেয়ে সাশ্রয়ী হয় এবং সবচেয়ে বেশী মানুষ উপকারী হয়। মানুষের কি কি লাগবে, তা জানতে হলে আপনাকে চাহিদা সম্পর্কে জানতে হবে।

 একটা উপাদান মানুষের কাছে সহজে পৌছাতে, আপনাকে বাজার সম্পর্কে জানতে হবে। কতটা লাভজনক ভাবে উৎপাদন করা সম্ভব এসব জানার জন্যেও অর্থনীতি আপনাকে সাহায্য করবে। পণ্য উৎপাদন ও এর নীতিমালা জানার জন্য আপনার আইন জানা জরুরি। সমাজবিজ্ঞান আপনাকে সমাজ ব্যবস্থা সম্পর্কে জানাবে, যা আপনাকে সমাজের মানুষের সাথে নিজেকে মেলাতে সাহায্য করবে। 

এভাবেই প্রতিটি বিষয়ই আপনার জীবনের সাথে মিশে যাবে। আপনি যদি শুধু কঠিন কঠিন গণিত পড়েন, তাহলে আপনি হয়ে যাবেন রোবট, আবেগ অনুভুতি থাকবেনা। সেজন্য দরকার সাহিত্য। আমার মনে হয় মনোবিজ্ঞানও আমাদের পাঠ্য হওয়া উচিৎ। 

এক জায়গায় পড়েছিলাম, একজন ইঞ্জিনিয়ার হতে হবে একজন কবি। কবি যেমন ছন্দ দিয়ে কবিতা লেখে, তেমনি ইঞ্জিনিয়ারকে তার কাজের মধ্যে ছন্দ রাখতে হয়। তার মনে প্রেম থাকতে হয়। তাহলেই তার বানানো বাড়ির ডিজাইন হবে ছন্দময় । বানানো শহর হবে সাজানো। মেশিন হবে রোমান্টিক। তার কাজ হবে নির্ভুল। 

আর এই সাহিত্যের চেতনা কিন্তু আবার মাতৃভাষার সাথে জড়িত। যার ভাষার প্রতি বেশী শ্রদ্ধা, সে ভাল সাহিত্যিক। বলা হয়ে থাকে, ইঞ্জিনিয়ার ব্যর্থ হলে সাহিত্যিক হয়। কিন্তু আমি বলি প্রতিটা ভালো ইঞ্জিনিয়ারই একেকজন সাহিত্যিক ।  আর এই সাহিত্যের গুণ আসে মানবিকতা থেকে, আর যেটা আমাদের পাঠ্যসূচিতেই আছে।  

স্বাধীনতা মানে সবকিছুতেই স্বাধীনতা। স্বাধীনতার সুফল ভোগ করুক সবাই। দেশের মানুষের অসুবিধা হয় এমন কাজ থেকে দূরে থাকুন।   আর ভালবাসুন মাকে। 

March 25, 2018 No comments
উদ্ভাবনে জাপাবের শ্রেষ্ঠত্বের খবর আমরা সবাই জানি। নামকরা সব প্রযুক্তি পণ্যের পাশাপাশি জাপান এমন কিছু অদ্ভুত পণ্যও আবিষ্কার করেছে যেগুলো, একইসাথে খুবই কাজের এবং কিছুটা হাস্যকরও বটে। আগেরদিনের পাঁচটি উদ্ভাবনের সাথে আজকে থাকছে সেরা দশ  আবিষ্কার। 

১। ফুল বডি আমব্রেলাঃ  
ছাতা শব্দটি শুনলে প্রথমে যে ছবিটি সামনে আসে, তা হল বৃত্তাকার একটি কাপড় একটি দন্ডে আটকানো অবস্থায় আছে। যেটা রোদ ও বৃষ্টি থেকে আমাদের সুরক্ষা দেয়।
কিন্তু এই ছাতা মাথার উপর থাকে শুধু, তাই শরীরের অন্যান্য অংশ থাকে অনাবৃত। এজন্য জাপানিরা এমন একটি ছাতা তৈরি করেছে যেটি সারা শরীর আবৃত করে রাখে। এজন্য তারা মূল ছাতার পাশে  প্লাস্টিকের একটি পর্দার মতো তৈরি অংশ রেখেছে, যা আপনাকে চারপাশ থেকে ঢেকে রাখবে। তবে সুবিধার কথা ভেবে এর উপ্রে মুখ বরারবর একটি দরজার রাখা হয়েছে। মজার না ব্যাপারটা? 
 ২। টয়লেট স্লিপারঃ
জাপানিরা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতায় বেশ যত্নশীল। এরমধ্যে টয়লেটও ব্যতিক্রম নয়। তবে এব্যাপারে একটু বেশীই যত্নশীল। এজন্য জাপানীরা টয়লেটের জন্য তৈরি করেছে আলাদা স্লিপার। এবং এর জন্য আলাদা প্রতিষ্ঠানও আছে, যারা শুধুমাত্র স্লিপারই তৈরি করবে।
৩। গো গার্লঃ
এটা একটি অন্যরকম পণ্য। এবং সেজন্যই সবচেয়ে বেশী অদ্ভুত। 
এই পণ্যটি বিশেষভাবে নারীদের জন্য তৈরি। সাধারণত মেয়েরা যখন বাইরে যায়, তখন তারা টয়লেট করতে গিয়ে কিছুটা বিব্রতকর পরিস্থিতে পড়ে। অনেক জায়গায় ছেলেদের জন্য সুবিধা থাকলেও মেয়েদের জন্য থাকেনা, সেই পরিস্থিতে এই বিশেষ ধরণের ক্যাপ এর মতো বস্তু দিয়ে তারা ছেলেদের মতো করে ত্যাগের কাজ সারতে পারবে। 

৪। হানা তাসুনঃ
মানুষের মুখের একটি গুরত্বপূর্ণ অংশ হল নাক। কিন্তু নাক এর সাইজ নিয়ে অনেকেই অনেকেই অসন্তুষ্ট থাকে। অনেকেই নাকের শেপ ঠিক করতে সার্জারি করে থাকেন
তবে জাপানি এক আবিষ্কারক এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তির উপায় বের করেছেন। তিনি এমন একটি ক্লিপ তৈরি করেছেন যেটা নিয়মিত প্রতিদিন ৩ মিনিট নাকের সাথে লাগিয়ে রাখলে নাককে মোটামুটি একটি শেপে নিয়ে আসা সম্ভব।
তবে দুঃখিত বাংলাদেশিরা, এখনো এসুযোগ আপনাদের জন্য নেই।
 ৫। ব্যানানা স্লিপকেসঃ
এটা জাপানিদের তৈরি অন্যতম একটি অদ্ভুত জিনিষ। কলাকে আঘাত ও অন্যান্য স্পর্শ থেকে রক্ষা করে রাখে।

৬। পোর্টেবল টয়লেট পেপারঃ
আমাদের অনেকেই আছে যাদের মুখের ঘাম কিংবা সর্দি পরিষ্কার করতে টয়লেট পেপার বের করতে করতেই জীবন শেষ। তাদের জন্য জাপানের এক আবিষ্কারক নিয়ে এসছে পোর্টেবল  টয়লেট পেপার। এটা একটা হুকের মতো, মাথার উপর লাগিয়ে রাখতে হয়। এরপর যখন দরকার তখন শুধু টেনে নামিয়ে ইউজ  করবেন, কাজ শেষ!! এর চেয়ে উদ্ভট চিন্তা আর কি হতে পারে !!

৭। মাশল শার্টঃ
সবিছুর মধ্যে এটাকেই আমার সবচেয়ে কাজের জিনিষ মনে হয়েছে। এটা এমন একটা শার্ট, যেখানে মাশল এর মতো করে জায়গা গুলোতে আলাদা কাপড় দিয়ে তৈরি করা হয়েছে, যার মূল উদ্দেশ্য ভাব বাড়ানো। এটা পরে বাইরে বেরুলে দেখে মনে হবে বিশাল এক বডি বিল্ডার হেটে যাচ্ছে। কিন্তু আমার খুব জান্তে ইচ্ছা করছে, আপনার জিএফ যখন এই শার্ট খলার পর আপনাকে দেখবে, তখন কেমন রিএকশন হবে!!
 ৮। আই ড্রপার হেল্পারঃ
অনেকেই আছেন যাদের চোখে ড্রপ দিতে হয়, কিন্তু কাউকে পাওয়া যায়না। এজন্য তাদের জন্য আবিষ্কার আই ড্রপার হেল্পার। এটা একটা টানেল এর মতো, যেটা চোখে লাগিয়ে ড্রপ দেয়া যায়।
 ৯। সাইলেন্ট কারাওকিঃ 
গান গাইতে চাচ্ছেন? কিন্তু খারাপ গলা বলে বন্ধুরা পচানি দিচ্ছে? এজন্য আপনার জন্য এসে গেছে সাইলেন্ট কারাওকি যন্ত্র। এই যন্ত্রের সামনের দিকে একটি পাইপ আর সাথে একটি হেডফোনের মতো যন্ত্র লাগান থাকে, যার ফলে আপনার গান শুধু আপ্নিই শুনতে পাবেন। বাথরুম সিঙ্গারদের জন্য এটা একটা আদর্শ বস্তু!! 
১০। লোনলি পিপলস ক্যাফেঃ  
যাদের রেস্টুরেন্টে খাওয়ার সঙ্গি নেই, সিঙ্গেল লাইফ নিয়ে অসন্তুষ্ট, তাদের জন্য এসে গেছে লোনলি পিপলস ক্যাফে। এখানে আপনার সঙ্গী হিসেবে একটি ডল দেয়া হবে, যে আপনার সাম্নেবসে থাকবে আর আপনার মনে হবে আপনার পার্টনার সামনে বসে আছে। আমারমতো সিন্নগেলদের এটাই শেষ ভরসা আরকি !! 


March 24, 2018 No comments
Newer Posts Older Posts Home

Labels

On Point On Topic Special Day

recent posts

Blog Archive

  • April (1)
  • March (2)
  • February (1)
  • January (1)
  • August (1)
  • July (1)
  • March (1)
  • February (1)
  • October (1)
  • March (1)
  • April (1)
  • March (2)
  • November (1)
  • May (1)
  • November (3)
  • October (2)
  • September (1)
  • August (1)
  • July (1)
  • June (1)
  • May (2)
  • April (2)
  • March (5)
  • February (1)
  • February (1)

Designed By | Distributed By GooyaabiTemplates